কী কারণে এই টাকা নেওয়া হচ্ছে? স্পষ্টভাবে কিছুই জানেন না উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। স্কুলের থেকে অ্যাডমিট কার্ডের জন্য টাকা নেওয়া হলেও, এর প্রেক্ষিতে কোনও রশিদ দেওয়া হচ্ছে না, সেই অভিযোগও তুলছেন পরীক্ষার্থীরা। পড়ুয়ারা বলছেন, 'কোনও স্কুল থেকে তো অ্যাডমিটের জন্য টাকা নেয় না। আমাদের স্কুলে কেন নিচ্ছে? এটাই আমরা জানতে চাই।'
টাকা দিলে তবেই মিলছে পরীক্ষার অ্যাডমিট! অভিযোগে-বিতর্কে মালদার এই স্কুল
মালদার এই স্কুল ঘিরেই যত বিতর্ক
মালদা: সামনেই উচ্চমাধ্যমিক। পরীক্ষার্থীরা স্কুলে গিয়েছিল অ্যাডমিট কার্ড আনতে। আর সেখানেই উঠে আসছে ভয়ঙ্কর অভিযোগ। টাকা ছাড়া নাকি স্কুল থেকে দেওয়াই হচ্ছে না উচ্চমাধ্যমিকের অ্যাডমিট। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর থেকে ২২০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এই নিয়েই শনিবার স্কুলের সামনের রাস্তায় বিক্ষোভ দেখালেন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মানিকচক শিক্ষানিকেতন হাই স্কুলে। আর এই নিয়েই ব্যাপক হইচই পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
কিন্তু কী কারণে এই টাকা নেওয়া হচ্ছে? স্পষ্টভাবে কিছুই জানেন না উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। স্কুলের থেকে অ্যাডমিট কার্ডের জন্য টাকা নেওয়া হলেও, এর প্রেক্ষিতে কোনও রশিদ দেওয়া হচ্ছে না, সেই অভিযোগও তুলছেন পরীক্ষার্থীরা। পড়ুয়ারা বলছেন, ‘কোনও স্কুল থেকে তো অ্যাডমিটের জন্য টাকা নেয় না। আমাদের স্কুলে কেন নিচ্ছে? এটাই আমরা জানতে চাই।’ কী কারণে টাকা নেওয়া হচ্ছে, প্রশ্ন করায় পড়ুয়াদের নাকি বলা হয়েছে এটাই ‘বোর্ড ফি’। যাঁরা টাকা দিতে পারছে নাস, তাঁদের নাকি অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হচ্ছে না, এমন অভিযোগও উঠছে। পরীক্ষার্থীদের কেউ কেউ জানাচ্ছেন, তাঁরা বন্ধুদের থেকে ধার নিয়ে টাকা দিয়েছেন স্কুলে।
বিষয়টি আসলে কী চলছে, তা নিয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল স্কুলের টিআইসি সুব্রত প্রামাণিকের সঙ্গেও। টাকা নেওয়া হচ্ছে, সেই বিষয়টি মেনে নিলেও, পড়ুয়ারা ও অভিভাবকরা যে অভিযোগ তুলছে তা কার্যত ভিত্তিহীন বলেই দাবি করছেন মানিকচক শিক্ষানিকেতনের টিআইসি। তাঁর যুক্তি, পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সেন্টার ফি দু’দফায় ভাগ করে সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্যান্য স্কুলগুলি সেন্টার ফি ৪৫০ টাকা করে সংগ্রহ করেছে। কিন্তু এই স্কুলে পরীক্ষার্থীদের যাতে আর্থিক সমস্যা না হয়, তাই সেন্টার ফি-র টাকা ভাগ ভাগ করে নেওয়া হচ্ছে। তবে কেউ সেন্টার ফি দিতে না পারলে তাঁদের অ্যাডমিট দেওয়া হচ্ছে না, এমন কোনও অভিযোগ তাঁর কাছে নেই বলেই দাবি টিআইসির।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours