পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, এলাকাবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে আপাতত পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর কানাইলাল দাসও। পুরসভার বিরোধী নেত্রী, তথা ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর জয়া দাস নাগও।


রূপনারায়ণের ধারে ৩০০ বেওয়ারিশ লাশ পোঁতার ভাবনা? তুমুল বিক্ষোভ তমলুকে
তমলুকে তুমুল বিক্ষোভ


তমলুক: রাত বাড়তেই তুমুল উত্তেজনা তমলুকে। রূপনারায়ণ নদের ধারে বিশাল বিশাল গর্ত খোঁড়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তিনটি গর্ত খোঁড়া হয়েছে বুধবার বিকেলে। আর সেই গর্ত খোঁড়া ঘিরেই যাবতীয় বিতর্ক। ঘটনাটি ঘটেছে, তমলুক শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। এলাকাবাসীদের বক্তব্য, তাঁরা জানতে পেরেছেন, তমলুক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রায় ৩০০ বেওয়ারিশ লাশ সেই গর্তগুলিতে পোঁতা হবে। আর সেই নিয়েই বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদা। যেখানে গর্ত খোঁড়া হয়েছে, সেটি সরকারি জমিই। গর্ত খোঁড়া নিয়ে কোনও জটিলতা থাকার কথা নয়। কিন্তু এলাকাবাসীদের ক্ষোভ, নদীর পাড়ে এই এলাকায় বাচ্চারা খেলাধুলো করে। তার উপর শীতকালে পিকনিকও হয় এখানে। এমন অবস্থায় এই জমিতে কোনওভাবেই বেওয়ারিশ লাশ পুঁততে দিতে চাইছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, এলাকাবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে আপাতত পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর কানাইলাল দাসও। পুরসভার বিরোধী নেত্রী, তথা ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর জয়া দাস নাগও। এলাকাবাসীদের ক্ষোভ প্রশমন করতে ব্যস্ত দুই কাউন্সিলরই। বিজেপি নেত্রীর বক্তব্য, জনবহুল একটি এলাকায় এমন কাজ করার সিদ্ধান্ত কীভাবে নিল প্রশাসন? এটি ভাবার বিষয়। এই জমিতে বেওয়ারিশ লাশ পোঁতা হলে, বিভিন্ন রকম রোগ ছড়ানোর আশঙ্কাও রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। কেন বেওয়ারিশ লাশগুলি বৈদ্যুতিক চুল্লিতে না পুড়িয়ে স্থানীয় মানুষদের হেনস্থা করা হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পুরসভার বিরোধী নেত্রী।

এদিকে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর কানাইলাল দাসও বলছেন, প্রশাসনের এই পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি আগেভাগে কিছুই জানতেন না। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকেই তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন। তাঁর বক্তব্য, “আমাকে কিছু জানানো হয়নি। আমি জানিও না। আমি বিষয়টি জানতে পেরেই থানায় ফোন করেছি। পুলিশ আমাকে তখন জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের কথা।” কাউন্সিলরের বক্তব্য, তাঁকে আগে থেকে জানানো হলে, তিনি স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতেন। তৃণমূল কাউন্সিলরও বলছেন, এই কাজ করার আগে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে আগে আলোচনা করতে হবে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours