অনেকেই এই হোয়াইটহেডসকে ব্রণ ভেবে ভুল করে। ব্রণর মতো এগুলো ব্যথা হয় না। কিন্তু খুঁটলে সাদা রস নিঃসৃত হয়। পাশাপাশি মুখে দাগ হয়ে থাকে। তাই হোয়াইটহেডসকে চিনে রাখা দরকার। তাছাড়া তৈলাক্ত ত্বকে সবচেয়ে বেশি হোয়াইটহেডসের সমস্যা দেখা দেয়।

নাকের কোণে, ঠোঁটের নিচে হোয়াইটহেডসে ভরে গিয়েছে? না খুঁটে ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নিন

ব্রণই একমাত্র সমস্যা নয়, যা বিরক্তিকর। হোয়াইটহেডসও রয়েছে এই তালিকায়। সেবেসিয়াস গ্লান্ড থেকে যে তেল নিঃসৃত হয়, সেটি ত্বককে ময়েশ্চাইরাইজ রাখে। পাশাপাশি ত্বকে রোমকূপ ও হেয়ার ফলিকল থাকে। আপনার ত্বক যদি অতিরিক্ত পরিমাণে সেবাম উৎপন্ন করে, রোমকূপগুলোয় ময়লা জমতে থাকে। পাশাপাশি রোমকূপে মরা কোষ, সেবাম জমে। রোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে যায় এবং ব্যাকটেরিয়া উৎপন্ন করে। এখান থেকে হেয়ার ফলিকলগুলো ফুলে ওঠে। এগুলোকেই হোয়াইটহেডস বলা হয়। ব্রণর মতো এগুলো ব্যথা হয় না। কিন্তু খুঁটলে সাদা রস নিঃসৃত হয়। পাশাপাশি মুখে দাগ হয়ে থাকে। অনেকেই এই হোয়াইটহেডসকে ব্রণ ভেবে ভুল করে। তাই হোয়াইটহেডস তাড়ানোর সহজ উপায় জেনে রাখুন।


অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা কখনওই ত্বকের ক্ষতি করে না। বিশেষত, ব্যাকটেরিয়া দূর করার ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা সবচেয়ে বেশি কার্যকর। পাশাপাশি ত্বকের প্রদাহও কমায়। হোয়াইটহেডস দূর করাতে এবং উজ্জ্বল ত্বক পেতে আপনি অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। তাজা অ্যালোভেরা জেল নিয়ে দিনে দু’বার মুখে ঘষুন।

মধু: মধুর মধ্যে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা হোয়াইটহেডস দূর করতে দারুণ কার্যকর। ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া হোয়াইটহেডস তাড়াতে মধু উপযোগী। তার সঙ্গে ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজ রাখে। মাত্র ১৫ সেকেন্ডের জন্য মধু গরম করে নিন। এবার এই ঈষদুষ্ণ মধু সরাসরি হোয়াইটহেডসের উপর লাগান। ১৫ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours