শুভাশিসের মায়ের মুখে শঙ্কর ঘোষ নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। শুভাশিসের মা মন্দিরা মোহন্তের দাবি, তাঁর ছেলে সক্রিয় সমাজকর্মী। এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিবাদে সবসময় সরব হতেন শুভাশিস। তা নিয়েই শঙ্করের সঙ্গে একাধিকবার ঝামেলা হয়েছে।
কানে স্ক্র্যু ড্রাইভার দিয়ে খুঁচিয়ে নৃশংস খুন, বর্ধমানে মারাত্মক অভিযোগ
মন্দিরা মোহন্ত ও শুভাশিস মোহন্ত।
পূর্ব বর্ধমান: রুটি কিনে ফেরার পথে নৃশংসভাবে খুন হলেন এক ব্যক্তি। পুরনো বিবাদের জেরে এই ঘটনা বলে দাবি পরিবারের। নিহতের নাম শুভাশিস মোহন্ত ওরফে কার্তিক (৪৮)। ইছলাবাদ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। বর্ধমান শহরের ১০ নম্বরের ওয়ার্ডের শ্রীপল্লী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পরিবারের দাবি, শনিবার গভীর রাতে বর্ধমান শহরের পির বীরহাটা শ্রীপল্লি এলাকায় একটি হোটেল থেকে খাবার কিনতে যান। সেখান থেকে রুটি কিনে ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে।
শুভাশিসের মায়ের মুখে শঙ্কর ঘোষ নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। শুভাশিসের মা মন্দিরা মোহন্তের দাবি, তাঁর ছেলে সক্রিয় সমাজকর্মী। এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিবাদে সবসময় সরব হতেন শুভাশিস। তা নিয়েই শঙ্করের সঙ্গে একাধিকবার ঝামেলা হয়েছে। মন্দিরাদেবীর কথায়, “রুটি নিয়ে ফিরছিল ছেলেটা। ওকে পিছন দিক থেকে মাথায় মারে। পুরনো হিসাব নিয়ে ঝামেলা। এরপর কানে স্ক্র্যু ড্রাইভার দিয়ে খোচানো হয়।” বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে শুভাশিসকে নিহত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা।
যে দোকান থেকে শনিবার রাতে শুভাশিস রুটি কেনেন, দোকান মালিক শিবশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাতে তিনজন রুটি কিনতে এসেছিলেন। হঠাৎই দু’জন বাইক নিয়ে বেরিয়ে যান। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুভাশিস রক্তাক্ত অবস্থায় ফিরে আসেন।” ঘটনাস্থল থেকে একটি টোটোয় করে রক্তাক্ত শুভাশিসকে নিয়ে যাওয়া হয়। টোটো চালক সুজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, কান দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল ওই ব্যক্তির। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। অভিযুক্ত শঙ্কর পলাতক।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours