রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানান, তাঁদের কাছে দু'রকমের চিঠি এসেছে। রেজিস্ট্রারের ইমেলে উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে চিঠি এসেছে। আর আচার্যের কাছ থেকে বুদ্ধদেব সাউয়ের কাছে এসেছিল। দু'টো চিঠি দু'রকম। ফলে তাঁরাও ধন্দে। স্নেহমঞ্জু বসুর কথায়, "শিক্ষক সংগঠনের তরফেও ইমেল করা হয়। আমি চিঠিগুলি অ্যাটাচ করে উচ্চশিক্ষা দফতরকে পাঠিয়েছি। তারা জানাক বিভিন্ন অনুমোদন কার কাছ থেকে নেব?"
উপাচার্য আছেন না নেই? বুঝেই উঠতে পারছে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
কলকাতা: রাজ্য রাজ্যপাল টানাপোড়েনে এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়া অচলাবস্থা। কে উপাচার্য, জানেই না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর আগেল এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলেই দাবি শিক্ষক সংগঠনের। তাদের বক্তব্য, ভিসি নেই, একরকম। কিন্তু ভিসি আছেন কি নেই, এই উত্তর নিয়েই ধোঁয়াশা এর আগে হয়নি। এখন ভিসি কে, তা জানতে উচ্চশিক্ষা দফতরকে চিঠিও লিখেছেন রেজিস্ট্রার। আচার্য বরখাস্ত করার পর কাজ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন বুদ্ধদেব সাউ। কিন্তু তিনি দফতরেও আসছেন না, গাড়িও ব্যবহার করছেন না। সারাদিন গ্যারাজেই পড়ে থাকছে গাড়ি। এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কাজ হবে কী করে? চিন্তায় পড়ুয়া ও অধ্যাপকরা।
দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় যাদবপুর। বিভিন্ন সময় নানা ইস্যুকে সামনে রেখে পরিস্থিতি ঘোরাল হয়েছে ক্যাম্পাসে। এমনও হয়েছে উপাচার্যবিহীন থেকেছে এই প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এবার যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা আগে কখনও হয়নি বলেই দাবি শিক্ষক সংগঠন জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়ের।
পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “এরকম পরিস্থিতি আমরা আগে কখনও দেখিনি। ভিসি নেই এরকম অবস্থা ছিল, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে, এবার সেই প্রশ্নের উত্তরই কর্তৃপক্ষ দিতে পারছে না। আমরা রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়েছিলাম। তিনি বলতেই পারলেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আছেন নাকি নেই। যদি থাকেন কে তিনি? উনি বলেছেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁকে বিষয়টা জানতে হবে। এমনকী উনি বুদ্ধদেব সাউয়ের কাছেও জানতে চেয়েছেন। বুদ্ধদেববাবুও বলতে পারেননি উনি উপাচার্য আছেন নাকি নেই। উচ্চশিক্ষা দফতর, আইনজীবীর কাছেও জানতে চেয়েছেন ভিসি কে। খুব অসহায় অবস্থা। রুটিন অ্যাপ্রুভাল আটকে। ন্যাকের ভিজিট আছে। কী হবে কেউ জানে না।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours