কৌতুককে খেলোয়াড় সুলভ মনোভাব বা স্পোর্টিংলি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের আইনজীবী সাংসদ। কল্যাণ বলেছেন, “আমরা প্রথম মিমিক্রি শিখলাম প্রধানমন্ত্রীর থেকে সংসদে। তার পর নির্মলা সীতারমনের থেকে। আমরা তো স্পোর্টিংলি নিলাম। আর এখন যদি কৌতুক না বুঝতে পেরে কাঁদতে আরম্ভ করে, আমার তো কিছু করার নেই।” এই কথা বলতে গিয়ে কান্নার মিমিক্রি করলেন তিনি।
এ বার ধনখড়ের কান্নার মিমিক্রি কল্যাণের, দিলেন কৌতুককে ‘স্পোর্টিংলি’ নেওয়ার বার্তা
ফের ধনখড়কে মিমিক্রি করলেন কল্যাণ
কোন্নগর: উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের মিমিক্রি করে সংসদে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণের মিমিক্রি করা নিয়ে সমালোচনার শিকারও হতে হয়েছে তাঁকে। এত কিছু সত্ত্বেও নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেননি শ্রীরামপুরের সাংসদ। শনিবার হুগলি জেলার কোন্নগরের আয়োজিত দলীয় সভা থেকে ফের ধনখড়ের উদ্দেশ্যে মিমিক্রি করলেন তিনি। সংসদে কৌতুক করা সংক্রান্ত বক্তব্য রাখার সময় দলীয় সভাতেই ধনখড় কীভাবে কাঁদেন, তা কৌতুক করে দেখিয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি কৌতুককে স্পোর্টিংলি নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। কার থেকে তিনি কৌতুক করা শিখিয়েছেন তাও এ দিন খোলসা করেছেন ধনখড়।
কোন্নগরে দলীয় কর্মসূচিতে এসে সাংসদদের সাসপেন্ড করা নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে কল্যাণ বলেছেন, “প্রথমে ১৫, তার পর ৪০। তার পর ১৪১ জন সাসপেন্ড হয়ে গেল। ভারতের গণতন্ত্রে এ রকম ঘটনা কখনও ঘটেনি। নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের হিম্মত হয়নি বিরোধীদের মুখোমুখি হওয়ার। আমরা এর প্রতিবাদও করেছি। প্রতিবাদের অনেক রকম ভাষা হয়। চিৎকার, ঠেলাঠিলির পাশাপাশি প্রতিবাদের ভাষা মজার মাধ্যমেও হতে পারে।” কিন্তু সেই মজা অনেকে বুঝতে পারেন না বলেও আক্ষেপ করেছেন কল্যাণ। এ প্রসঙ্গে আরও এক বার উপরাষ্ট্রপতিকে ব্যঙ্গ করেছেন। বলেছেন, “অনেকে মজা করাটা বুঝতে পারে না। এটা তাঁর অক্ষমতা। অন্য কারও নয়। বাংলায় এক বার পা দিয়েই সব কিছপ জানা যায় না। নিজের পায়ে দাঁড়াতে হয়। জ্যাঠা-কাকাকে ধরে দিল্লি গেলেই কী সব শেখা যায়।”
এর পরই কৌতুককে খেলোয়াড় সুলভ মনোভাব বা স্পোর্টিংলি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের আইনজীবী সাংসদ। এ সংক্রান্ত কথা বলতে গিয়ে ফের ধনখড়কে অনুকরণ করছেন। কল্যাণ বলেছেন, “আমরা প্রথম মিমিক্রি শিখলাম প্রধানমন্ত্রীর থেকে সংসদে। তার পর নির্মলা সীতারমনের থেকে। আমরা তো স্পোর্টিংলি নিলাম। আর এখন যদি কৌতুক না বুঝতে পেরে কাঁদতে আরম্ভ করে, আমার তো কিছু করার নেই।” এই কথা বলতে গিয়ে কান্নার মিমিক্রি করলেন তিনি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours