প্রসঙ্গত, হাতে আর মাত্র কয়েক মাস। তারপরেই বেজে যাবে লোকসভা ভোটের দামামা। তার আগে গেরুয়া ব্রিগেডের বিগ্রেড কর্মসূচি নিয়ে জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে। যদিও ব্রিগেডের এই অনুষ্ঠানে রাজনীতির গন্ধ কিছুতেই পাচ্ছেন না বঙ্গ বিজেপির নেতারা।
ব্রিগেডে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল CPIM-এর, সেই ব্রিগেডে গীতাপাঠ! কী ভাবছেন সেলিমরা
প্রতীকী ছবি
কলকাতা: ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ হলে কি দ্রব্যমূল্যের দাম কমবে? পরিযায়ী শ্রমিক, বেকারত্ব কি কমে যাবে? যদি হয় তাহলে গীতাপাঠকে আমি স্বাগত জানাই।’ শনিবারই এ ভাষাতে খোঁচা দিতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। খোঁচা দিতে ছাড়ল না বামেরাও। পদ্ম শিবিরের লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানকে তীব্র কটাক্ষ করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ধর্মকে বর্ম করে অপকর্ম করতে সুবিধা হয়। তাই এসব হচ্ছে। পাখির চোখ করা হচ্ছে ভোটকে।
প্রসঙ্গত, হাতে আর মাত্র কয়েক মাস। তারপরেই বেজে যাবে লোকসভা ভোটের দামামা। তার আগে গেরুয়া ব্রিগেডের বিগ্রেড কর্মসূচি নিয়ে জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে। যদিও ব্রিগেডের এই অনুষ্ঠানে রাজনীতির গন্ধ কিছুতেই পাচ্ছেন না বঙ্গ বিজেপির নেতারা। তাঁদের একটাই কথা, মানুষকে জাগাতে, সমাজসেবায় ব্রতী করতেই এই উদ্যোগ। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত তো বলছেন, “রাজনীতির কোনও বিষয় নেই। এটা একটা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। সেখানে সবাই অংশ নিয়েছে। আমরাও অংশ নিয়েছি।”
পুরাণ মতে, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের ময়দানে অর্জুনকে গীতা পাঠ করে শুনিয়েছিলেন তাঁর সারথি শ্রী কৃষ্ণ। তবে কী লোকসভা ভোটের আগে এই ব্রিগেডই হয়ে উঠছে ভোটযুদ্ধের কুরুক্ষেত্র? হাসিমুখে সুকান্ত বলছেন, হ্য়াঁ, ব্রিগেডই তো বাংলার কুরুক্ষেত্র। প্রসঙ্গত, এদিন সাড়ে দশটায় শুরু হয় শোভা যাত্রা। তারপরই হয় আরতি। সাড়ে ১১টা অবধি চলে বেদ পাঠ। গীতাপাঠ শুরু হয় বেলা ১২টা ২০ মিনিটে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours