আগেই চার্জশিটে নাম ছিল শান্তি প্রসাদ সিনহা, স্মরজিত আচার্য, সৌমিত্র সরকার, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের। পরে সিবিআই অতিরিক্ত চার্জশিটে একাধিক অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করেছে। আরও একবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কীভাবে ষড়যন্ত্র হয়েছে সে কথাও উল্লেখ করেছে সিবিআই।
চাকরি গিয়েও শান্তি নেই, মেয়ের নিয়োগ নিয়ে আরও বড় ফ্যাসাদে পরেশ অধিকারী
পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ
কলকাতা: পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও মন্ত্রী পদে থাকাকালীনই আরও এক বিধায়কের নাম জড়িয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে। তালিকায় পিছনে নাম থাকা সত্ত্বেও বেআইনিভাবে সহ শিক্ষিকা পদে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই চাকরি খুইয়েছেন অঙ্কিতা। তবে এখনই রেহাই পাবেন না প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। নিয়োগ মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সিবিআই জানিয়েছে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি ও নবম-দশমের চাকরি সংক্রান্ত দুর্নীতির তদন্ত শেষ হয়েছে। এদিন সেই মামলা সংক্রান্ত রিপোর্ট দিয়েছে সিবিআই। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম অভিযুক্ত হিসেবে আরও একবার চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনেছে সিবিআই।
সিবিআই জানিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে কারা যুক্ত ছিলেন, কাদের মাধ্যমে দুর্নীতি হয়েছে, সেই তথ্যই উঠে এসেছে চার্জশিটে। চার্জশিটে রয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর নাম। অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে নিজের মেয়েকে চাকরি দিয়েছিলেন পরেশ। একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে সিবিআই। ষড়যন্ত্র, অপরাধে সঙ্গী হওয়া, প্রতারণা করার মতো অভিযোগ উঠেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ১০৯, ২০১, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তৎকালীন ব্যক্তিগত সচিব সুকান্ত আচার্যকেও অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি , ২০১, ৪২০, ২০১, ৪৬৭ ও ৪৬৮ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours