বহরমপুরের শহিদ ক্ষুদিরাম পাঠাগারের তরফে একটি ক্যান্সার ইউনিটের উদ্বোধন ছিল এদিন। অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত ছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানেই এদিন বিচারপতি বলেন, বিচার ব্যবস্থা থেকে অবসরের পর তিনি লেখালেখি করতে চান। দলীয় রাজনীতির থেকে লেখালেখিতেই আগ্রহ তাঁর, বলেন এদিন।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কী করবেন অবসরের পর, নিজের মুখেই জানালেন
মুর্শিদাবাদে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
মুর্শিদাবাদ: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে নির্বাচন চান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শনিবার নিজেই সে কথা বলেছেন। কিন্তু অধীর চাইলেও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কীভাবে দেখছেন প্রদেশ সভাপতির এমন ইচ্ছা কে? শনিবার অধীরের জেলাতেই এক অনুষ্ঠানে গিয়ে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এটা একেবারেই একটা রাজনৈতিক কথা। এ বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। এ নিয়ে আমার বলার কথা নয়।” তবে একইসঙ্গে বিচারপতি বলেন, “অবসরের পর আমি রাজনীতিতে আসতে পারি। তবে সেটা দলীয় রাজনীতি নাও হতে পারে। পার্টি পলিটিক্স নাও হতে পারে।”
উল্লেখ্য, বহরমপুরের শহিদ ক্ষুদিরাম পাঠাগারের তরফে একটি ক্যান্সার ইউনিটের উদ্বোধন ছিল এদিন। অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত ছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানেই এদিন বিচারপতি বলেন, বিচার ব্যবস্থা থেকে অবসরের পর তিনি লেখালেখি করতে চান। দলীয় রাজনীতির থেকে লেখালেখিতেই আগ্রহ তাঁর, বলে জানান এদিন।
এদিকে শনিবারই মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে করেন অধীর চৌধুরী। সেখানে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বাংলার মানুষের কাছে যে বিশ্বাস, আস্থা অর্জন করেছেন, আমরা চাইব আগামিদিনে এ বাংলায় বিচারপতিকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে একটা নির্বাচন হোক। আর সেই ভোট হলে আমি সবার আগে ভোটের লাইনে দাঁড়াব।”
অন্যদিকে, অধীরের এই মন্তব্য নিয়ে খোঁচা দেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বাম, আইএসএফ-কে নিয়ে কংগ্রেস কিছু না পেরে এখন একজন ‘সিটিং জাজ’কে নিয়ে এসব বলছেন বলে মন্তব্য করেন কুণাল। অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, “আমি তো জানি না যে বিচারপতিরা ভোটে দাঁড়াতে পারেন কি না। আমাকে দেখতে হবে সংবিধান। যদি উনি ভোটে দাঁড়াতে পারেন, তাহলে তো যিনি বলছেন, তিনি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতেই পারেন।” অন্যদিকে তৃণমূলের বিধায়ক তাপস রায়ের বক্তব্য, “বাইরে থেকে যখন কাউকে খুঁজতে হয়, তখন ধরে নিতে হয় কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রজেক্ট করার কেউ নেই।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours