শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে পুলিশি জুলুমবাজি ও তৃণমূলের সন্ত্রাস বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভা আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা বিভিন্ন ইস্যুতে মুখ খোলেন। এ কথা- ও কথা বলতে গিয়ে বাম আমলের কথা উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে।
সিপিএমের 'বসে থাকা' নেতাদের লোকসভা ভোটে মাঠে নামাবেন শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী, বিরোধী দলনেতা
খেজুরি: খেজুরির সভা থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখে সিপিএম-এর নাম। দুর্নীতি ইস্যুতে মন্তব্য করতে গিয়ে সিপিএম-এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মুখ খোলেন শুভেন্দু। সঙ্গে এও দাবি করেন, এখন অনেক বাম নেতা বিরোধী দলনেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। দরকার পড়লে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁদেরও মাঠে-ময়দানে নামাবেন তিনি।
শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে পুলিশি জুলুমবাজি ও তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা বিভিন্ন ইস্যুতে মুখ খোলেন। এ কথা- ও কথা বলতে গিয়ে বাম আমলের কথা উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। বলেন, এখন এলাকায় যাঁরা দাপিয়ে তৃণমূল করছে ২০১০ সালে তাঁরা সিপিএম-এর ভয়ে কাঁপত। তৎকালীন সময়ে সিপিএম-এর সঙ্গে লড়াইয়ে তিনি একা গিয়েছিলেন কামারদাতে। শুভেন্দু বলেন, “আমায় দেখে ওই দিন সিপিএম ছুটে পালিয়ে গিয়েছিল। আমি ওদের ছোটাতে ছোটাতে উত্তর দেউলপোতা পার করে শুনিয়াতে ঢুকিয়ে এসেছিলাম বলে আজ এই এলাকায় তৃণমূলের অস্তিত্ব রয়েছে। সেইদিন যদি আমি না থাকতাম এদের সিপিএম তুলে দিয়েছিল।”
তৃণমূলের এই সব নেতাদের ক্ষমতাচ্যুত করতে সিপিএম এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও মনে করেছেন বিজেপি নেতা। বলেছেন, “সিপিএম-এর অনেক বলিষ্ঠ নেতা বাড়িতে বসে রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি ওই প্রবীণ নেতাদের লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি-র পক্ষে মাঠে নামাব। আমার সঙ্গে সকলের কথা হয়েছে।”
এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “শুভেন্দু কি বিজেপি ছেড়ে যে সকল বিধায়ক তৃণমূলে গিয়েছেন তাঁদের ঘরে ফেরাতে পারবেন? আগে সেটা চেষ্টা করুন। নিজের দলের লোককে আনতে পারছেন না। বড় বড় কথা। কার সঙ্গে কথা হয়েছে আমি জানি না। তবে মোদীজির সঙ্গে কথা হতে পারে যে বিজেপি আর তৃণমূল দুয়ে মিলে গেলে সিপিএম টার্গেট। অনেকবারই এই টার্গেট করেছে।” সিপিআইএম জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য হিমাংশু দাস বলেন, “আমাদের কেউ বসে গিয়েছেন বলে জানি না। তবে লক্ষ্মণ শেঠের সময় দল যাঁদের বহিষ্কার করেছিল তাঁদের অনেকেই ওদের দলে গিয়ে নেতাগিরি করছেন। তবে যাঁরা সিপিএম-কে ভালবাসে তাঁরা কেউ যাবে না।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours