চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করে, নির্বাচনের ফলে স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি), সেই আবেদনের দ্বিতীয় শুনানি ছিল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ, এক নতুন রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করতে বলেছে। আদালত বলেছে, নয়া রিটার্নিং অফিসার কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন, তা নিশ্চিত করতে হবে।

ব্যালট দেখবে খোদ সুপ্রিম কোর্ট! তীব্র ভর্ৎসনা চণ্ডীগড়ের রিটার্নিং অফিসারকে
রিটার্নিং অফিসার অনিল মসিহকে তীব্র তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের

 মঙ্গলবার দুপুর ২টার মধ্যে চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনের ভোট গণনার ভিডিয়ো এবং ব্যালট পেপারগুলি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে ভোট গণনার সময় উপস্থিত রিটার্নিং অফিসারকেও তীব্র তিরস্কার করেছে আদালত। আদালত জানিয়েছে, ‘ব্যালট পেপার বিকৃত করার’ জন্য অবশ্যই তাঁকে বিচার ব্যবস্থার আওতায় আনা দরকার। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ এদিন বলেছে, “চণ্ডীগড়ে এই ঘোড়া কেনাবেচার ঘটনায় আমরা ব্যথিত। ঘোড়া কেনা-বেচার এই ব্যবসা বন্ধ হওয়া উচিত। সেই জন্যই আমরা আগামীকাল নিজেই ব্যালট পেপার দেখতে চাই,” এতে যোগ করা হয়েছে।

চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করে, নির্বাচনের ফলে স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি), সেই আবেদনের দ্বিতীয় শুনানি ছিল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ, এক নতুন রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করতে বলেছে। আদালত বলেছে, নয়া রিটার্নিং অফিসার কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন, তা নিশ্চিত করতে হবে।

৩০ জানুয়ারি চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল বিজেপি। মেয়র এবং দুই ডেপুটি মেয়রের তিনটি পদেই কংগ্রেস-আপ জোটকে হারিয়ে দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু, এরপরই গণনার সময় কারচুপির অভিযোগ ওঠে। রিটার্নিং অফিসার অনিল মসিহের বিরুদ্ধে কারচুপি করার অভিযোগ এনে, নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল আপ। ভোট গণনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে অনিল মসিহ-কে বারবার সিসিটিভি ক্যামেরার দিকে চোরের মতো তাকিয়ে, ব্যালট পেপারগুলিতে পেন দিয়ে দাগ দিতে দেখা গিয়েছে। ওই ভিডিয়ো দেখেই অনিল মসিহকে তিরস্কার করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাঁকে এদিন আদালতে উপস্থিত হওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছিল।


এদিন শুনানির সময়, বেঞ্চ তাঁকে জিজ্ঞেস করে, কেন তিনি বারংবার সিসিটিভি ক্যামেরার দিকে তাকাচ্ছিলেন? জবাবে অনিল মসিহ বলেন, যে ব্যালট পেপারগুলি বাতিল হচ্ছিল, তিনি পেন দিয়ে দাগ দিয়ে সেগুলি চিহ্নিত করছিলেন। সেই সময় দু-একবার ক্যামেরার দিকে চোখ চলে গিয়েছিল তাঁর। বেঞ্চ এরপর জিজ্ঞাসা করে, কেন তিনি ব্যালট পেপারগুলি চিহ্নিত করছিলেন? অনিল মসিহ জানান, যাতে ওই ব্যালটগুলি বৈধ ব্যালটগুলির সঙ্গে মিশে না যায়, তার জন্যই দাগ দিয়ে চিহ্নিত করছিলেন তিনি। বেঞ্চ জানায়, এর অর্থ রিটার্নিং অফিসার ওই ব্যালটগুলি বিকৃত করেছেন। তাঁর বিচার হওয়া উচিত। নির্বাচনী গণতন্ত্রে এই ধরনের আচরণকে অনুমোদন দেওয়া যায় না। বুধবার, ব্যালটগুলি এবং গণনার ভিডিয়ো রেকর্ডিং নিয়ে অনিসল মসিহকে ফের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে, নির্বাচনের পর আপের তিনজন কাউন্সিলর আবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কাজেই নতুন করে নির্বাচন হলেও, চণ্ডীগড় মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে জয় সম্ভব নয় আপ-কংগ্রেসের। নয়া তিন কাউন্সিলর যোগ দেওয়ায় বিজেপির শক্তি বেড়ে হয়েছে ১৭। শিরোমণি অকালি দলের এক কাউন্সিলরও বিজেপিকে সমর্থন করছে। বিজেপির চণ্ডীগড়ের সাংসদ কিরন খেরেরও পদাধিকার বলে ভোটাধিকার রয়েছে। ফলে, বিজেপির দিকে ভোট রয়েছে ১৯টি। অন্যদিকে, আপের কাউন্সিলর কমে হয়েছে ১০। সঙ্গে রয়েছে কংগ্রেসের সাত কাউন্সিলর। ফলে, তাদের পক্ষে রয়েছে ১৭টি ভোট।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours