ভয়ঙ্কর ঘটনা! হাওড়াগামী চলন্ত লোকালের মহিলা কামরায় উঠে অতর্কিতে গুলি, মৃত্যু


 লোকাল ট্রেনের মধ্যে গুলি চালাল কে! বোঝাই দুস্কর।আকস্মিকতার ঘোর কাটিয়ে উঠতেই সহযাত্রীরা দেখতে পান, একটি যুবক সিটের কোণে রক্তাক্ত হয়ে পড়ে রয়েছেন। হাতের মুঠোয় তখনও তাঁর বন্দুক ধরা। মাথা-কপাল থেকে চুইয়ে বেরোচ্ছে রক্ত। 
 ভয়ঙ্কর ঘটনা! হাওড়াগামী চলন্ত লোকালের মহিলা কামরায় উঠে অতর্কিতে গুলি, মৃত্যু
হাওড়াগামী লোকাল ট্রেনে চলল গুলি
বর্ধমান: হাওড়াগামী বর্ধমান লোকাল ট্রেনে তখন বেশ ভালই ভিড়। সকলেই ব্যস্ত নিজের নিজের জায়গা করে নিতে। যাত্রীর ভিড়ে মিশে ছিলেন ওই যুবক। আর পাঁচ জনের মতনই তাঁর আচরণ ছিল স্বাভাবিক, বলছেন সহযাত্রীরা। আচমকাই ট্রেনের গতির তাল কাটল গুলি শব্দে। সকলে হতচকিত হয়ে যান। হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। চলন্ত লোকাল ট্রেনের মধ্যে গুলি চালাল কে! বোঝাই দুস্কর।আকস্মিকতার ঘোর কাটিয়ে উঠতেই সহযাত্রীরা দেখতে পান, একটি যুবক সিটের কোণে রক্তাক্ত হয়ে পড়ে রয়েছেন। হাতের মুঠোয় তখনও তাঁর বন্দুক ধরা। মাথা-কপাল থেকে চুইয়ে বেরোচ্ছে রক্ত। সারা মুখ রক্তে মাখামাখি। জামা কাপড় রক্তে ভেজা।

মৃত কনস্টেবল

শিউরে ওঠেন সহযাত্রীরা। হাওড়া বর্ধমান লোকাল ট্রেনে নিজের সার্ভিস রিভলবার দিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী পুলিশ কনস্টেবল। আত্মঘাতী কনস্টেবলের নাম শুভঙ্কর সাধুখাঁ(৪৪)। এসআরপি হাওড়া(জিআরপি)পঙ্কজ দ্বিবেদী জানান, আপ হাওড়া বর্ধমান শেষ লোকাল ট্রেনের মহিলা কামরায় কর্তব্যরত ছিলেন তিনি। আচমকাই পালসিট স্টেশনের কাছে নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে দেন তিনি। ট্রেনের যাত্রীরা জানাচ্ছেন, তাঁর মোবাইলে একটি ফোন আসে। তারপরই তিনি গুলি চালিয়ে দেন নিজের কপালে। জানা গিয়েছে, শুভঙ্করের বাড়ি বর্ধমানের বড়নীলপুরে।

রেলের তরফে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে জানানো হচ্ছে, ব্যক্তিগত কারণেই কোনওভাবে মানসিক অবসাদে ছিলেন শুভঙ্কর। সেই কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours