যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে বারুইপুর পূর্ব, বারুইপুর পশ্চিম, ভাঙড়, যাদবপুর, টালিগঞ্জ, উত্তর সোনারপুর, দক্ষিণ সোনারপুর বিধানসভা কেন্দ্র। এদিন মিমি কোন বিধানসভা এলাকায় কত খরচ করেছেন, তার হিসাব তুলে ধরেন। লেখেন, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মিমির এমপি ল্যাড থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৭ কোটি ৬ লক্ষ ২ হাজার ৬২১ টাকা।
কুছ তো লোগ কহেঙ্গে', মমতার সঙ্গে সাক্ষাতের পরই মনের কথা লিখলেন মিমি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মিমি চক্রবর্তী। ফাইল ছবি
কলকাতা: তিনি আর ভোটে দাঁড়াতে চান না। রাজনীতি যে তাঁর জন্য নয়, সেকথাও বলেছেন মিমি চক্রবর্তী। এমনকী, ২৪ ঘণ্টা আগে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার চিঠিও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জমা দেন তিনি। এবার তালিকা প্রকাশ করে যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ জানালেন, কোন বিধানসভায় কীভাবে তাঁর সংসদ তহবিলের টাকা খরচ হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুক্রবার একটি পোস্ট করেন মিমি। সেখানেই এই খতিয়ান তুলে ধরেন। সঙ্গে লেখেন, ‘কুছ তো লোগ কহেঙ্গে, লোগো কা কাম হ্যয় কহেনা!’
বৃহস্পতিবারই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলের এই তারকা-সাংসদ জানান, তিনি আর ভোটে লড়তে চান না। রাজনীতি তাঁর জন্য নয়। যদিও মিমির সাংসদপদ থেকে ইস্তফা দিতে চাওয়ার ঘটনাকে সামনে রেখে নানা মহলে নানা চর্চা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে সাংসদ থাকাকালীন তিনি কাজই বা কতটা করেছেন? একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে তাঁর ভূমিকা কী?
শুক্রবার মিমি তাঁর ফেসবুক পেজে একটি নাতিদীর্ঘ পোস্ট করেন। লেখেন, ‘আমার জীবন অধ্যায়ের অধিকাংশ সময় অভিনয় জগতে থেকে মানুষকে মনোরঞ্জন দিতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু গত ৫ বছর বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ গণতন্ত্রের একজন সাংসদ রূপে যতটা কাজ সাধারণ মানুষের জন্যে করতে পেরেছি, মানুষের করের টাকা সঠিক ভাবে ব্যবহার করে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি, সৎপথে থেকে মাথা উঁচু করে এগিয়ে গেছি… সেই সফরের কথা মনে করলে মারাত্মক আত্মতুষ্টি হয়। তাই আনন্দের সাথে বিগত পাঁচ বছরের আমার সাংসদ রূপে যাবতীয় কাজের খতিয়ান আজ জনসমক্ষে তুলে ধরলাম।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours