মীনাক্ষীকে ক্যাপ্টেন বলে ডাকছেন খোদ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। সাফ বলছেন, প্রজেক্ট মীনাক্ষী নয়, ক্যাপ্টেন মীনাক্ষী। ওই তো আসল ক্য়াপ্টেন এখন। প্রচার তো হবেই। তুলনা টেনেছেন একেবারে ইলা মিত্রর সঙ্গে। যা নিয়ে চর্চা চলছিল রাজনৈতিক মহলে। এবার খোদ মীনাক্ষীর কথা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন চাপানউতর।
‘ক্যাপ্টেন’ হতে ‘আপত্তি’ মীনাক্ষীর, ব্রিগেড দাঁড়িয়ে বললেন কারণ
মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়
কলকাতা: রবিবারই ফের ব্রিগেডে উড়তে চলেছে লাল পতাকা। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে ডিওয়াইএফআইয়ের অন্দরে। সমাবেশের প্রস্তুতি দেখতে এদিন সকালে ব্রিগেডে যান বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)। সঙ্গে ছিলেন সংগঠনের অন্য নেতানেত্রীরা। মীনাক্ষীকে সামনে রেখেই এবার লোকসভা ভোটের আগে প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে বঙ্গ বাম। ক্যাপ্টেনকে মুখ করেই পোস্টারে, কাউআউটে ছেয়ে ফেলা হয়েছে বাংলা। মীনাক্ষীকে ক্যাপ্টেন বলে ডাকছেন খোদ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। সাফ বলছেন, প্রজেক্ট মীনাক্ষী নয়, ক্যাপ্টেন মীনাক্ষী। ওই তো আসল ক্য়াপ্টেন এখন। প্রচার তো হবেই। তুলনা টেনেছেন একেবারে ইলা মিত্রর সঙ্গে। যদিও ক্যাপ্টেন হতে কিন্তু ‘আপত্তি’ আছে মীনাক্ষীর। সমর্থন করছেন না কাটআউট প্রচারকেও।
ব্রিগেড থেকেই টিভি-৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে মীনাক্ষী বলেন, “আমাদের কাঠামোতে ৪ হাজার ইউনিট কমিটি। ৬৭০টা লোকাল কমিটি। ২২টা জেলা কমিটি রয়েছে। আমরা হলফ করে বলতে পারি আমাদের কাঠামোর মধ্যে এ জিনিসকে আমরা প্রচার করিনি। এই প্রচারকে আমরা প্রধান্য দিই না। মান্যতা দিই না। আমরা এই কাটআউট প্রচারকে সমর্থন করি না।” কিন্তু, রাজ্যব্যাপী তাহলে মীনাক্ষীর নামে এই ব্য়াপক পোস্টার, কাউআউট কারা দিল? উত্তর নেই খোদ মীনাক্ষীর কাছেও। এমনকী বিমান বসু কী বলেছেন সেটাও তাঁর জানা নেই বলেই অকপটে জানালেন তিনি। ক্যাপ্টেন সম্বোধনের কথা উঠতেই সোজা বলে দিলেন নীতি আদর্শের কথা। কোনও রাখঢাক না রেখেই বললেন, “আমি তো ক্যাপ্টেন নই। আমাদের ক্যাপ্টেন আমাদের গঠনতন্ত্র, আমাদের আদর্শ, আমাদের নীতি।” যদিও বিমানের যুক্তি, “স্বাধীনতার সময়ে একটু ডাকাবুকোদের তো ক্যাপ্টেন বলে সম্বোধন করত মানুষ। তাই তো ক্যাপ্টেনের প্রচার হচ্ছে। আগে তো ডিওয়াইএফআইয়ের কোনও মহিলা সেক্রেটারি ছিল না। সে কারণেই হয়তো এখন প্রচার বেশি হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে শেষবার ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকে ব্রিগেড হয়েছিল। তারপর দীর্ঘ সময় কেটে গিয়েছে। মাঝে বামেদের মূল সংগঠনের ডাকে একাধিকবার ব্রিগেড হলেও ১৬ বছর পর ফের ব্রিগেড ভরতে চলেছে যুবদের আহ্বানে। লোকসভার আগে এই ব্রিগেডকে পাখির চোখ করেই এগোতে চাইছে বামেরা। যদিও মীনাক্ষীর দাবি, ডিওয়াইএফআই ভোটের রাজনীতিতে থাকে না। তাই বলে কী লোকসভা ভোট নিয়ে কিছুই ভাবছেন না তাঁরা? নেই কোনও পরিকল্পনা? এমনকী সলতে পাকানোর কাজটাও কী শুরু হয়নি?
Post A Comment:
0 comments so far,add yours