রাহুল গান্ধীর 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'য় বাংলায় আসার বিষয়েও তৃণমূলকে কিছু জানানো হয়নি আগে থেকে। তা নিয়ে ইতিপূর্বেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর এসবের মধ্যেই ফের নয়া বিতর্ক। এবার থাকার জন্য স্টেডিয়ামই পাচ্ছেন না রাহুলরা, তাও আবার বাংলায় কংগ্রেসের অন্যতম ঘাঁটি বহরমপুরে। অভিযোগ তেমনই।
ইন্ডিয়া জোটের ডামাডোল অবস্থা। অন্তত বাংলার প্রাদেশিক সমীকরণ তেমনই। রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় বাংলায় আসার বিষয়েও তৃণমূলকে কিছু জানানো হয়নি আগে থেকে। তা নিয়ে ইতিপূর্বেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর এসবের মধ্যেই ফের নয়া বিতর্ক। এবার থাকার জন্য স্টেডিয়ামই পাচ্ছেন না রাহুলরা, তাও আবার বাংলায় কংগ্রেসের অন্যতম ঘাঁটি বহরমপুরে। অভিযোগ তেমনই।
‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায়’ ১ ফেব্রুয়ারি বহরমপুরে থাকার কথা রাহুল গান্ধীর। ঠিক তার আগের দিন ৩১ জানুয়ারি আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রশাসনিক সভা রয়েছে বহরমপুরে। সেই প্রশাসনিক সভা হবে বহরমপুর স্টেডিয়ামে। এদিকে আবার রাহুলদেরও গোটা টিমেরও বহরমপুর স্টেডিয়ামেই থাকার কথা ছিল বলে দাবি কংগ্রেসের।
তাদের বক্তব্য, জেলা প্রশাসনকে আগে থেকেই বিষয়টি জানানো ছিল। কিন্তু কংগ্রেসের বক্তব্য, জেলাশাসক গতকাল কংগ্রেসের নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছে বহরমপুর স্টেডিয়াম দেওয়া যাবে না। বিকল্প হিসেবে নিকটবর্তী এফইউসি মাঠ রাহুল গান্ধীর কর্মসূচির জন্য কংগ্রেসকে দেওয়ার ক্ষেত্রে সম্মত হয়েছেন তিনি। যদিও কংগ্রেসের দাবি, ওই এফইউসি মাঠে রাহুল গান্ধী ও তাঁর গোটা টিমের রাত্রিবাসের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই।
কেন এই ঘটনা ঘটল? তা নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের দিকেই আঙুল তুলছে কংগ্রেস শিবির। তাদের বক্তব্য, ‘হয়ত, উপর থেকে রাজ্য সরকারের বার্তা রয়েছে, রাহুল গান্ধীর যাত্রাপথকে খুব মসৃণ হতে দেওয়া যাবে না। আমরা চেয়েছিলাম সহযোগিতা, সহমর্মিতা। কারণ জোট করতে গেলে, তা ভিতর থেকে আসতে হয়। তবেই তা সম্ভব হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা যা সহযোগিতা চেয়েছিলাম, তা থেকে এখনও পর্যন্ত আমরা বঞ্চিত।’
এদিকে তৃণমূল বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডলের আবার বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি পূর্ব নির্ধারিত। রাহুলবাবু আসবেন কি আসবেন না, সেটা তাঁর ব্যাপার। কিন্তু সরকারের এই প্রশাসনিক কর্মসূচি পূর্ব নির্ধারিতই ছিল।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours