উত্তেজক সেমিফাইনালে ভারত শেষ পর্যন্ত হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। রাজ লাম্বানির ছয় ফারাক গড়ে দিয়েছিল। আগে ব্যাট করে প্রোটিয়ারা তুলেছিল ২৪৪। রান তাড়া করতে নেমে ৩২ রানে ৪ উইকেট পড়ে যায় ভারতের। সেখান থেকে টিমকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেন উদয় ও সচিন দাস।
কলকাতা: বড়দের ক্রিকেটে আবেগ খুব কমই ধরা পড়ে। ট্রফি জিতলে, ফাইনাল হারলে অনেক সময় আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন কেউ কেউ। আবেগের ছোট ছোট অনুষঙ্গ খুব সহজেই দেখা যায়, অনুভব করা যায় ছোটদের খেলায়। যুব বিশ্বকাপে তেমনই এক ছবি মন ছুঁয়ে গিয়েছে। ভারতের (India) কাছে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের (U19 World Cup) সেমিফাইনালে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ঘরের মাঠে ফাইনালে ওঠা, ট্রফি জেতার স্বপ্নে একাকার ছিল প্রোটিয়া টিমের ছোটরা। কিন্তু সেই স্বপ্নে একরাশ জল ঢেলে দিয়েছে উদয় সাহারানের ভারত। ফাইনালে উঠতে না পেরে কেঁদে ভাসালেন দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) ক্যাপ্টেন জুয়ান জেমস। তাঁকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিলেন উদয়। বন্ধুত্বের এই ছবিও ছোটদের ক্রিকেটেই দেখা যায় বেশি।
উত্তেজক সেমিফাইনালে ভারত শেষ পর্যন্ত হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। রাজ লাম্বানির ছয় ফারাক গড়ে দিয়েছিল। আগে ব্যাট করে প্রোটিয়ারা তুলেছিল ২৪৪। রান তাড়া করতে নেমে ৩২ রানে ৪ উইকেট পড়ে যায় ভারতের। সেখান থেকে টিমকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেন উদয় ও সচিন দাস। ১৭১ রানের পার্টনারশিপটাই টার্নিং পয়েন্ট। জয়সূচক চারটাও এসেছে লাম্বানির ব্যাট থেকে। এর আগে পাঁচবার বিশ্বকাপ জিতেছে ভারতীয় টিম। এ নিয়ে টানা পাঁচবার যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল টিম। এ বারও ট্রফি জেতার অন্যতম দাবিদার।
ম্যাচের পর উদয় বলেছেন, ‘ফাইনালে ওঠার অনুভূতিই আলাদা। আমরা একটা কঠিন ম্যাচ জিতেছি। ফাইনালের আগে এটা টিমের পক্ষেও ভালো হল। একটা সময় পর্যন্ত আমরা পিছিয়ে ছিলাম। আমরা ঠিক করেছিলাম, শেষ পর্যন্ত ব্যাট করব। একটা ভালো পার্টনারশিপ দরকার ছিল। তাই হল।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours