ওই চাকরি প্রাপকদের দাবি, তাঁরা যোগ্য, যোগ্যতামান নির্ধারণ করেই তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছিল। তারপর হঠাৎ করে এই দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করল। আর চাকরি কেড়ে নেওয়া হল।
'আমরা কেন ক্ষতিগ্রস্ত হব? আমরা কি দুর্নীতি করেছি?', হাইকোর্টে প্রশ্ন চাকরিহারাদের
কলকাতা হাইকোর্ট
কলকাতা: আমাদের নিয়োগ অবৈধ প্রমাণিত হলে আমরা অবিলম্বে চাকরি ছেড়ে বেরিয়ে যাব। কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই বললেন বিতর্কিত চাকরি প্রাপকদের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র। তাঁদের দাবি, তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও প্রমাণ নেই। তাহলে কেন ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে তাঁদের? এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে সেই শুনানিতেই এদিন সওয়াল করেন বিতর্কিত চাকরি প্রাপকদের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, কিছু গণ্ডগোল নিশ্চয় হয়েছে, কিন্তু আমরা সেটা করিনি।
পঙ্কজ বনশল কে, কেন তাঁর নাম উঠে আসছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী। তিনি বলেন, পঙ্কজ বনশল হঠাৎ করে এলেন, সিবিআই-কে হার্ড ডিস্ক দিয়ে হাওয়ায় মিলিয়ে গেলেন! বিচারপতি বসাক প্রশ্ন করেন, এক্ষেত্রে সিবিআই কিছু নথি দিয়েছে এবং এসএসসি সেই নথি গ্রহণ করেছে। এসএসসি বা সিবিআই কেউই কোনও আপত্তি জানায়নি। তাহলে অসুবিধা কোথায়?
ওই চাকরি প্রাপকদের দাবি, তাঁরা যোগ্য, যোগ্যতামান নির্ধারণ করেই তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছিল। তারপর হঠাৎ করে এই দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করল। আর চাকরি কেড়ে নেওয়া হল। বিতর্কিত চাকরি প্রাপকদের প্রশ্ন, “আমরা কী অন্যায় করেছি? আমরা কি দুর্নীতি করেছি? আমরা কেন ক্ষতিগ্রস্ত হব?”
বিচারপতি বলেন, আপনাদের মতোই বহু যোগ্য ব্যক্তি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁরা সবাই চাকরি পাননি। যদি দেখা যায় যে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা রয়েছে এবং তার সুবিধাভোগী আপনারাই, তাহলে কী হবে? আইনজীবী বলেন, “নিয়োগ অবৈধ হয়ে থাকলে আমার চাকরি নিয়ে নেওয়া হোক। কিন্তু আগে তো নথির সত্যতা প্রমাণ করতে হবে।” চাকরিহারাদের তরফে সওয়াল, ‘আমরা সবাই স্কুলে পড়াতাম, হঠাৎ করে চাকরি চলে গেল। সামাজিকভাবে আমরা অপমানের শিকার হলাম। কর্মস্থলে আমাদের সম্মানহানি হল।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours