ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে দেখা যায়, স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতে বারবারই বিশাল বিশাল সব রাজনৈতিক কর্মযজ্ঞের সাক্ষী থেকেছে এই ব্রিগেড। পা পড়েছে দেশ-বিদেশের বড় বড় সব নেতার। ১৯৫৫ সালে এই ব্রিগেডেই বক্তৃতা দিয়েছিলেন সোভিয়েত রাশিয়ার তৎকালীন রাষ্ট্র প্রধান নিকিতা ক্রুশ্চেভ।
ব্রিগেড বিবর্তন: নেহরু-মুজিব-জ্যোতি-বুদ্ধ-মমতা-মোদী-গীতা
ফিরে দেখা ব্রিগেডের ইতিহাস
কলকাতা: ‘ব্রিগেডে মিটিং হবে লক্ষ লক্ষ মাথা, ব্রিগেডে মিটিং শেষ হাঁপাচ্ছে কলকাতা’ আজ যেন বারবার ফিরে ফিরে আসছে সুমনের কবিতার সেই লাইনগুলিই। সকাল থেকেই থিকথিকে ভিড় দেখা গেল হাওড়া-শিয়ালদহে (Howrah-Sealdah)। জেলা থেকেই যাত্রী বোঝাই করে এল বাসের দল। যে ব্রিগেড এক সময় কাঁপত জ্যোতি বসু, বিমান বসু (Biman Basu), বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মতো বাম নেতাদের (Left Leader) আগুনে ভাষণে, সেই ব্রিগেডই রবির সকালে গুঞ্জরিত হল হাজার হাজার শঙ্খধ্বনিতে। চলল বেদ পাঠ, গীতা পাঠ। কার্যত মিছিল করে ব্রিগেড (Brigade) প্যারেড গ্রাউন্ডে ঢুকলেন হাজার হাজার সাধু-সন্তরা। ‘লাল’ ব্রিগেড যেন এক লহমাতেই পরে নিল ‘গেরুয়া’ বসন। পদ্ম শিবিরের এই কর্মসূচি নিয়ে বিস্তর কাটাছেঁড়া চলছে রাজনৈতিক মহলে। ‘ধর্মকে বর্ম করে অপকর্ম চলছে’, তীব্র কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে সেলিমদের। খোঁচা দিয়েছে তৃণমূলও। এই ব্রিগেডেই এক সময় পা পড়েছিল মমতারও।
বিধান রায় থেকে নেহরু
ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে দেখা যায়, স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতে বারবারই বিশাল বিশাল সব রাজনৈতিক কর্মযজ্ঞের সাক্ষী থেকেছে এই ব্রিগেড। পা পড়েছে দেশ-বিদেশের বড় বড় সব নেতার। ১৯৫৫ সালে এই ব্রিগেডেই বক্তৃতা দিয়েছিলেন সোভিয়েত রাশিয়ার তৎকালীন রাষ্ট্র প্রধান নিকিতা ক্রুশ্চেভ। এসেছিলেন রাশিয়ার আরও এক রাষ্ট্রপ্রধান নিকোলাই বুলগানিন। তখন দেশে কংগ্রেসের শাসনকাল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেদিন মঞ্চে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়কে। ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুও।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours