ভারত ছাড়াও অন্যান্য কয়েকটি দেশ পেঁয়াজ রফতানি করে, কিন্তু সেক্ষেত্রে দাম অনেক বেশি লাগে। তাই এশিয়ার এই দেশগুলি সবথেকে বেশি পেঁয়াজ আমদানি করে ভারত থেকেই। ভারত রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় চিন, মিশর, তুরষ্কের দ্বারস্থ হয়েছে এই দেশগুলি।
ভারতের এমন সিদ্ধান্তে 'চোখে জল' দুই মুসলিম দেশের
বিপাকে বাংলাদেশ, আরব-আমিরশাহী
নয়া দিল্লি: বিভিন্ন ফসলের জন্য ভারতের দিকে তাকিয়ে থাকে এশিয়ার একাধিক দেশ। এর মধ্যে অন্যতম পেঁয়াজ। বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া বা সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মতো দেশগুলিতে যে ধরনের খাবার খাওয়া হয়, তাতে পেঁয়াজ আবশ্যক। পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করার কথা ভাবাই যাই না। কিন্তু চলতি মাসে ভারত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে রীতিমতো বিপাকে পড়েছে ওইসব দেশগুলি। গত ৭ ডিসেম্বর কেন্দ্র ঘোষণা করেছে, আপাতত বন্ধ থাকবে পেঁয়াজ রফতানি। দেশের মানুষ এই খবরে স্বস্তি পেলেও, এই সিদ্ধান্তের জেরেই মাথাব্যাথা বেড়েছে এশিয়ার সব দেশগুলির।
ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি হয় মূলত বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, নেপাল ও আরব আমিরশাহীতে। ভারত রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় ওই সব দেশগুলিতে একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে পেঁয়াজের দাম। সাধারণ মানুষের পক্ষে পেঁয়াজ কেনাই দায় হয়ে গিয়েছে। ঢাকার এক বাসিন্দা বলছেন, প্রায় সব রান্নার জন্যই পেঁয়াজ দরকার হয়। হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়ায় কেনা দায় হয়ে উঠেছে। নেপালের জনপ্রিয় ‘চিকেন চিলিজ’ থেকে শুরু করে মালয়েশিয়ার ‘শ্রিম্প পেস্ট’- সবেতেই পেঁয়াজ গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ।
ভারত ছাড়াও অন্যান্য কয়েকটি দেশ পেঁয়াজ রফতানি করে, কিন্তু সেক্ষেত্রে দাম অনেক বেশি লাগে। তাই এশিয়ার এই দেশগুলি সবথেকে বেশি পেঁয়াজ আমদানি করে ভারত থেকেই। ভারত রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় চিন, মিশর, তুরষ্কের দ্বারস্থ হয়েছে এই দেশগুলি। তবে তাতে দাম খুব একটা কমবে না। কোথাও কোথাও ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে পেঁয়াজের দাম।
ভারতে সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল। সেই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতেই রফতানি বন্ধের ভাবনা কেন্দ্রের। ২০২৪-এর মার্চ মাস পর্যন্ত এই নির্দেশিকা লাগু থাকবে। ভারতের এই পদক্ষেপের পর ইতিমধ্যে কমেছে পেঁয়াজের দাম। দু সপ্তাহে প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে দাম।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours