বামেরা ক্ষমতায় থাকাকালীন পূর্ব মেদিনীপুরে সিপিএমের সাধারণ পার্টি সদস্য বা জেনারেল মেম্বার ছিলেন প্রায় ১৭ হাজার। ২০০৮-০৯ সাল থেকে সদস্য সংখ্যা কমতে থাকে। ২০১১ সালে সেই সংখ্যাটা কমে হয় সাড়ে চার হাজার। ২০১৮-'১৯ সালে আবার সংখ্যাটা ঊর্ধ্বমুখী হয়।
শুভেন্দুর জেলায় 'বিশ্বাসঘাতকদের' ছাঁটাই, ৪ হাজার 'বিশ্বস্ত'কে নিয়োগ CPM-এর
পূর্ব মেদিনীপুর: বঙ্গ রাজনীতিতে পূর্ব মেদিনীপুরের গুরুত্ব সব দলের কাছেই বেশি। বিজেপি-তৃণমূল যখন তাদের রণকৌশন প্রস্তুত করছে, তখন ঘর গোছাতে শুরু করল সিপিএমও। দলের মধ্যে থেকেও যাঁরা বিশ্বাস রাখতে পারেননি, তাঁদের একে একে বিদায় জানাচ্ছে বামেরা। সেই সঙ্গে তার থেকে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষকে জায়গা দেওয়া হচ্ছে দলে। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটে বিশ্বাসঘাতকতা করা কর্মীদের ছাঁটাই করে বিশ্বস্তদের পার্টির সদস্যপদ দেওয়া করেছে সিপিএম।
সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৪০৯৫ জনকে পার্টির সদস্যপদ দেওয়া হবে। তাঁরা আপাতত একাধিক গণফ্রন্টের সঙ্গে যুক্। লোকসভা ভোটে তাঁদের বিভিন্ন এলাকায় মুখ করা হবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সদস্যপদ দেওয়ার কাজ শেষ হবে। পঞ্চায়েত ভোটে ২৩২ জনকে দলবিরোধী কাজে যুক্ত থাকার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এদের অনেককে বহিষ্কার বা সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বামেরা ক্ষমতায় থাকাকালীন পূর্ব মেদিনীপুরে সিপিএমের সাধারণ পার্টি সদস্য বা জেনারেল মেম্বার ছিলেন প্রায় ১৭ হাজার। ২০০৮-০৯ সাল থেকে সদস্য সংখ্যা কমতে থাকে। ২০১১ সালে সেই সংখ্যাটা কমে হয় সাড়ে চার হাজার। ২০১৮-‘১৯ সালে আবার সংখ্যাটা ঊর্ধ্বমুখী হয়। আপাতত গোটা জেলায় ৮ হাজারের কিছু বেশি দলের সদস্য রয়েছেন। সাগরদিঘি উপ নির্বাচনের পর থেকে এই জেলার ছবিটা বদলাচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় সিপিএম নিজেদের ঘর গোছাতে সক্ষম হচ্ছে। তমলুক ও কাঁথি লোকসভা আসনে তারা চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো সাংগঠনিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours