সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চলছে ভারতের প্রথম টেস্ট ম্যাচ। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে হচ্ছে ভারতীয় দলকে। টিম ইন্ডিয়ার রো-কো জুটিকে (রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি) আটকানো সম্ভব নয়। অনেকেই এমনটা বলে থাকেন। কিন্তু সেঞ্চুরিয়নে সেঞ্চুরি তো দূর, হাফসেঞ্চুরিও এল না টিম ইন্ডিয়ার রো-কো জুটির।
বিশ্বকাপে হতাশার ফল? সেঞ্চুরিয়নে চরম ব্যর্থ বিরাট-রোহিত
বিশ্বকাপে হতাশার ফল? সেঞ্চুরিয়নে চরম ব্যর্থ বিরাট-রোহিত
সেঞ্চুরিয়ন: প্রোটিয়াদের দুর্গ বলে পরিচিত সেঞ্চুরিয়ন। সেখানে সেঞ্চুরি তো দূর, হাফসেঞ্চুরিও এল না টিম ইন্ডিয়ার রো-কো জুটির। ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালের পর ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) এবং বিরাট কোহলি (Virat Kohli) কয়েক দিনের ছুটি নিয়েছিলেন। দেশের মাটিতে ওডিআই বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এবং তারপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সাদা বলের ক্রিকেটে খেলেননি তাঁরা। তেইশে রোহিত এবং বিরাট দেশের জার্সিতে একটিও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেননি। ক্রিকেট মহলে অনেকেই বলা শুরু করেছেন, বিরাট ও রোহিত সাদা বলের ক্রিকেটে আর গ্রহণযোগ্য নন। অনেকে আবার চব্বিশের কুড়ি-বিশের বিশ্বকাপে (T20 World Cup) বিরাট-রোহিতকে দেখছেন না। আরও ভালো করে বললে টি-২০ বিশ্বকাপ থেকেই বিকল্প খুঁজে নেওয়া দরকার ভারতীয় টিমের, বলা হচ্ছে এমনটাই। এই পরিস্থিতিতে বিরাট-রোহিতের মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা সেঞ্চুরিয়নে আটকে গেলেন কাগিসো রাবাডার সামনে। যার ফলে এই আলোচনাও শুরু হয়েছে যে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এই সিরিজে রোহিত-বিরাট রান না পেলে তাঁদের বিকল্প কারা হবেন, ওই ভাবনাও শুরু হয়ে যাবে।
বিশ্বকাপের পর সাদা বলের ক্রিকেট থেকে যেহেতু বিরতি নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা, তাই এই পরিস্থিতিতে প্রোটিয়াদের মাটিতে তাঁদের দিকে বিশেষ নজর ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বাউন্সি, ফাস্ট উইকেটে যেখানে ‘চিন মিউজিক’ শোনা যাচ্ছে সেখানে বিরাট-রোহিতের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের ব্যাট জ্বলে উঠল না।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর বরাবরই টিম ইন্ডিয়ার জন্য বদ্ধভূমি। নেলসন ম্যান্ডেলার দেশে এখনও অবধি একটিও টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি ভারত। গতবারের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বিরাট কোহলি ১৫৩ রান করেছিলেন এই সেঞ্চুরিয়নে। আর এ বার সেখানে ৩৮ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফিরলেন কোহলি। রোহিত গতবারের প্রোটিয়া সফরে ছিলেন না। এ বার মাত্র ৫ রানেই মাঠ ছাড়লেন ক্যাপ্টেন রোহিত। কাগিসো রাবাডার বলে পুল শট খেলা থেকে নিজেকে আটকাতে পারেননি রোহিত শর্মা। ব্যস তাতেই ডেকে আনেন বিপদ।
শুধু রোহিত নন, বিরাট কোহলিও শিকার হন কাগিসো রাবাডার। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ১৯৯২ সাল থেকে ভারত ২৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। তার মধ্যে ভারত জিতেছে ৪টি আর হেরেছে ১২টি। ড্র হয়েছে ৭টি। প্রোটিয়া সফরে ভারতের ব্যাটারদের ফলাফল একেবারেই নজরকাড়া হয়নি। আজ সেঞ্চুরিয়নে রোহিত ও বিরাট তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যান। শুধু তাই নয়। ওপেনার হিসেবে যশস্বী, তিনে নামা শুভমনও ব্যাট হাতে নজর কাড়তে ব্যর্থ। হয়তো রোহিত ও বিরাটের কাছে এটাই শেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। এই সফরও হয়তো দু’জনের কাছে যন্ত্রণার হয়ে থাকবে। যদি এই টেস্ট সিরিজ টিম ইন্ডিয়া জিততে না পারে।
ওডিআই বিশ্বকাপে বিরাট ও রোহিত ভালো ছন্দে ছিলেন। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি রান আসে বিরাটের ব্যাটে। ওডিআই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটারদের তালিকায় ছিল রোহিত শর্মার নামও। সেই তাঁরা বিরতি নিয়ে তরতাজা হয়ে মাঠে ফেরার কথা। কিন্তু হল উল্টো। ক্রিকেট মহলে বরাবর বলা হয়, বিরাট ও রোহিত সর্বকালের সেরা ব্যাটারদের তালিকায় পড়েন। কেরিয়ারের শেষ
Post A Comment:
0 comments so far,add yours