২০০৯ সালে আচমকাই জেপি মর্গানের মোটা টাকার চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেন মহুয়া মৈত্র। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। ফ্লাইট ধরে ফিরে আসেন দেশে। যোগ দেন কংগ্রেসে। জাতীয় কংগ্রেসের যুব শাখায় কাজ করেন। কংগ্রেসের 'আম আদমি কি সিপাহি' প্রকল্পের রাহুল গান্ধীর ভরসাযোগ্য় সঙ্গী ছিলেন মহুয়া।
ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার থেকে সাংসদ, অর্থনীতির স্নাতক মারপ্যাঁচ জানেন রাজনীতিরও
অসমের মেয়ে তৃণমূলের দাপুটে নেত্রী হলেন কীভাবে?
নয়া দিল্লি: জন্ম অসমে, পড়াশোনা বিদেশে। সংসদে তাঁর চাঁচাছোলা প্রশ্নের সামনে ঢোঁক গিলতে হয়েছে অনেক সাংসদকেই। সেই মহুয়া মৈত্রই (Mahua Moitra) খোয়ালেন সাংসদ পদ। ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার (Cash For Query) অভিযোগে এথিক্স কমিটির (Ethics Committee) সুপারিশে লোকসভা থেকে আজ, ৮ ডিসেম্বর বহিষ্কার করা হয় মহুয়া মৈত্রকে। সাংসদ পদ খোয়ানোর পরও দমে যাননি তৃণমূলের দাপুটে নেত্রী। হুংকার দিয়েছেন, ‘বিজেপির শেষের শুরু হল এখান থেকেই’। একইসঙ্গে জোর গলায় বলেছেন, ফের সংসদে ফিরে আসবেন তিনি। কীভাবে অঙ্ক ও অর্থনীতিতে স্নাতক জাতীয় স্তরে তৃণমূলের অন্যতম ‘মুখ’ হয়ে উঠলেন?
জন্ম ও বেড়ে ওঠা-
১৯৭৪ সালের ১২ অক্টোবর অসমের কাচার জেলার লাবাকে বাঙালি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম মহুয়া মৈত্রর। তবে তাঁর পড়াশোনা কলকাতাতেই। গোখেল মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল থেকে পড়াশোনা করেন তিনি। এরপরে ১৯৯৮ সালে তিনি ইংল্যান্ডের ম্যাসাচুসেটের মাউন্ট হোলিইয়ক কলেজ সাউথ হেডলি থেকে অঙ্ক ও অর্থনীতিতে স্নাতক হন।
কর্মজীবন-
মহুয়া মৈত্রের কর্মজীবনের শুরু বিখ্যাত জেপি মর্গান চেস সংস্থা থেকে। লন্ডন ও নিউইয়র্কে জেপি মর্গানের অধীনে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার হিসাবে কাজ শুরু করেন। ধীরে ধীরে জেপি মর্গানের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে উন্নীত হন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours