আরপিএফ সূত্রে জানা যাচ্ছে, গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে গত ২ জানুয়ারি শিয়ালদহ স্টেশনে এক বিশেষ অভিযান চালিয়েছিল আরপিএফ। সেই অভিযান চলাকালীনই শিয়ালদহ স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের কাছে এক ব্যক্তির চালচলন দেখে সন্দেহ হয় আরপিএফের। তাকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।


শিয়ালদহ স্টেশন থেকে গ্রেফতার সন্দেহজনক রোহিঙ্গা, কীভাবে ঢুকেছিল বাংলায়
শিয়ালদহ স্টেশন


কলকাতা: বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টার খবর মাঝেমধ্যেই প্রকাশ্যে আসে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়া নজরদারিতে এখন সীমান্তে চোরা অনুপ্রবেশ অনেক কমেছে। তবে এসবের মধ্যেই চমকে দেওয়ার মতো এক খবর। এবার আর সীমান্তবর্তী এলাকা নয়, খাস কলকাতা থেকে অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে পাকড়াও করা হয়েছে এই ব্যক্তিকে। প্রাথমিকভাবে রেল পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তি মায়ানমার থেকে বাংলাদেশ হয়ে এ রাজ্যে ঢুকেছিলেন। বনগাঁ থেকে লোকাল ট্রেনে চেপে শিয়ালদহ স্টেশনে এসেছিলেন। তারপর শিয়ালদহ স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের পিছন দিকে ঘাপটি মেরে বসেছিলেন। ওই ব্যক্তিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করে ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা রুজু করা হয়েছে। আরপিএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, ধৃত ওই ব্যক্তিকে সন্দেহজনক রোহিঙ্গা হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দু’টি মোবাইল ফোনও।
আরপিএফ সূত্রে জানা যাচ্ছে, গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে গত ২ জানুয়ারি শিয়ালদহ স্টেশনে এক বিশেষ অভিযান চালিয়েছিল আরপিএফ। সেই অভিযান চলাকালীনই শিয়ালদহ স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের কাছে এক ব্যক্তির চালচলন দেখে সন্দেহ হয় আরপিএফের। তাঁকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিজের নাম আরপিএফ-কে জানালেও, তিনি যে ভারতীয় নাগরিক, এমন কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপরও আরও চেপে ধরতেই ওই ব্যক্তি স্বীকার করে নেন, তিনি মায়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছেন। আরপিএফ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন ২০১৭ সালে মায়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজার এলাকায় থাকছিলেন। এরপর গত ৩১ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে অবৈধভাবে ভারতে ঢোকেন।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours