রেশন দুর্নীতির তদন্ত শুরু হওয়ার পর ৬০ দিনের মাথায় জমা পড়েছে এই চার্জশিট। সেখানে বালুর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে, তাতে বনমন্ত্রী আরও চাপে পড়তে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। সামনে এসেছে কয়েকশ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ।
৪৫০ কোটির দুর্নীতি! কত ধানে বালুর চাল চার্জশিটে জানাল
কলকাতা: গরিব মানুষের মুখের ভাত নিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে। রেশন দুর্নীতিতে এমন অভিযোগ সামনে এসেছে আগেই। এবার আরও বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনল কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। তারা প্রথম থেকেই বলেছিল, যে যে তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে তা অবাক করবে। চার্জশিট পেশ হওয়ার পর সামনে এল তেমনই কিছু তথ্য। ১০০ কোটির দুর্নীতির কথা আগেই বলা হয়েছিল। এবার ইডি দাবি করল, ৪৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছ। গরিব কৃষকদের অ্যাকাউন্টের বদলে ওই টাকা গিয়েছে ভুয়ো চাষিদের অ্যাকাউন্টে। অর্থাৎ কৃষক সাজিয়ে অন্তত ৫০ জনের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হত বলে দাবি ইডি-র।
চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, ওই সাজানো কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ৪৫০ কোটি টাকা পাঠিয়েছিল সরকারি সংস্থা। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল কমোডিটিস সাপ্লাই কর্পোরেশন’ নামক সংস্থা থেকে পাঠানো হত টাকা। আর ওই সংস্থার চেয়ারম্যান ও ডিরেক্টর ছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রশ্ন উঠছে, ডিরেক্টর না জানলে কি এত বড় দুর্নীতি আদৌ হওয়া সম্ভব।
ঠিক কীভাবে হল দুর্নীতি? ইডি জানাচ্ছে, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল কমোডিটিস সাপ্লাই কর্পোরেশন’ নামে ওই সরকারি সংস্থা ছিল কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার দায়িত্বে। ন্যুনতম সহায়ক মূল্যে ধান কিনে নেওয়ার ভার ছিল এদের ওপর। অর্থাৎ সরকারের দেওয়া টাকা সেই সব কৃষকদের অ্যাকাউন্টে না গিয়ে কিছু ভুয়ো কৃষকের অ্যাকাউন্টে চলে যেত ওই সংস্থার মাধ্যমেই? এমনটাই দাবি ইডি-র।
রেশন দুর্নীতির তদন্ত শুরু হওয়ার পর ৬০ দিনের মাথায় জমা পড়েছে এই চার্জশিট। সেখানে বালুর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে, তাতে বনমন্ত্রী আরও চাপে পড়তে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “সরকারি সংস্থা থেকে সাড়ে চারশ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হল, সেই সংস্থার চেয়ারম্যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তারপরও মুখ্যমন্ত্রী বলে চলেছেন জ্যোতিপ্রিয় ভাল। এবার মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours