রচনা জিজ্ঞাসা করাতেই নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি পুষ্পিতা। বলে ফেলেন, মনের ভিতরে যা লুকিয়ে রয়েছে। কাঁপা গলায় পুষ্পিতা জানান, তাঁর যত চিন্তা ছেলেকে নিয়েই। কথা শোনে না।

টাকা ঢেলেও ফল জিরো! একমাত্র ছেলের জন্য কান্নায় ভেঙে পড়লেন পুষ্পিতা
ছেলের জন্য কান্নায় ভেঙে পড়লেন পুষ্পিতা

দীর্ঘ ৩০ বছরের কেরিয়ার তাঁর। অভিনেত্রী পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়কে কে না চেনেন? সেই পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়ই এবার দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে এসে কেঁদে ফেললেন। না, পেশাগত কারণ নয়, বরং তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই অতিষ্ঠ পুষ্পিতা। একমাত্র ছেলেকে ‘মানুষ’ করতে না পারার আক্ষেপ যেন কুরে কুরে খাচ্ছে তাঁকে। সম্প্রতি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় র রিয়ালিটি শো দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে এসেছিলেন তিনি। তাঁর মুখ-চোখের অবস্থা থেকে শো’র সঞ্চালক রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জিজ্ঞাসা করেন, কী হয়েছে তাঁর? সব ঠিক আছে তো?


রচনা জিজ্ঞাসা করাতেই নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি পুষ্পিতা। বলে ফেলেন, মনের ভিতরে যা লুকিয়ে রয়েছে। কাঁপা গলায় পুষ্পিতা জানান, তাঁর যত চিন্তা ছেলেকে নিয়েই। কথা শোনে না। ফোনের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে। তিনি বলেন, “সব ট্রাই করেছি আমরা। পড়াশোনায় জিরো। কিচ্ছু করতে পারছি না। কিছুতেই পারছি না। এত ফোনের নেশা ওর।” অসহায় মা আরও বলেন, “হাতে যদি একটু পাওয়ার থাকত তবে অনেক বাচ্চার জীবন সুন্দর হয়ে যেত। ওরা তো বুঝে নিজের ক্ষতিটা করছে না। ওরা নতুন জিনিস পেয়ে ভেসে গেল। আমি কিন্তু সবটা পুরো সময়টা ছেলেকে দিয়েছি। কিচ্ছু লাভ হয়নি।”

ফোনের নেশা নয়, অনলাইন গেমের নেশা পুষ্পিতার ছেলের। ছলছল চোখে রচনাকেও তিনি আর্জি জানান, কোনওভাবে এই গেমের নেশা বন্ধ করা যায় না কি? পুষ্পিতার আর্তি শুনে চোখ দ্রব হয়ে ওঠে রচনারও। পাল্টা তিনি বলেন, “তোর ছেলে ছোট , আমার জন ১১ এ পড়ে। আমিও এই ফেজ দিয়ে গিয়েছি। জানি। এটা তোকেই পারতে হবে। তোকেই ওকে বের করে আনতে হবে। তুই নিজে পজিটিভ থাক।” যদিও রচনার এই আশ্বাসবাণীতে মন ভেজেনি পুষ্পিতার। তিনি যে ভুক্তভোগী। তাঁর যন্ত্রণা বুঝতে পারবে সে সাধ্যি কার! তবে শুধু পুষ্পিতার সন্তানই নন, জেন জেডের অধিকাংশই এখন অনলাইন গেমে বুঁদ। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রচার চললেও অনেকের ক্ষেত্রেই তা নেশার আকার ধারণ করেছে, অভিনেত্রী পুত্রও এর ব্যতিক্রম নয়।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours