বৃহস্পতিবার আইজলে প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। তবে, এদিন আবহাওয়া পরিষ্কার থাকায় সেই অনিশ্চয়তার মেঘ কেটে যায়। লালদুহোমার সঙ্গে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আরও কয়েকজন বিধায়ক।
মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী হলেন ইন্দিরা গান্ধীর প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী
মিজোরামের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন লালদুহোমা
আইজল: শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর), মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন জ়োরাম পিপলস মুভমেন্ট বা জ়েডপিএম দলের নেতা লালদুহোমা। এদিন আইজলে রাজভবনে, রাজ্যপাল হরি বাবু কামহামপতি, তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। বৃহস্পতিবার আইজলে প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। তবে, এদিন আবহাওয়া পরিষ্কার থাকায় সেই অনিশ্চয়তার মেঘ কেটে যায়। লালদুহোমার সঙ্গে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আরও কয়েকজন বিধায়ক। ৪০ আসনের বিধানসভায় সর্বোচ্চ ১২ জন মন্ত্রী হতে পারেন।
এতদিন পর্যন্ত মিজোরামে হয় কংগ্রেস নয়তে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট দলই সরকার গঠন করেছে। এই প্রথম এই দুই দলের বাইরে কোনও দল ক্ষমতায় আসল। ২০১৯ সালেই এই জোরাম পিপলস মুভমেন্ট দলের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। চার বছরের মধ্যেই, সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে চমকে দেওয়া সাফল্য পেয়েছে তারা। ৪০ আসনের বিধানসভায় ২৭টি আসনে জিতে শক্তিশালী জনমত নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে জ়েডপিএম। ৫ ডিসেম্বর, জ়েডপিএম-এর পরিষদীয় দল, লালদুহোমাকেই তাদের দলের নেতা হিসেবে বেছে নেয়। আর কে সাপডাঙ্গাকে সবকারী নেতা হিসেবে মনোনীত করা হয়।
লালদুহোমা একজন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার। একসময় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায়, মন্ত্রী পরিষদ গঠন এবং পোর্টফোলিও বণ্টন নিয়ে নবনির্বাচিত দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে, জ়েডপিএম পরিষদীয় দল লালদুহোমাকে তাদের নেতা এবং কে সাপডাঙ্গাকে উপনেতা নির্বাচিত করে। এরপর, বুধবার মিজোরামের রাজ্যপাল হরি বাবু কামহাম্পতির সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানান লালদুহোমা।
এর আগে রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল জোরামথঙ্গার মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট দল। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের শরিক তারা। গত নির্বাচনে ৮০ আসনের মধ্যে ২৬টিতে জয়ী হয়েছিল তারা। কিন্তু, এবার তাদের জেতা আসনের সংখ্যা নেমে গিয়েছে ১০-এ। এনডিএ জোটের অংশ না হলেও, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বিরোধিতার রাস্তায় যাবেন না বলেই জানিয়েছেন লালদুহোমা। মিজোরামে নয়া সরকার গঠনের পর তিনি বলেছেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সরকার এই বিষয়ে জোর দেবে।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours