সবুজ পেঁয়াজের মধ্যয়ে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং কে। পাশাপাশি রয়েছে ফোলেট, পটাশিয়াম এবং অন্য নানা খনিজ। ওজন কমাতে এই সব পুষ্টির ভূমিকা রয়েছে। শরীরে শক্তি যোগাতেও কাজে আসে এই সব খনিজ
অতিরিক্ত চর্বি ঝরান এই পেঁয়াজ খেয়েই, কখন ও কী ভাবে খাবেন জেনে নিন
কেন সবুজ পেঁয়াজ খাবেন
ওজন কমানোর জন্য আজকাল সকলেই পরিশ্রম করছেন। ওজন বাড়াতে মোটেই কষ্ট হয় না তবে বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলতে আমাদের অনেক বেশি কসরত করতে হয়। আর ওজন কমানোর জন্য যে সুষম আহার বা ডায়েটের মধ্যে দিয়ে মানুষ যান তাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ম করে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। অতিরিক্ত ক্যালোরির খাবার খাওয়া চলবেই না। আর ডায়েট মানে যে খালিপেটে থাকতে হবে এমনটাও কিন্তু একেবারেই নয়। ওজন ঝরাতে কেউ যেমন লেবুর জল খাচ্ছেন তো কেউ চিয়া সিড। অনেকেই আবার দিন শুরু করছেন জোয়ান মেথির জল দিয়ে। আর তাই আজ থাকল দারুণ একটি সবজির খোঁজ। শীতের এই সবজি নিয়ম মেনে খেতে পারলে ওজন কমবে আর শরীরও থাকবে সুস্থ।
শীতে আমাদের এখানে অনেক রকমের সবজি পাওয়া যায়। এর মধ্যে গাজর, শিম, বিট, মূলো, পালং, বাঁধাকপি, ফুলকপি, কড়াইশুটি, পিঁয়াজকলি ইত্যাদি। এছাড়াও শীতে প্রচুর পরিমাণে ছোট পেঁয়াজও ওঠে। জানেন কি এই পেঁয়াজ পাতা আর ছোট পেঁয়াজ অতিরিক্ত ওজন ঝরাতে সাহায্য করে?
পেঁয়াজের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা আমাদের অনেকটা সময় পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখে। আর পেট ভরা থাকলে তখন উল্টো পাল্টা অন্য খাবার খাওয়ার কোনও রকম ইচ্ছে হয় না। কম খাবার খেলে ওজন কমবেই। পেঁয়াজের মধ্যের এই ফাইবারই আমাদের খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
অনেকেই ভাবেন ডায়েট খাবারের মধ্যে কোনও রকম স্বাদ থাকে না। যে কারণে মন দিয়ে তা খেতেও পারেন না। তবে এই সবুজ পেঁয়াজের স্বাদ দারুণ। চিকেন স্ট্যু বা অন্য খাবারের মধ্যে মেশালে তার স্বাদ বাড়ে। খাবারের সঙ্গে কাঁচা ছোট পেঁয়াজ খেলে খেতেও বেশ ভাল লাগে। ওমলেট, স্যালাড, স্যুপে এই পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারেন।
সবুজ পেঁয়াজের মধ্যয়ে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং কে। পাশাপাশি রয়েছে ফোলেট, পটাশিয়াম এবং অন্য নানা খনিজ। ওজন কমাতে এই সব পুষ্টির ভূমিকা রয়েছে। শরীরে শক্তি যোগাতেও কাজে আসে এই সব খনিজ। শরীর সঠিক ভাবে পুষ্টি না পেলে সেখান থেকেও কিন্তু একাধিক সমস্যা আসতে পারে।
সবুজ পেঁয়াজে থাকে ডায়েটারি ফাইবার, যা হজম ভাল করায়। একই সঙ্গে মেটবলিজম বাড়াতেও সাহায্য করে এই সবুজ পেঁয়াজ। বিপাকীয় হার বাড়লে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি খুব সহজেই পোড়ানো সম্ভব হয়।
ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা, ডায়েট এই সবকিছুই মেনে চলতে হবে। শুধু একটি খাবার নয় জোর দিন সুষম আহারের উপর। শাকসবজি, গোটা শস্য, প্রোটিন এসবও কিন্তু ওজন কমানোর সহায়ক।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours