তাঁরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা। ২০ থেকে মধ্য ৩০ বছরের মধ্যে তাঁদের বয়স। তাঁরা বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি থেকে উঠে আসা। শিক্ষাগত যোগ্যতাও এক জনের একেক রকম। ধর্মেরও ফারাক রয়েছে। এক এক জনের লক্ষ্যও আলাদা।
কোনও বিষয়েই তাঁদের মধ্যে মিল তেমন নেই। এদের কেউ ই-রিক্সাচালক তো, কেউ ইঞ্জিনিয়া, কেউ পড়ান স্কুলে, কেউ সমাজকর্মী। কিন্তু সংসদে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে হামলা চালিয়েছেন তাঁরা।
কারা এই সাগর, অমল, নীলম, ললিত? দেড় বছরের আলাপেই কাঁপিয়ে দিল দেশের সংসদ
সংসদে হানা দেওযায় অভিযুক্ত পাঁচ জন।
নয়াদিল্লি: সংসদের অধিবেশন কক্ষে ঢুকে তাণ্ডব, বম্ব ফাটিয়ে রঙিন ধোঁয়া তৈরি করা, সংসদের বাইরে স্লোগানিং। বুধবার দেশের সংসদে ৬ যুবক-যুবতীর হানা দেখে গোটা দেশ। তার মধ্যে পাঁচ জন ধরা পড়লেও, এক জন এখনও পলাতক। তবে ৬ জনেরই পরিচয় ইতিমধ্যে সামনে এসেছে। তাঁরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা। ২০ থেকে মধ্য ৩০ বছরের মধ্যে তাঁদের বয়স। তাঁরা বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি থেকে উঠে আসা। শিক্ষাগত যোগ্যতাও এক জনের একেক রকম। ধর্মেরও ফারাক রয়েছে। এক এক জনের লক্ষ্যও আলাদা। কোনও বিষয়েই তাঁদের মধ্যে মিল তেমন নেই। এদের কেউ ই-রিক্সাচালক তো, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ পড়ান স্কুলে, কেউ সমাজকর্মী। কিন্তু সংসদে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে হামলা চালিয়েছেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচয়ের পর দেড় বছরের মধ্যে এই হানার পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়িতও করেছেন।
সংসদে হানা দিয়ে ১৩ ডিসেম্বরের স্মৃতি ফিরিয়েছেন সাগর শর্মা, নীলম আজাদ, মনোরঞ্জন ডি, অমল শিণ্ডে, ভিকি শর্মা, ললিত ঝা। অনেক চেষ্টা করেও চাকরি জোটাতে পারেননি তাঁরা। সেই হতাশা থেকেই সংসদে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।
অধিবেশন কক্ষে হামলা চালাতে যাঁদের দেখা গিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে অন্যতম সাগর শর্মা। দিল্লিতে জন্ম হলেও উত্তর প্রদেশের লখনউয়ে পরিবারের সঙ্গে থাকেন তিনি। চাকরি না পেয়ে ই-রিক্সা চালালেও ভগৎ সিংয়ের আদর্শ তাঁকে উদ্বুদ্ধ করত বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। সংসদে ধরা পড়ার পর সাংসদদের হাতে বেশ মারও খেয়েছেন সাগর।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours