গত শুক্রবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধরনায় বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার দাবিতেই ধরনা দেন তিনি। একটু পিছনে ফিরে তাকালেই মনে পড়বে, গত বছর এই একই দাবি নিয়ে দিল্লি পর্যন্ত গিয়েছিলেন অভিষেক নিজে। ধরনা দিয়েছিলেন দেশের রাজধানীতে। ফিরে এসে বসেছিলেন রাজভবনের কাছে। তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, বকেয়া না মিটলে আসরে নামবেন খোদ দলনেত্রী।
অসুস্থ অভিষেক! সাংসদের মন্তব্যে চরমে জল্পনা
অভিষেককে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
কলকাতা: ধরনা মঞ্চে দেখা যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বসে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন, সেখানে একে একে অন্যান্য সাংসদরা হাজির হলেও দেখা মেলেনি তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেকের। কোথায় তিনি? রাজভবনের কাছে নিজে ধরনায় বসেছিলেন, অথচ দলনেত্রীর ধরনা মঞ্চে তিনি অনুপস্থিত রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। এরই মধ্যে সামনে এল নতুন তত্ত্ব। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় অসুস্থ, এমনটাই দাবি করলেন আর এক সাংসদ সৌগত রায়। তিনি নিজেও দিল্লি থেকে ফিরে উপস্থিত হন ধরনা মঞ্চে। তিনিই দাবি করলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই অনুপস্থিত অভিষেক। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত নন তিনি, এটা তাঁর নিছকই ধারণা।
গত শুক্রবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধরনায় বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার দাবিতেই ধরনা দেন তিনি। একটু পিছনে ফিরে তাকালেই মনে পড়বে, গত বছর এই একই দাবি নিয়ে দিল্লি পর্যন্ত গিয়েছিলেন অভিষেক নিজে। ধরনা দিয়েছিলেন দেশের রাজধানীতে। ফিরে এসে বসেছিলেন রাজভবনের কাছে। তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, বকেয়া না মিটলে আসরে নামবেন খোদ দলনেত্রী। অথচ লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতার ধরনায় নেই অভিষেক।
বিমানবন্দরে সৌগত রায়কে এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন, “এসেছে নিশ্চয়। আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখুন। আমি তো ওর পিএ নই।” এবার সেই একই প্রশ্নের উত্তরে সৌগত বলেন, আমি জানি না। আমার ধারণা ওর কোনও শারীরিক অসুস্থতা আছে। ওর সঙ্গে কথা হয়নি, তবে আমার মনে হয় চিকিৎসা চলছে।
সূত্রের খবর, অভিষেকের অফিস থেকে দুটো তথ্য় জানানো হচ্ছে। একাংশ বলছে, চিকিৎসার কাজে দিল্লিতে রয়েছেন তিনি, আর এক অংশ বলছেন ব্যক্তিগত কোনও জরুরি কাজে ব্যস্ত আছেন। আজ সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোনা যাচ্ছে, তাঁর সঙ্গেই কলকাতায় ফিরতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা উঠে গেলেও ধরনা মঞ্চ রয়েছে এখনও। ফিরে আসার পর সেখানে অভিষেককে দেখা যাবে কি না সেই জল্পনা রয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ বলেন, “এটা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য অসুস্থতা। মনের অসুস্থতা, এর কোনও চিকিৎসা হয় না।” তিনি আরও বলেন, “সিবিআই, ইডি কিছু করতে গেলে তখনই নাটক হয়।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours