December 2023

নিউ ইয়ারের আগে চারিদিকে কার্যত ছুটির মেজাজ। ভারতীয় দল অবশ্য ততটা স্বস্তিতে থাকতে পারছে না। তার কারণ বক্সিং ডে-তে প্রথম টেস্টে পারফরম্যান্স। ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে সেট হয়েও বড় রান করতে ব্যর্থ শ্রেয়স আইয়ার, বিরাট কোহলি। ভারতের ভরাডুবি আটকেছিল লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরি। তা অবশ্য যথেষ্ঠ ছিল না। বোলিংয়ে জসপ্রীত বুমরা ছাড়া কাউকে দেখেই মনে হয়নি উইকেট নিতে পারেন।

ঐচ্ছিক অনুশীলনে মুকেশ কুমারের ক্লাস নিলেন ক্যাপ্টেন রোহিত!


কলকাতা: টি-টোয়েন্টি সিরিজে যুগ্মবিজয়ী, ওয়ান ডে সিরিজে জয়। ভারতের আসল লক্ষ্য ছিল টেস্ট সিরিজ। সব দেশেই টেস্ট সিরিজ জয়ের আশা পূরণ হয়েছে ভারতের। ব্যতিক্রম দক্ষিণ আফ্রিকা। একমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেই টেস্ট সিরিজ জয় অধরা ভারতের। এ বার অনেক আশা, স্বপ্ন, প্রস্তুতি নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ে মনোনিবেশ করেছিল ভারত। মাঠে নামতেই বাস্তব চিত্রটা সামনে এসেছে। সেঞ্চুরিয়নে বক্সিং ডে টেস্টে ইনিংস ও ৩২ রানে হার ভারতের। হতাশা সরিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু রোহিতদের। বিস্তারিত জেনে নিন এর এই প্রতিবেদনে।

নিউ ইয়ারের আগে চারিদিকে কার্যত ছুটির মেজাজ। ভারতীয় দল অবশ্য ততটা স্বস্তিতে থাকতে পারছে না। তার কারণ প্রথম টেস্টে পারফরম্যান্স। ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে সেট হয়েও বড় রান করতে ব্যর্থ শ্রেয়স আইয়ার, বিরাট কোহলি। ভারতের ভরাডুবি আটকেছিল লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরি। তা অবশ্য যথেষ্ঠ ছিল না। বোলিংয়ে জসপ্রীত বুমরা ছাড়া কাউকে দেখেই মনে হয়নি উইকেট নিতে পারেন। প্রোটিয়া ওপেনার ডিন এলগার একাই করেন ১৮৫। তেম্বা বাভুমা ব্যাটিংয়েই নামেনি। ভারতীয় বোলিংয়ের বিরুদ্ধে কোনও দল ৪০০-র ওপর রান করছে, গত কয়েক বছরে সচরাচর এমন দেখা যায়নি।


নিউ ইয়ার টেস্টে যেমন ব্যাটিংয়ে উন্নতি প্রয়োজন, তেমনই বোলিংয়েও। দ্বিতীয় টেস্ট কেপটাউনে। ভারতীয় দল এখনও সেঞ্চুরিয়নেই রয়েছে। আর এ দিন প্রস্তুতিতেও নেমে পড়ল। ঐচ্ছিক অনুশীলনে ছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা, মুকেশ কুমার, শার্দূল ঠাকুর, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজা, প্রসিধ কৃষ্ণা, শ্রীকার ভরত, যশস্বী জয়সওয়াল ও অভিমন্যু ঈশ্বরণ।

সেঞ্চুরিয়নে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল প্রসিধ কৃষ্ণার। তাঁর ঝুলিতে মাত্র এক উইকেট। প্রসিধের বোলিং নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হয়েছে। কেপটাউন টেস্টে ভারতের বোলিং কম্বিনেশনে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। স্কোয়াডে যোগ করা হয়েছে আবেশ খানকে। এ দিনের অনুশীলনে মুকেশ কুমারের দিকে বাড়তি জোর দিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।


গত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল মুকেশের। দুটি উইকেট নিয়েছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় কেন তাঁকে খেলানো হচ্ছে না, এমনও বলা হচ্ছে। উচ্চতার জন্যই কি প্রসিধকে খেলানোর সিদ্ধান্ত? কেপটাউনের কম্বিনেশনে মুকেশ ঢুকবে কিনা, বলা কঠিন। তবে রোহিত তাঁকে যে ভাবে সময় দিলেন, আশায় থাকতে পারেন বাংলার পেসার।



প্রয়াত ময়দান কাঁপানো প্রাক্তন ক্রিকেটার দীপঙ্কর সরকার। আজ ৩০ ডিসেম্বর সকালে তাঁর দক্ষিণ কলকাতার বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দীপঙ্কর সরকার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। দীপঙ্কর সরকার আসলে ছিলেন লেগস্পিনার। তা হলেও, তিনি যখন স্ট্রেটার করতেন, তখন অফস্পিন করতেন। দীপঙ্কর সরকারের সারপ্রাইজই ছিল জোরে বল।

বছর শেষে শোকের ছায়া ২২ গজে, প্রয়াত ময়দান কাঁপানো স্পিনার দীপঙ্কর সরকার
দীপঙ্কর সরকার।


কলকাতা: না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ময়দানে দাপিয়ে খেলা প্রাক্তন ক্রিকেটার দীপঙ্কর সরকার (Dipankar Sarkar)। আজ ৩০ ডিসেম্বর সকালে তাঁর দক্ষিণ কলকাতার বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দীপঙ্কর সরকার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। দীপঙ্কর সরকার আসলে ছিলেন লেগস্পিনার। তা হলেও, তিনি যখন স্ট্রেটার করতেন, তখন অফস্পিন করতেন। দীপঙ্কর সরকারের সারপ্রাইজই ছিল জোরে বল। আচমকা তিনি স্ট্রেটার দিয়ে প্রতিপক্ষ শিবিরের ব্যাটিং লাইন আপে কাঁপুনি ধরাতেন। তাঁর স্ট্রেটার সামলাতে সেই সময় হিমশিম খেতেন ঘরোয়া ক্রিকেটের তাবড় তাবড় ব্যাটাররা। ওই সময় সিনিয়র হিসেবে একাধিক জুনিয়রকে গাইড করেছেন দীপঙ্কর সরকার। সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ক্রিকেটারও সামনে থেকে তাঁকে দেখে অনেক কিছু শিখেছিলেন।


কলকাতা ময়দানে স্পিনার হিসেবে ছাপ ফেলেছিলেন দীপঙ্কর সরকার। দীর্ঘদিন ময়দানে ক্রিকেট খেলতেন। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের হয়ে ষাটের দশকের মধ্যভাগে এবং সত্তরের প্রথমভাগে তিনি দাপটের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেছিলেন। ১৯৬৪-৬৫ থেকে ১৯৬৭-৬৮ সাল অবধি বাংলা এবং রেলওয়েজের হয়েও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছেন তিনি। ২৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে দীপঙ্কর সরকার নিয়েছেন ৯৩টি উইকেট। এবং ব্যাট হাতে তাঁর এই ২৮ ম্যাচে অবদান ২৫৮ রান। দীপঙ্কর সরকারের কেরিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার ৭-৬৬। এ ছাড়াও তাঁর যে ইনিংস নিয়ে আলোচনা চলে তা হল, দিল্লিতে ইস্ট জোনের হয়ে নর্থ জোনের বিরুদ্ধে এক দলীপ ট্রফির ম্যাচ। সেখানে তিনি নর্থ জোনের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে হাফডজন উইকেট তুলে নেন দীপঙ্কর সরকার। দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ২টি উইকেট। সেই ম্যাচ ইস্ট জোন শেষ অবধি জিততে পারেনি। কিন্তু দীপঙ্কর সরকারের বোলিং নিয়ে রীতিমতো আলোচনা হয়েছিল।

দীপঙ্কর সরকারের প্রয়াণের খবর জানার পর স্মৃতির পাতা উল্টে বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “দীপঙ্করদা খুব ভালো লেগ স্পিন করত। আর মাঝে মাঝে হঠাৎ অফ স্পিনও করত। ওই সময় বেশ তাবড় তাবড় ব্যাটাররাও তা সামলাতে পারত না। ভারতের স্কুল টিমের হয়ে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সফরে দীপঙ্করদা অনবদ্য পারফর্ম করেছিল। পরবর্তীতে কালীঘাট ও ইস্টবেঙ্গলে দাপটের সঙ্গে দীপঙ্করদা ক্রিকেট খেলেছিল। বাংলা এবং রেলওয়েজের হয়ে বেশ কয়েকবার রঞ্জি ট্রফিতেও খেলেছিল দীপঙ্করদা। বোলিং তো বটেই, দলের প্রয়োজনে ৌকার্যকরী ব্যাটারেদর দায়িত্বও পালন করতেন দীপঙ্করদা। আমার থেকে সিনিয়র ছিলেন, কিন্তু আমার সৌভাগ্য হয়েছিল তাঁর সঙ্গে বেশ কিছু ম্যাচ খেলার। এক এক করে বহু বিখ্যাত বাঙালি ক্রিকেটার চলে যাচ্ছেন, বাংলার ক্রিকেটের ময়দানও খালি হয়ে যাচ্ছে। তাঁর মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। দীপঙ্করদা যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন, ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনা করি।”


মনোরঞ্জন খাঁড়া বলছেন, আমাদের জীবন জীবিকা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সব কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের একঘরে করে রাখা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়ে কোনও লাভ না হওয়ায় ইতিমধ্যেই তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।

Purba Medinipur: মা মরতেই গোটা পরিবার একঘরে, উপায় না পেয়ে হাইকোর্টে অসহায় মনোরঞ্জন
এখনও কাটছে না চিন্তা

পূর্ব মেদিনীপুর: অগস্টে মৃত্যু বৃদ্ধার। তারপর থেকেই তাঁর পরিবারকে একঘরে করে দিয়েছে গোটা গ্রাম। এমনকী প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে গ্রামের মাতব্বরদের দাবি, মৃত্যুর আগে বৃদ্ধাকে দেখেনি তাঁর পরিবারের সদস্যরা। খেতেও দেওয়া হত না ঠিকমতো। অন্যদিকে মৃত বৃদ্ধার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তাঁদের সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে চাওয়া হচ্ছে আড়াই বিঘা জমি। এমনকি ইলেকট্রিক লাইন, জলের পাইপও কেটে দেয় গ্রামবাসীরা। হাটবাজার যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২ ব্লকের দেশবন্ধু গ্রাম পঞ্চায়েতের নরাজপুর গ্রামে। 


নরাজপুর গ্রামের মনোরঞ্জন খাঁড়া নামের এক ব্যক্তির পরিবারকে পুরো গ্রামবাসী মিলে বয়কট করেছে বলে অভিযোগ। তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে গোটা গ্রাম। মনোরঞ্জন খাঁড়া বলছেন, আমাদের জীবন জীবিকা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সব কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের একঘরে করে রাখা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়ে কোনও লাভ না হওয়ায় ইতিমধ্যেই তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। হাইকোর্টের রায় অবশ্য তাঁর পক্ষেই গিয়েছে। তিনমাসের জন্য তাঁর বাড়িতে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। 

বক্সীর বৈঠকের আগে অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা নেতারা। অনেকেই মনে করছেন, এই বৈঠক করে বুঝিয়ে দিলেন, ভারসাম্যের রাস্তাতেই হাঁটতে চান তাঁরা। তবে নেতাদের দাবি বছর শেষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন।

বক্সির সঙ্গে বৈঠকের আগেই অভিষেকের সাক্ষাতে পার্থ-তাপসরা
তৃণমূল কংগ্রেস।

কলকাতা: অর্জুন সিং ও সোমনাথ শ্যামের সম্মুখসমর লোকসভা ভোটের আগে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে তৃণমূলের। এই আবহে নৈহাটিতে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রক বক্সী। অর্জুন সিং ও সোমনাথ শ্যামের সঙ্গে কথা বলার জন্যই যান তিনি। সূত্রের খবর, সুব্রত বক্সির বৈঠকের আগেই ভারসাম্যের নীতি নিলেন ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের নেতারা। শনিবার কালীঘাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন তাপস রায়, পার্থ ভৌমিকরা। ছিলেন ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষও।


তৃণমূলের দলীয় রাজনীতিতে কিছুদিন যাবৎ নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব ফের মাথা চাড়া দিয়েছে। সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে সুব্রত বক্সিকে। অন্যদিকে গত কয়েকদিন আগেও দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একেবারে সামনের সারিতে দেখা গেলেও ইদানিং একটু সরিয়ে রেখেছেন নিজেকে। এই আবহে উত্তর ২৪ পরগনার দুই নেতা, বলা ভাল তিন নেতা সাক্ষাৎ করলেন অভিষেকের সঙ্গে। সঙ্গে কুণাল।

পরিবর্তন আসছে উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাসে। পরিবর্তন আনতে কাজ করছে ৪৭ টি সাব কমিটি। বদল আসছে পরীক্ষা পদ্ধতিতেও। সব ঠিক থাকলে ২০২৬ এর উচ্চ মাধ্য়মিক পরীক্ষার্থীরা নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেবেন।

 ২০২৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বড় পরিবর্তন সিলেবাসে, নতুন কী যুক্ত হবে?
প্রতীকী ছবি


কলকাতা: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবার আমূল পরিবর্তন। প্রায় ১১ বছর পর বদলাচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাস। সম্প্রতি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও সেরে ফেলেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। তৈরি হয়েছে সাব কমিটি। ৪৭টি বিষয়ের সিলেবাসে বদল আসতে চলেছে। সে কারণেই প্রতি বিষয়ের জন্য তৈরি হয়েছে আলাদা আলাদা সাব কমিটি। কয়েকদিন আগেই সে কথা জানিয়েছেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, সিলেবাস পরিবর্তনে ডেডলাইন ঠিক হয়েছে ৩১ জানুয়ারি। 

সূত্রের খবর, পাঠ্যবইতে বড়সড় বদল আনছে সংসদ। যুগোপযোগী বিষয় আসছে পাঠ্য বইতে। যেমন অ্যাকাউন্টেন্সিতে যুক্ত হচ্ছে জিএসটি। বাদ পড়ছে ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স। কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন বিষয়ে আসছে আধুনিক কম্পিউটার ল্যাঙ্গুয়েজ। গণিতের পাঠ্য বইতে যুক্ত হচ্ছে যুগোপযোগী ঘটনা সম্পর্কিত অঙ্ক। পড়ুয়াদের আরও বাস্তবমুখী বিষয়ে ওয়াকিবহাল করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। ৪৭ টি কমিটি ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সিলেবাসে সংশোধন জমা দিলে তা বিকাশ ভবনে যাবে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা বিষয়গুলির রিভিউ করছি। যে সমস্ত ক্ষেত্রে পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে সেগুলি করা হচ্ছে। সেমিস্টার সিস্টেমে প্রশ্নপত্রের ধাঁচও বদলাচ্ছে।

 নিয়োগ দুর্নীতি থেকে রেশন, তেইশে গারদের পিছনেই কাটালেন যাঁরা গ্রেফতার হলেন মন্ত্রী থেকে 'চুনোপুটি'। এক দুর্নীতির গন্ধ পেয়ে প্রকাশ্যে এসেছে অন্য দুর্নীতির নাম। শিক্ষক নিয়োগ, পুর নিয়োগ থেকে রেশনের চাল-ডাল-আটা, দুর্নীতির অভিযোগের নিত্য নতুন সব তথ্য সামনে এসেছে। এখনও চলছে আদালতে মামলা।


নিয়োগ দুর্নীতি থেকে রেশন, তেইশে গারদের পিছনেই কাটালেন যাঁরা
জেলেই বছর কাটল যাঁদের

গতবছর (২০২২) কেটেছে তাবড়-তাবড় নেতামন্ত্রীদের হাতে হাতকড়া দেখে। এই বছরটাও তার অন্যথা হল না। নিত্যদিন খবরের শিরোনামে উঠে এল একের পর এক দুর্নীতির খবর। গ্রেফতার হলেন মন্ত্রী থেকে ‘চুনোপুটি’। এক দুর্নীতির গন্ধ পেয়ে প্রকাশ্যে এসেছে অন্য দুর্নীতির নাম। শিক্ষক নিয়োগ, পুর নিয়োগ থেকে রেশনের চাল-ডাল-আটা, দুর্নীতির অভিযোগের নিত্য নতুন সব তথ্য সামনে এসেছে। এখনও চলছে আদালতে মামলা।


একনজরে দেখে নেওয়া যাক তেইশে যাঁরা ঢুকলেন গারদের পিছনে

রেশন চুরির অভিযোগ, গারদে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক




গতবছর গ্রেফতার হয়েছিলেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২০২৩ গ্রেফতার হলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ইডির জালে ধরা পড়লেন তিনি। অভিযোগ, রেশন দুর্নীতিতে যে বিপুল টাকা তছরুপ হয়েছে তার সঙ্গে যোগ রয়েছে বালুর। ২৭ অক্টোবর ২০২৩ গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয়।

ইডির হাতে গ্রেফতার বালু ঘনিষ্ঠ বাকিবুর

মূলত, পুরনিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে রেশন দুর্নীতির খোঁজ গোয়েন্দারা। এরপরই ধরা পড়েন বাকিবুর রহমান। ১৪ অক্টোবর গ্রেফতার হন বাকিবুর রহমান। তদন্ত যত এগিয়েছে, ততই সামনে এসেছে আরও সম্পত্তি। ইডি-র দাবি, ১০০ কোটির বেশি টাকার সম্পত্তির মালিক বাকিবুর। আপাতত কারাগারেই দিন কাটছে তাঁর।

‘কীর্তিমান’ কালীঘাটের কাকু

এবার আসা যাক পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে। আর তাতেই ইডি গ্রেফতার করে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে। ২০২৩ এর ৩০ মে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন তিনি। তথ্য গোপন, তদন্ত অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার হন তিনি। বর্তমানে শারীর খারপ তাঁর। তাই এসএসকেএম-এর বেডেই শুয়ে কাকু। তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে নাজেহাল হতে হচ্ছে ইডি-কে।

এ আর এক পার্থ

নিয়োগ দুর্নীতিতে গতবছর গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর এই বছর প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হলেন পার্থ সেন। এস বসুরায় অ্যান্ড কোম্পানির প্রোগ্রামার ছিলেন এই পার্থ। ওএমআর শিট কারচুপিতে নাম জড়ায় তাঁর।

তাপস মণ্ডলের কীর্তি

সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়েন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি এবং রাজ্যের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন তিনি। চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে বেআইনি ভাবে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।

বিধায়ক জীবনও গরাদের পিছনে

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। গত ১৭ এপ্রিল গ্রেফতার হন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্তে অসহযোগিতা ও তথ্য প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা, মূলত এই দুই অভিযোগে প্রাথমিকভাবে তাঁকে গ্রেফতার করা তাঁকে। তৃণমূল বিধায়ককে ধরতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় গোয়েন্দাদের। তদন্ত চলাকালীন নিজের একটি ফোন পুকুরে ছুড়ে ফেলেছিলেন তিনি। এছাড়াও গোয়েন্দাদের দাবি, সিঁদুর কৌটোর মধ্যে জীবনকৃষ্ণ মোবাইলের মেমরি কার্ড লুকিয়ে রেখেছিলেন।

কীর্তিমান প্রমোটার

পুর নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলকে গ্রেফতার করেন ইডি আধিকারিকরা। ২০ মার্চ গ্রেফতার হন তিনি। তাঁর বাড়ি থেকে বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা মিলেছে। সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে ওএমআর শিট।

ভোটের আবহেই নতুন বছরের শুরুতে বড় ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। একধাক্কায় বেশ কিছুটা কমতে পারে গ্যাসের দাম। এমনটাই সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারিই গ্যাসের দাম কমানো হতে পারে।


নয়া দিল্লি: দেখতে দেখতেই পার ২০২৩ সাল। স্বাগত জানানো হবে নতুন বছরকে। ২০২৪ সালকে ঘিরে রয়েছে অনেক আশা-প্রত্যাশা। আর নতুন বছরের শুরুতেই মিলতে পারে খুশির খবর। স্বস্তি মিলতে পারে গৃহস্থের হেঁশেলে। পকেটের চাপ কমিয়ে কমতে পারে গ্যাসের দাম (LPG Price Cut)। নতুন বছরের শুরুতেই এই উপহার দিতে পারে মোদী সরকার।


২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। আর ভোটের আবহেই নতুন বছরের শুরুতে বড় ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। একধাক্কায় বেশ কিছুটা কমতে পারে গ্যাসের দাম। এমনটাই সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারিই গ্যাসের দাম কমানো হতে পারে।

প্রতি মাসের শুরুতেই দেশের অয়েল মার্কেটিং সংস্থাগুলি আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়ামের দাম পুনর্বিবেচনা করে এবং সেই মতো গ্যাসের দাম বৃদ্ধি বা কম করে। সাধারণত মাসের শুরুতেই এলপিজির মূল্যবৃদ্ধি বা হ্রাসের ঘোষণা করা হয়। এবারও আশা, ১ জানুয়ারি গ্যাসের দাম কমানোর ঘোষণা করতে পারে অয়েল মার্কেটিং সংস্থাগুলি। কমতে পারে গৃহস্থের হেঁশেলে ব্যবহৃত ১৪.২ কেজির রান্নার গ্যাসের দাম।

নিয়োগ নিয়ে এত অভিযোগ উঠেছে, যার দল খুঁজতে রীতিমতো হয়রান হচ্ছেন দুঁদে গোয়েন্দারাও। বছরভর চালানো হয়েছে তল্লাশি। গ্রেফতার করা হয়েছে অনেককে।


ফিরে দেখা: দুর্নীতির অভিযোগে যে ভাবে ফালা ফালা হল তেইশ সাল
দুর্নীতির তালিকা


প্রতিদিন খবরের শিরোনামে ইডি অথবা সিবিআই তল্লাশি। আদালতে গুচ্ছ গুচ্ছ মামলা। ২০২২-এর পর ২০২৩-এও বছরভর শিরোনামে রইল দুর্নীতি। শিক্ষক নিয়োগ, পুর নিয়োগ থেকে রেশনের চাল-ডাল-আটা, দুর্নীতির অভিযোগের নিত্য নতুন সব তথ্য সামনে এসেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে চুনোপুঁটি থেকে রাঘব-বোয়ালদেরও। । তাঁদের জেরা উঠে এসেছে আরও অনেক তথ্য়, যার তল খুঁজতে তৎপরতার সঙ্গে চলছে তদন্ত।

বছরভর দুর্নীতির অভিযোগের কোন কোন খবর নজরে রইল:

দুর্নীতির অভিযোগে নতুন নাম বাকিবুর রহমান


‘রেশন দুর্নীতি’ তদন্ত চলছিল অনেক দিন ধরেই। ২০২৩-এর অক্টোবরে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হন বাকিবুর রহমান। রেশন দুর্নীতিতে বড় ভূমিকা আছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। তিন দিন ধরে তল্লাশি চালানোর পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। তিনটি চালকল, পানশালা, হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে একগুচ্ছ সম্পত্তির হদিশ পান তদন্তকারীরা। তদন্ত যত এগিয়েছে, ততই সামনে এসেছে আরও সম্পত্তি। ইডি-র দাবি ১০০ কোটির বেশি টাকার সম্পত্তির মালিক বাকিবুর।

ইডি-র জালে বালু মল্লিক

২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে ধরা পড়লেন আরও এক মন্ত্রী। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক শুধু মন্ত্রীই নন, তিনি শাসক দলের প্রথম সারির নেতাও বটে। রেশন দুর্নীতিতে যে বিপুল টাকা তছরূপ হয়েছে বলে অভিযোগ, তার সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়র সরাসরি যোগ থাকার প্রমাণ পায় ইডি। অক্টোবরের শেষে তাঁর বাড়িতে একটানা ২১ ঘণ্টা তল্লাশি চলে। এরপর মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

কাকু-র ‘কেলেঙ্কারি’

নাম সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র হলেও দুর্নীতির খবরের শিরোনামে ‘কালীঘাটের কাকু’ নামেই তাঁকে চেনেন সবাই। নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম শোনা গিয়েছিল বেশ কয়েকজনের মুখে। বারবার তাঁর ইডি বাড়িতে হানা দিলেও প্রথমদিকে ধরা হয়নি তাঁকে। পরে ধরা পড়ার পর সামনে আসতে থাকে একের পর এক তথ্য। তবে গ্রেফতার হলেও এখনও কার্যত ‘অধরা’ তিনি।

এসএসকেএম- এ চিকিৎসাধীন সুজয়কৃষ্ণের কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে নাজেহাল হতে হচ্ছে ইডি-কে। এমনকী হাসপাতালে গিয়েও ফিরতে হয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকদের।

গোয়েন্দাদের আতস কাচে পুরসভার নিয়োগ

বছরভর পুরোদমে চলেছে পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত। বছরের শুরুর দিকেই ইডি-র হাতে গ্রেফতার হন অয়ন শীল নামে এক ব্যক্তি। পুরসভাগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁর বড় ভূমিকা ছিল বলে জানতে পারেন গোয়েন্দারা। অয়নের গ্রেফতারির পর আরও বেড়ে যায় তৎপরতা। কামারহাটি, টিটাগড়, বরানগর সহ একাধিক পুরসভার কর্মীদের তলব করে ইডি। দফায় দফায় চলে জিজ্ঞাসাবাদ।

নিয়োগে তল্লাশির পর তল্লাশি

শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এত অভিযোগ উঠেছে, যার দল খুঁজতে রীতিমতো হয়রান হচ্ছেন দুঁদে গোয়েন্দারাও। বছরভর চালানো হয়েছে তল্লাশি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সংস্থা হানা দেয় বিধাননগরের কাউন্সিলর তথা বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে। এমনকী বছর শেষেও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের বাড়ি সহ একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

১৩টি বাথরুম বিশিষ্ট প্রাসাদপোম বাড়ি গড়ে তুলেছিলেন। সেই প্রাসাদোপম বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ভারতীয় বংশোদ্ভূত দম্পতি ও তাঁদের কন্যাসন্তানের দেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসে। পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।


মার্কিন মুলুকে প্রাসাদোপম বাড়ি থেকে উদ্ধার ভারতীয় বংশোদ্ভূত দম্পতি ও কন্যার দেহ
প্রাসাদপম বাড়ি থেকে উদ্ধার ভারতীয় বংশোদ্ভূত দম্পতি ও তাঁদের তরুণী মেয়ের দেহ উদ্ধার।


ম্যাসাচুসেটস: মার্কিন মুলুকে কার্যত প্রাসাদ গড়ে তুলেছিলেন। সেই প্রাসাদোপম বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ভারতীয় বংশোদ্ভূত দম্পতি ও তাঁদের কন্যাসন্তানের দেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসে। পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।

নরফক জেলা অ্যাটর্নি মাইকেল মোরিসে জানান, বোস্টনের কাছে ডোভার ম্যানসনে রাকেশ কমল (৫৭), তাঁর স্ত্রী টিনা (৫৪) এবং তাঁদের ১৮ বছরের মেয়ে আরিয়ানার দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের দেহের পাশ থেকে একটি বন্দুক উদ্ধার হয়েছে। তবে তিনজনেরই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে কি না তা স্পষ্ট করেননি মোরিসে। এটা আত্মহত্যা নাকি খুনের ঘটনা, তাও এখনও নিশ্চিত নয়। দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,রাকেশ কমল ও টিনা এডুনোভা নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাতেন। সম্প্রতি সেটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে এই পরিবার আর্থিক সমস্যায় ভুগছিলেন। পারিবারিক অশান্তিও চলছিল। এমনকি ১১টি বেডরুম, ১৩টি বাথরুম বিশিষ্ট প্রাসাদপোম যে বাড়ি থেকে তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়েছে সেটিও সম্প্রতি বন্ধক দেওয়া হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে প্রশাসন। অন্তত ১০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত দেনায় ডুবে রয়েছে এই পরিবার। তাঁদের দেউলিয়া ঘোষণা করার জন্য গত বছর আবেদনও জানিয়েছিলেন টিনা। যদিও যথোপযুক্ত প্রমাণের অভাবে সেটা মঞ্জুর হয়নি। এর মধ্যে তাঁদের মেয়ে আরিয়ানা মিডলবারি কলেজে নিউরো সায়েন্স কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন। যার বার্ষিক খরচ ছিল ৬৪,৮০০ মার্কিন ডলার। এই চরম আর্থিক সংকটের জেরেই পরিবারের তিনজনই আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।


হতাশা থেকে বেরনোর রাস্তা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। অন্তত ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার ক্ষেত্রে তাই বলা যায়। দক্ষিণ আফ্রিকায় কখনও টেস্ট সিরিজ জেতেনি ভারত। বক্সিং ডে টেস্ট হারে এ বারও সেই সুযোগ নেই। বরং কী করে দ্বিতীয় টেস্ট জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবলে উন্নতি করা যায়, নজর সে দিকেই। তার আগে আরও একটা ধাক্কা ভারতীয় শিবিরে। কাঁধে চোট পেলেন অলরাউন্ডার

ভারতীয় শিবিরে আতঙ্ক, অনুশীলনে কাঁধে চোট অলরাউন্ডারের

চূড়ান্ত হতাশায় বছর শেষ করছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে টানা দশ ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল ভারত। যদিও ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার। সেই হতাশা থেকে বেরনোর রাস্তা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। অন্তত ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার ক্ষেত্রে তাই বলা যায়। দক্ষিণ আফ্রিকায় কখনও টেস্ট সিরিজ জেতেনি ভারত। বক্সিং ডে টেস্ট হারে এ বারও সেই সুযোগ নেই। বরং কী করে দ্বিতীয় টেস্ট জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবলে উন্নতি করা যায়, নজর সে দিকেই। তার আগে আরও একটা ধাক্কা ভারতীয় শিবিরে। বিস্তারিত জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।


কেপটাউনে নিউ ইয়ার টেস্ট শুরু হচ্ছে ৩ জানুয়ারি। ভারতীয় দল সেঞ্চুরিয়নে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। ঐচ্ছিক অনুশীলনেই কাঁধে চোট লাগে শার্দূল ঠাকুরের। ভারতীয় দলের হাতে গোনা কয়েকজন অনুশীলনে নেমেছিলেন। থ্রো ডাউনের সময় নেটে সকলের আগে পৌঁছন শার্দূল ঠাকুর। ফিল্ডিং কোচ টি দীলিপের থ্রো ডাউনে কাঁধে চোট লাগে ভারতের পেস বোলিং অলরাউন্ডার শার্দূল ঠাকুরের। তাঁর চোট কতটা গুরুতর এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে শার্দূলকে প্রচন্ড অস্বস্তিতে দেখিয়েছে। স্ক্যানের পরই পরিস্থিতি বোঝা যাবে।

নতুন যৌবনের দূত পক্ষ থেকে উদযাপন হলো এই বিশ্ব শিশু দিবস ২০২৩

আজ অর্থাৎ শনিবার নামখানা ব্লকে উদযাপিত হলো বিশ্ব শিশু দিবস। এদিন আমরা নতুন যৌবনের দূত পক্ষ থেকে উদযাপন হলো এই বিশ্ব শিশু দিবস ২০২৩। প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও এর পরে বাচ্চাদের নিয়ে একটি ছোট্ট র‌্যালি আয়োজন করা হয় যার নাম দেওয়া হয় "চেঁচিয়ে পাড়া করবো মাত"। পাশাপাশি এই বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষ্যে মমূর্ষ শিশু রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা ব্লকে জেটিঘাট বাসস্ট্যান্ডের কাছে রক্তদান শিবির এর আয়োজন করা হয়। এদিন "আমরা নতুন যৌবনের দূত" সংস্থার এই র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করে কাগজের দেশ এর সমস্ত ছাত্র ছাত্রীরা । 

স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সর্দার

রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, এ রাজ্যে ৩৪ বছরের বাম শাসনের সময় কোনও ব্যক্তিকে আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এর আগে জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য,বিমান বসু, প্রমোদ দাশগুপ্তদের কাটআউট বানিয়ে সিপিএম এমন প্রচার করেছে বলে চোখে পড়েনি।


 মীনাক্ষীই 'মুখ', 'ক্যাপ্টেনের' ডাকে ব্রিগেডের মাঠ ভরাতে পারবে বামেরা?
মীনাক্ষীতেই ভরসা বামেদের


কলকাতা: পঞ্চাশ দিন ধরে চলেছে বামেদের ‘ইনসাফ যাত্রা’। ৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে তা শেষ হয় ২২ ডিসেম্বর। এই যাত্রায় প্রধান মুখ ছিলেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী তথা বামেদের তরুণ তুর্কি মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তবে ইনসাফ যাত্রার পর ৭ জানুয়ারি রয়েছে বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ। এই সমাবেশেও নেত্রী মীনাক্ষীকে ঘিরে উচ্ছ্বাস থাকবে বলে আশাবাদী বামেরা।


২ হাজার ৯৫০ কিলোমিটার ‘ইনসাফ যাত্রা’ শেষে আগামী রবিবার ব্রিগেড সমাবেশ। ৫০ দিনের এই ইনসাফ যাত্রায় মীনাক্ষীকে ঘিরে বামপন্থী ভিড় তো ছিল। এমনকী,ছাপোষা আমজনতার সেই উচ্ছ্বাসকে ব্রিগেডও কাজে লাগাতে চাইছেন বাম নেতৃত্ব। মীনাক্ষীকে নিয়ে আশা দেখছেন তাঁরা। সেই কারণে ‘ক্যাপ্টেন’ মীনাক্ষীর ছবি দিয়ে বড় বড় হোডিং, পোস্টারে ছেয়ে ফেলতে চাইছেন বামেদের তরুণ তুর্কিরা। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বামেদের পোস্টার দেখলেই দেখা যাবে আঙুল উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন মীনাক্ষী। তবে কি সংগঠন থেকে ব্যক্তি পুজোয় বেশি ঝুঁকছে এ রাজ্যের লাল শিবির? ব্যক্তি মীনাক্ষীকেই কি সংগঠনের থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে?
রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, এ রাজ্যে ৩৪ বছরের বাম শাসনের সময় কোনও ব্যক্তিকে আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসু, প্রমোদ দাশগুপ্তর কাটআউট বানিয়ে সিপিএম আগে এমন প্রচার করেছে বলে চোখে পড়েনি।


তবে আগে যা করা হয়নি, তা পরবর্তীতে করা হবে না এমন মাথার দিব্যি কেউ দেয়নি। তাহলে কি এখন যুগের সঙ্গের নিজেরাও বদলাচ্ছে বামেরা? কারণ মিটিং-মিছিল সব হওয়ার পরও ভোট বাক্সে আশানুরূপ ফল না হওয়ায় এবার হয়ত ব্যক্তি কেন্দ্রিক রাজনীতির দিকে ঝুঁকছে লাল শিবির। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে হয়ত, মীনাক্ষীর মতো তরুণ মুখ সামনে আনলে ভোটের ফলে আসবে ‘ইনসাফ’।

এদিকে, বাম শিবির অবশ্য বলছে অন্য কথা। তাদের দাবি, এতদিন নতুন মুখ ছিল না বলে অভিযোগ আসছিল। এখন নতুন মুখ সামনে আসতেই আবার প্রশ্ন। এইসব রাজনীতি থাকবেই বলে সাফ জানিয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। বলেছেন, “বামেদের মুখের কোনও অভাব নেই। আর যুবদের সম্পাদিকা মীনাক্ষী। আর সম্পাদিকা মানে ক্যাপ্টেন তো বটেই।” অপরদিকে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “ক্যাপ্টেন আলাদা করে কিছু হয় না। রুটি-রুজির লড়াই চলে। সেই লড়াই চলছে।”



বেলেঘাটা আইডিতে ম্যালেরিয়ায় চিকিৎসাধীন পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলার নিউমোনিয়া ধরা পড়লে কোভিড টেস্ট করা হয়। কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তিনি কলকাতারই বাসিন্দা। অন্যদিকে বারাসতের বাসিন্দা বছর পঞ্চান্নর এক ব্যক্তি বারাসতের বেসরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগে জ্বর সর্দির উপসর্গ নিয়ে দেখাতে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যান। টেস্টে কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ে।


 রাজ্যে আরও ৪ কোভিড পজিটিভ, নতুন বছরে আবার নতুন করে বিপদ?
কোভিড বাড়ছে। ফাইল ছবি।


কলকাতা: বছর শেষে আর‌ও চার কোভিড পজিটিভ রাজ্যে। এরমধ্যে তিনজন মহিলা, একজন পুরুষ। তিনজন বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি রয়েছেন, একজন ভর্তি এস‌এসকেএম হাসপাতালে। নতুন করে কোভিড আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। করোনা ভাইরাসের নয়া প্রজাতি JN.1-ই এখন বিপদের আরেক নাম। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রজাতি সংক্রামক হলেও গুরুতর নয়। তবু কোভিড নাম শুনলে যে এখনও বুকের ভিতর দুরু দুরু করে।


সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালিসিস করতে গিয়ে কোভিড ধরা পড়ে উল্টোডাঙার বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের এক মহিলার। এরপরই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। ভর্তি হন সেখানেই। অন্যদিকে বেলেঘাটা আইডিতে ম্যালেরিয়ায় চিকিৎসাধীন পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলার নিউমোনিয়া ধরা পড়লে কোভিড টেস্ট করা হয়। কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তিনি কলকাতারই বাসিন্দা।


অন্যদিকে বারাসতের বাসিন্দা বছর পঞ্চান্নর এক ব্যক্তি বারাসতের বেসরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগে জ্বর সর্দির উপসর্গ নিয়ে দেখাতে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যান। টেস্টে কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ে। এই ব্যক্তি নিউ জার্সি থেকে ১০ দিন আগে দেশে ফিরেছিলেন। জ্বর-সর্দি-কাশির উপসর্গ নিয়ে মধ্যবয়সী এক মহিলা এস‌এসকেএমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কোভিড পজিটিভ। তাঁরও বাড়ি কলকাতায়। প্রত্যেকের জিনোম সিকোয়েন্স করা হবে। এ পর্যন্ত এই মরসুমে কলকাতায় কোভিড পজিটিভ মোট ১৮ জন বলে সূত্রের খবর।

মৃতেদের নাম সাগর মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রূপা মুখোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, সাগরবাবু পেশায় ঔষধ ব্যবসায়ী। শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ঘটনার কথা জানাজানি হয় এলাকায়। তারপর থেকেই ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য।


 মেঝেতে স্ত্রীর গলা কাটা দেহ, ঝুলছে স্বামী, রক্তেভেজা ঘরে কাতরাচ্ছে মেয়ে
স্ত্রী ও মেয়ের গলায় ছুরির কোপ, বিধাননগরে আত্মঘাতী ওষুধ ব্যবসায়ী

কলকাতা: খাস কলকাতার বুকে দু-দু’টি মৃত উদ্ধার। একটি বহুতল আবাসন থেকে স্বামী ও স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেয়েকে ভর্তি করা হয়েছে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ওই ব্যক্তি মানসিক অবসাদ থেকে প্রথমে ছুরি দিয়ে নিজের স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করেছে। তারপর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বিধাননগরের নারায়ণপুর থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে।


কী ঘটেছে?

মৃতেদের নাম সাগর মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রূপা মুখোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, সাগরবাবু পেশায় ঔষধ ব্যবসায়ী। শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ঘটনার কথা জানাজানি হয় এলাকায়। তারপর থেকেই ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। এলাকাবাসী সূত্রে খবর, সাগরবাবু দোকানে একজন কর্মচারী আজ সকালে ফোন করেন তাঁকে। বারংবার ফোনে না পেয়ে পাশের বাড়ির একজনকে সাগরবাবুকে ডেকে দিতে বলেন। তখন সেই প্রতিবেশী দরজা ধাক্কা দিতেই চোখ ওঠে কপালে।


তিনি ভিতরে গিয়ে দেখেন গোটা বাড়ি ভরে গিয়েছে রক্তে। খবর দেওয়া হয় নারায়ণপুর থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আপাতত মেয়ে রূপসা আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানেই ভর্তি রয়েছেন। সাগর এবং তাঁর স্ত্রী রূপাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এলাকাবাসী জানিয়েছেন,ওষুধ ব্যবসায়ী ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। দেনা মেটাতে না পারায় প্রথমে ছুরি দিয়ে স্ত্রী ও মেয়ে গলায় কোপ মারেন। তারপর নিজে আত্মঘাতী হন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে তবেই জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ।

স্থানীয় এক বাসিন্দা ইন্দিরা পাল বলেন,”ওরা সকলের সঙ্গেই মেলামেশা করতেন। ভালভাবেই কথা বলতেন। হঠাৎ কী হল কে জানে।” পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা বলেছেন, “একটা সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। কিছু ফোন উদ্ধার হয়েছে। যে দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সেটি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবে সুইসাইড নোটে কী লেখা ছিল তা শেয়ার করা যাবে না। মেয়ের চিকিৎসা চলছে। উনি সুস্থ হলে বাকিটা জানা যাবে।”

এই জোট-ইস্যুতে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী অধীরের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, "গোটা ভারতে বিজেপির বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তবে বাংলার বাইরে তো তৃণমূল কোথাও নেই। বিজেপিকে সাহায্য করতে মাঝমধ্যে যায়। আর বাংলায় বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে সবাইকে একজোট হতে হবে। এর বিকল্প নেই।"


জোটের 'ঘোঁট' কংগ্রেসেই? অধীর-ডালুর তরজা থামছেই না
আবু হাসেম খান চৌধুরী ও অধীর চৌধুরী।

মালদহ: বাংলায় ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা প্রথম থেকেই। আর সেই ধোঁয়াশার দ্বন্দ্ব বাড়ছে কংগ্রেসের অন্দরেই। একদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী যখন বলছেন, তাঁরা কারও মুখাপেক্ষী নন। তখন মালদহ দক্ষিণের বর্ষীয়ান কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ওরফে ডালুর মন্তব্য, “অধীর চৌধুরী কে? জোট চাইছে কংগ্রেস। এআইসিসি নির্দেশ দিলে অধীর চৌধুরীকেও মানতে হবে।” অধীর চৌধুরী যতই তৃণমূল বিরোধিতায় গলা চড়াচ্ছেন, ততই তৃণমূলের সঙ্গে জোটের পক্ষে সওয়াল করছেন ডালু।


বঙ্গে জোট অঙ্কে নারদ-নারদ চলছেই। কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস কি হাত মেলাবে, তা নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যেই দ্বিধাদ্বন্দ্বের শেষ নেই। এমনকী কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ওরফে ডালু জোট নিয়ে এক তত্ত্ব শোনাচ্ছেন, আর তা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। মালদহ দক্ষিণের পর পর তিনবারের সাংসদ ডালু। তিনি প্রথম থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে জোটের পক্ষে সওয়াল করছেন। অন্যদিকে অধীরের দাবি,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই জোট চান না।

অধীর চৌধুরী বলেন, “বাংলায় কংগ্রেস লড়ছে নিজের মতো করে। তৃণমূল কোথায় আলোচনা করছে, সেটা তৃণমূলের ব্যাপার। ওরা বলে দিয়েছে দেশে ওরা লড়ছে, বাংলায় নয়। আমাদের কিছু যায় আসে না এতে। কে এল, কে গেল কিছু যায় আসে না।” কিন্তু ডালু কোনওভাবেই অধীরের বক্তব্যে সহমত নন।


ফিরহাদ হাকিমও যে অধীরের মন্তব্য মানতে নারাজ, বুঝিয়ে দিয়েছেন। অধীরের নাম না করেই ফিরহাদ বলেন, “অধীর চৌধুরী কার প্ররোচনায় এই ধরনের কথা বলছেন? নিজের বহরমপুর লোকসভার অধীনে থাকা সব বিধানসভা বিজেপির হাতে তুলে দিয়েছেন। যখন ২১ জুলাই গুলি চালিয়েছিল সিপিএম, তখন আমাদের হাতে কংগ্রেসের পতাকা ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করে এসেছেন। সেই সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন অধীর চৌধুরী। ডালুবাবু বুঝতে পারছেন অধীর চৌধুরী যা বলছেন তা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। সে কারণেই দল থেকে প্রতিবাদ আসছে।”

তবে এই জোট-ইস্যুতে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী অধীরের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “গোটা ভারতে বিজেপির বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তবে বাংলার বাইরে তো তৃণমূল কোথাও নেই। বিজেপিকে সাহায্য করতে মাঝেমধ্যে যায়। আর বাংলায় বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে সবাইকে একজোট হতে হবে। এর বিকল্প নেই।” অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের খোঁচা, “জোট আবার কী, ওটা একটা ঘোঁট।”

 দেশের উন্নয়নের ধারায় নতুন শক্তির সঞ্চার করছে অযোধ্যা

 প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ভারতের ঐতিহ্য সঠিক দিশা দেখায়। এই ঐতিহ্য ও পরম্পরার সঙ্গে আধুনিকতাকে মিশিয়েই দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলছে। তিনি বলেন, "ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্য অযোধ্যা থেকে নতুন শক্তি পাচ্ছে।"


দেশের উন্নয়নের ধারায় নতুন শক্তির সঞ্চার করছে অযোধ্যা: মোদী
অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

অযোধ্যা: বিকাশ ও ঐতিহ্য- এই দুই শক্তিই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, রাম জন্মভূমি অযোধ্যায় দাঁড়িয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার অযোধ্যায় নবনির্মিত বিমানবন্দর ও নবরূপে সজ্জিত রেল স্টেশনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পেরও শিলান্যাস করলেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ভারতের ঐতিহ্য সঠিক দিশা দেখায়। এই ঐতিহ্য ও পরম্পরার সঙ্গে আধুনিকতাকে মিশিয়েই দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলছে। তিনি বলেন, “ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্য অযোধ্যা থেকে নতুন শক্তি পাচ্ছে।”


আগামী দিনে অযোধ্যা শহর গোটা উত্তর প্রদেশের উন্নয়নে পথ দেখাবে বলে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী মোদী। বললেন, “মন্দির তৈরি হওয়ার পর এখানে প্রচুর পুণ্যার্থী আসবেন। সেই কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে উন্নয়নের কাজ চালাচ্ছে। অযোধ্যাকে স্মার্ট করা হচ্ছে। রাস্তা চওড়া করা হচ্ছে, ফুটপাথ করা হচ্ছে, উড়ালপুল বানানো হচ্ছে। পরিবহণ ব্যবস্থায় প্রচুর উন্নয়ন করা হচ্ছে।”

অযোধ্যাকে স্মার্ট রূপ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানালেও পুরনো ঐতিহ্যকেও একইসঙ্গে নিয়ে এগনোর কথা বললেন নমো। বললেন, “অযোধ্যা শহরের পুরনো ঐতিহ্যকে আধুনিকতার সঙ্গে মিলিয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে।”


উজ্জ্বলা যোজনার কথাও আজ উঠে আসে মোদীর কথায়। তাঁর কথায়, দেশে ৬০-৭০ বছর আগে গ্যাসের কানেকশন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সাল পর্যন্ত মাত্র ১৪ কোটি গ্যাসের কানেকশনই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মোদী জমানার এক দশকের মধ্যেই ১৮ কোটির নতুন এলপিজি গ্যাসের কানেকশন পৌঁছে দিয়েছে।

সাগরের ধবলাট এলাকায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলো এক গৃহবধূ
 
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় ২৯ শে ডিসেম্বর শুক্রবার ভোরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানার অধীন ধবলাটের ১৬৬ নম্বর বুথ এলাকায় কল্পনা গিরি নামে এক মহিলা পারিবারিক বিবাদে জেরে হঠাৎই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে,ওই ঘটনার খবর পেয়ে গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই মহিলার মৃতদেহটি উদ্ধার করে গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানায় নিয়ে আসে, এরপর ২৯শে ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে ওই মহিলার মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সাগর থেকে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মর্গে নিয়ে গেল গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানার পুলিশ
সেই ছবি আপনারা সরাসরি দেখতে পাচ্ছেন কাকদ্বীপ ডটকমের ক্যামেরার মাধ্যমে

স্টাফ রিপোর্টার সৌরভ মন্ডল

আগামী ১২ জানুয়ারি অযোধ্যার (Ayoydhya) রাম মন্দিরের উদ্বোধন। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাইরে থাকা অস্থায়ী মন্দির থেকে রামলালার ছোট্ট মূর্তি কোলে করে বহন করে আনবেন এবং নতুন রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠা করবেন। এছাড়াও রাম মন্দিরের ভিতরে প্রতিষ্ঠা করা হবে আরও একটি পাথরের মূর্তি।

 রামলালার ভাগ্য নির্ধারণ, আজ ভোট হতে চলেছে রাম মন্দিরে
রাম লালার আসল মূর্তির সামনে প্রধানমন্ত্রী মোদী।


অযোধ্যা: অপেক্ষার আর মাত্র কয়েকদিন। তারপরই উদ্বোধন হতে চলেছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। ইতিমধ্যেই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। জোরকদমে চলছে মন্দিরের গর্ভগৃহের নির্মাণকাজ। এরই মাঝে আজ গুরুত্বপূর্ণ ভোট। না এটা কোনও রাজনৈতিক নির্বাচন নয়, এই নির্বাচন রামলালাকে (Ram Lala) নিয়ে। নবনির্মিত রাম মন্দিরের (Ram Mandir) ভিতরে শ্রীরামের (Sree Ram) কোন মূর্তি স্থাপন করা হবে, তা ঠিক করতেই হবে আজ নির্বাচন।
আগামী ১২ জানুয়ারি অযোধ্যার (Ayoydhya) রাম মন্দিরের উদ্বোধন। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাইরে থাকা অস্থায়ী মন্দির থেকে রামলালার ছোট্ট মূর্তি কোলে করে বহন করে আনবেন এবং নতুন রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠা করবেন। এছাড়াও রাম মন্দিরের ভিতরে প্রতিষ্ঠা করা হবে আরও একটি পাথরের মূর্তি।

অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালা ৫ বছরের বালক রূপে প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর জন্য তিনটি মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে। তিনটি মূর্তিরই ডিজাইন সম্পূর্ণ আলাদা। তিনজন আলাদা শিল্পী এই মূর্তিগুলি তৈরি করছেন। প্রথমেই জানানো হয়েছিল, তিনটি মূর্তির মধ্যে যে মূর্তিটি সেরা হবে, তা মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হবে।


জানা গিয়েছে, আজ শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রে বিশেষ বৈঠক হবে। ট্রাস্টের সদস্যদের মধ্যে ভোট হবে। যে মূর্তিতে সবথেকে বেশি ভোট পড়বে, তাই-ই রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে স্থাপন করা হবে। টাস্ট্রের সদস্যরা ও ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা এই ভোট দেবেন।

কীভাবে হবে ভোট?
৫১ ইঞ্চি দীর্ঘ মূর্তি তিনটি। এই তিনটি মূর্তিকেই একটি টেবিলে পাশাপাশি রাখা হবে। ট্রাস্টের সদস্যরা ওই তিনটি মূর্তির মধ্যে সেরা মূর্তি যেটি মনে হবে, তাতে ভোট দেবেন। যেই মূর্তি সবথেকে বেশি ভোট পাবে, সেটি রাম মন্দিরে স্থাপন করা হবে।


সরাসরি তাঁর কাছে রিপোর্ট পেশ করার জন্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৪ জনের একটি টিম তৈরি করে দিয়েছেন। নির্মল ঘোষ ছাড়াও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মন্ত্রী সুজিত বসুকে। সবকটি কেন্দ্রে নজর রাখার কথাও বলেছেন তিনি।


 বালু বাদ, পার্থ-সুজিতদের উত্তর ২৪ পরগনা ‘ভাগ-বটরা’ করে দিলেন মমতা
জেলার জন্য টিম গঠন মমতার


উত্তর ২৪ পরগনা: একসময় উত্তর ২৪ পরগনা মানেই ছিল বালুর দাপট। বর্তমানে জেলবন্দি রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের একটা বড় ভূমিকা ছিল জেলার রাজনীতিতে। আপাতত তাঁকে বাদ দিয়েই লোকসভা নির্বাচনের ঘুঁটি সাজাতে হচ্ছে তৃণমূলকে। উত্তর ২৪ পরগনার মতো জেলা, যেখানে পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্র আছে, সেখানে এবার মমতা নিজে তৈরি করে দিলেন কোর কমিটি। পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষকে মাথায় রেখে তৈরি করা হল বিশেষ কমিটি। জেলায় গুরুদায়িত্ব দেওয়া হল বিধাননগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুকে। তিনি নিজে কমিটির রিপোর্ট নেবেন বলে জানিয়েছেন মমতা।

বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনায় ছিল তৃণমূলের কর্মিসভা। সেখানে গিয়ে মমতা জানিয়েছেন, কোর কমিটির চেয়ারম্যান করা হচ্ছে নির্মল ঘোষকে। সাংসদদের ওই কমিটিতে রাখা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তিনি। কারণ সামনেই লোকসভা নির্বাচন, তাই নিজেদের কেন্দ্রগুলোতে নজর দেবেন সাংসদেরা।

কমিটির বাকি সদস্যদের মধ্যে থাকছেন ব্রাত্য বসু, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বসু, তাপস রায়, নারায়ণ গোস্বামী, বীণা মণ্ডল, নুরুল ইসলাম, বিশ্বজিৎ দাস, মমতাবালা ঠাকুর, গোপাল শেঠ, সুরজিখ বিশ্বাস, সুকুমার মাহাতো, রফিকুল ইসমাল মণ্ডল, তাপস দাসগুপ্ত, রফিকার রহমান,গোবিন্দ দাস।

নন্দীগ্রাম থানার সাব ইনস্পেক্টর গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায়কে হলদিয়া মহিলা থানার ওসি করা হয়েছে। খেঁজুরির হেড়িয়া ফাঁড়ির 'ইনচার্জ' শাহেনশা হক কে দিঘা মোহনা কোস্টাল থানার ওসি করা হয়েছে। এই ইস্যুতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।



লোকসভা ভোটের আগেই শুভেন্দুর জেলায় ৪০ পুলিশ অফিসারের বদলি

পূর্ব মেদিনীপুর: লোকসভা নির্বাচনের আর দেরী নেই। সব দলের তরফেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। এরই মধ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা অর্থাৎ পূর্ব মেদিনীপুরে একাধিক থানায় বদল করা হল একগুচ্ছ পুলিশ আধিকারিককে। এই রদবদলে শুরু হয়েছে ব্যাপক রাজনৈতিক চাপানউতোর। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপারের তরফে বুধবার রাতে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ১২টি থানার ওসি, ২৯ জন সাব-ইনস্পেক্টর এবং ১১ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টরকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলার রাজনীতিতে এই জেলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনার নজিরও রয়েছে। তাই ময়না, নন্দীগ্রাম, দিঘা, তমলুক সহ একাধিক থানায় এই রদবদল তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।


ময়নার থানার ওসি গোপাল পাঠককে বদলি করে ভূপতিনগর থানার ওসি করা হয়েছে। আর ভূপতিনগর থানার ওসি কাজল দত্তকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ময়না থানায়। এদিকে, সুতাহাটার ওসি অভিজিৎ পাত্র দায়িত্ব পাচ্ছেন দিঘা থানায়, দিঘা থানার ওসি কামার হাসাদ’কে তমলুক থানায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জুনপুট কোস্টাল থানার ওসি সৌমিত্র ঘোষকে সুতাহাটা থানার নতুন ওসি করা হয়েছে। চণ্ডীপুর থানার ওসি দীপক অধিকারীকে বদলি হয়ে যাচ্ছেন জেলা পুলিশের ডিআইবি বিভাগে। তমলুক থানার এসআই বুদ্ধদেব মালকে চণ্ডীপুর থানার ওসি পদে পাঠানো হয়েছে। দিঘা মোহনা কোস্টাল থানার ওসি মৌসুমী সর্দারকে পাঁশকুড়া থানায় বদলি করা হয়েছে। মহিষাদল থানার ওসি প্রলয় চন্দ্রকে মারিশদা থানার ওসি করা হয়েছে। মারিশদা থানার ওসি সৌমেন গুহকে নিয়ে ভগবানপুর থানার ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নন্দীগ্রাম থানার সাব ইনস্পেক্টর গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায়কে হলদিয়া মহিলা থানার ওসি করা হয়েছে। খেঁজুরির হেড়িয়া ফাঁড়ির ‘ইনচার্জ’ শাহেনশা হক কে দিঘা মোহনা কোস্টাল থানার ওসি করা হয়েছে। কাঁথি থানার সাব-ইনস্পেক্টর শেখ আসিফউদ্দিনকে হেড়িয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ করা হয়েছে। জেলা ডিআইবির সাব-ইনস্পেক্টর চন্দ্রকান্ত শাসমলকে তালপাটি ঘাট কোস্টাল থানার ওসি করা হয়েছে।


পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, এটা রুটিন বদল। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী সাব-ইনস্পেক্টর ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক একটি মহকুমায় তিন বছরের বেশি কর্মরত থাকতে পারবেন না। তাই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। তবে এই ইস্যুতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। জেলায় বিরোধী দলের নেতারা দাবি করছেন, এমন একাধিক পুলিশ আধিকারিক আছেন, যাঁরা সদ্য বদলি হয়েছিলেন। ভোটের আগে তাঁদের ফের রাজ্য সরকার নিজেদের মতো করে বদলি করবে বলেও দাবি বিরোধীদের।

তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, এটা পুলিশের রুটিন বদলি। আর বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপসী মণ্ডলের অভিযোগ, কয়েকমাস আগেও এভাবেই বিভিন্ন থানায় নিযুক্ত ওসিদের বদলি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার হাওড়ার ডুমুরজোলা হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। হেলিপ্যাডে যাওয়ার পথে উপস্থিত সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি রাম মন্দির উদ্বোধনে যাচ্ছেন? প্রশ্ন কানে আসতেই পিছন ঘুরে তাকান মুখ্যমন্ত্রী।


রাম মন্দির নিয়ে প্রশ্ন শুনেই তেলেবেগুনে চটলেন মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ফাইল ছবি)


হাওড়া: নতুন বছরেই উদ্বোধন হবে অযোধ্যার রাম মন্দির। ২২ জানুয়ারি সেই অনুষ্ঠানের জন্য তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে অযোধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে উদ্বোধন হবে মন্দির। নিছকই ধর্মীয় ক্ষেত্রে নয়, দেশের রাজনীতির নিরিখেও এই মন্দির উদ্বোধন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তাই কারা সেই অনুষ্ঠানে থাকছেন, তা নিয়ে কৌতুহল রয়েছে। সীতারাম ইয়েচুরি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা যাচ্ছেন না অযোধ্যায়। বৃহস্পতিবার এই বিষয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। উত্তর দেওয়া তো দূরের কথা এদিন প্রশ্ন শুনেই বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একাধিক কর্মসূচি ছিল মমতার। উত্তর ২৪ পরগনায় ছিল কর্মিসভাও। সেখানে যাওয়ার আগে হাওড়ার ডুমুরজোলা হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। হেলিপ্যাডে যাওয়ার পথে উপস্থিত সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি রাম মন্দির উদ্বোধনে যাচ্ছেন? প্রশ্ন কানে আসতেই পিছন ঘুরে তাকান মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “তোমরা সব জেনে বসে আছ না? আমি তো কিছুই জানি না।” উদ্বোধনে যাচ্ছেন কি না, সে ব্যাপারে কোনও স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি তাঁর কাছ থেকে।


তৃণমূলের মুখপাত্রও এই বিষয়ে আগেই মুখ খুলেছেন। রাম মন্দির সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘খামোকা যাবেন কেন?’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সময় মতো এ বিষয়ে জবাব দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক ইয়েচুরি জানিয়েছেন, রাম মন্দিরের নামে জনগণের ধর্ম-বিশ্বাস নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। এটা সংবিধানের সঙ্গে মানানসই নয় বলে মনে করেন তিনি। তাই, ওই অনুষ্ঠানে আমি যোগ দিতে যাবেন না।

নিয়ম অনুযায়ী, রোগী রেফার করতে হলে হাসপাতাল সুপার এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধানকে জানাতে হয়। অভিযোগ, গত মাসে ১০ -১২ জন প্রসূতি রোগীকে রেফার করা হয়েছে, যা সম্পর্কে জানেন না বিভাগীয় প্রধান ও হাসপাতাল সুপারও।



প্রসূতিদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে অন্য হাসপাতালে, জানেনই না সুপার
বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল


বালুরঘাট: রেফার নিয়ে বারবার সতর্ক করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরও সেই একই সমস্যা, একই অভিযোগ সামনে আসছে বারবার। হাসপাতালে ভর্তি হতে এলে প্রসূতিদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে অন্য হাসপাতালে। রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে প্রসূতিদের পরিবারকে। এমন অবস্থায় জরুরি বৈঠক বসল বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। অভিযোগ, ওই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে বাড়ছে রেফারের সংখ্যা। গত এক মাসের এমন তথ্য সামনে আসার পর চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ দাস। ছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।

বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে প্রায় সব বিভাগেই চিকিৎসক কম রয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। প্রসূতি বিভাগে মোট ৮ জন চিকিৎসক থাকার কথা, রয়েছেন ছয় জন। অভিযোগ, মাস দুয়েক আগে ওই বিভাগের দুজন চিকিৎসক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই চলে যায়। সেই থেকেই চিকিৎসক সংখ্যা কম। প্রতিদিন গড়ে ২৫ থেকে ৩০ জন রোগী প্রসূতি বিভাগে ভর্তি থাকে। স্বাভাবিকভাবেই চাপ বাড়ছে ওই বিভাগে। কম চিকিৎসক দিয়ে দিন দিন পরিষেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।

নিয়ম অনুযায়ী, রোগী রেফার করতে হলে হাসপাতাল সুপার এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধানকে জানাতে হয়। অভিযোগ, গত মাসে ১০ -১২ জন প্রসূতি রোগীকে রেফার করা হয়েছে, যা সম্পর্কে জানেন না বিভাগীয় প্রধান ও হাসপাতাল সুপারও। সেই কারণেই এই বৈঠক। প্রসূতি বিভাগের প্রধান ও হাসপাতাল সুপারকে না জানিয়ে কোনও ভাবেই কোন প্রসূতি রোগীকে রেফার করা যাবে না বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে সাফ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসূতি সহ সব বিভাগেই রোগী রেফার নিয়ে চিকিৎসকদের সতর্ক করা হয়েছে।


জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সদস্য সুভাষ ভাওয়াল জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। এই বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।। এই সমস্যা দ্রুত মেটানো যায় কি করে তাও তিনি দেখবেন।

বিধানসভা থেকে পুরভোট, বিগত কয়েকটি নির্বাচনে তৃণমূলের রেকর্ড ইতিবাচক। তবে অভিযোগও কম নেই। নিয়োগ দুর্নীতি বা রেশন দুর্নীতির মতো বিষয়গুলো যে বিজেপি হাতিয়ার করবে, তা বলাই বাহুল্য।


নতুন বছর পড়লেই দফায় দফায় বৈঠকে বসবেন বক্সী, ভোটের আগে কী বার্তা?
সুব্রত বক্সী

কলকাতা: বিরোধী মহলে ভোটের তোড়জোড় তুঙ্গে। অমিত শাহ, জে পি নাড্ডার হাত ধরে পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। ৩৫ আসন জেতার লক্ষ্য স্থির করে এগোচ্ছে গেরুয়া শিবির। দফায় দফায় বসছে বৈঠক। গুরুদায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন দলের সিনিয়র নেতারা। এমন আবহে শাসক দলেরও ভাবার সময় এসেছে। দলের অন্দরে কোনও ক্ষত থাকলে, সেগুলো অবিলম্বে সরিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সেই উদ্দেশেই এবার দফায় দফায় বৈঠক করবেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। নতুন বছর পড়ার পর আর ঘরে বসে থাকতে চাইছে না ঘাসফুল নেতৃত্ব।


তৃণমূল সূত্রে খবর, নতুন বছরের শুরুতেই জেলা ধরে বৈঠক শুরু করবেন সুব্রত বক্সী। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে জেলাওয়াড়ি বৈঠক শুরু হবে। আগামী ২ জানুয়ারি পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন বক্সী। পরের দিনই কথা বলবেন বিষ্ণুপুর এবং বাঁকুড়ার নেতাদের সঙ্গে। ৩ জানুয়ারি হবে বৈঠক। ২০২৪ এর নির্বাচনের আগে দলীয় অনুশাসন প্রয়োগ এবং দ্বন্দ্ব মিটিয়ে সংগঠন মজবুদ করাই এই সব বৈঠকে লক্ষ্য বলে জানা যাচ্ছে।

বিধানসভা থেকে পুরভোট, বিগত কয়েকটি নির্বাচনে তৃণমূলের রেকর্ড ইতিবাচক। তবে অভিযোগও কম নেই। নিয়োগ দুর্নীতি বা রেশন দুর্নীতির মতো বিষয়গুলো যে বিজেপি হাতিয়ার করবে, তা বলাই বাহুল্য। এর মধ্যে যদি দলের অন্দরেই দ্বন্দ্ব থাকে, তাহলে বিপক্ষকে মোকাবিলা করা মুস্কিল হয়ে উঠবে। সে কারণেই এই বৈঠক বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের।

চন্দ্রযান-৩ অভিযানে খরচ হয়েছিল প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। যদি বলা হয়, শুধুমাত্র কাগজের ফাইল, খারাপ হয়ে যাওয়া অফিস সরঞ্জাম এবং বাতিল যানবাহনের মতো আবর্জনা বিক্রি করেই, এই ধরনের দু-দুটো চন্দ্র অভিযান আয়োজন করতে পারে মোদী সরকার। বিশ্বাস করবেন?


 আবর্জনাতেও সোনা ফলালেন মোদী, উঠে এল দু-দুটো চন্দ্রযান-৩ অভিযানের টাকা
আবর্জনায় বিক্রি করে বিপুল লক্ষ্মীলাভ মোদী সরকারের

নয়া দিল্লি: শেষ হতে চলল ২০২৩। এই বছরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল চাঁদের বুকে ভারতের সফল অবতরণ। চন্দ্রযান-৩ অভিযানের সাফল্য, শুধু আমাদের দেশের জন্যই নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই অভিযানে খরচ হয়েছিল প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। যদি বলা হয়, শুধুমাত্র কাগজের ফাইল, খারাপ হয়ে যাওয়া অফিস সরঞ্জাম এবং বাতিল যানবাহনের মতো আবর্জনা বিক্রি করেই, এই ধরনের দু-দুটো চন্দ্র অভিযান আয়োজন করতে পারে মোদী সরকার। বিশ্বাস করবেন? আসলে, সাম্প্রতিক সরকারি তথ্য বলছে, ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকে এই ধরনের আবর্জনা বা ‘স্ক্র্যাপ’ বিক্রি করে প্রায় ১,১৬৩ কোটি টাকা আয় হয়েছে সরকারের!


সরকার এখন ই-ফাইলের উপর বেশি জোর দিচ্ছে। অর্থাৎ, সব কিছু কম্পিউটারে তোলা থাকছে। এর ফলে, কাগজের ফাইলের প্রয়োজন ফুরিয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসগুলি থেকে এই ধরনের ৯৬ লক্ষ কাগজের ফাইল বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে অফিসগুলিতে প্রায় ৩৫৫ লক্ষ বর্গফুট জায়গা খালি হয়েছে। একদিকে এই ফাইলগুলি বিক্রি করে কোষাগারে অর্থ এসেছে, আবার এই ফাঁকা হওয়া জায়গাগুলি অন্যান্য কাজে লাগানো গিয়েছে। প্রায় ২৪ লক্ষ কাগজের ফাইল বাতিল হয়েছে চলতি বছরেই। এই বিষয়ে সবার আগে রয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। তারা, চলতি বছরে প্রায় ৩.৯ লক্ষ ফাইল বাতিল করেছে।

যে ১,১৬৩ কোটি টাকা এইসব আবর্জনা বিক্রি করে রোজগার করেছে সরকার, তার মধ্যে চলতি বছরের অক্টোবরেই এসেছে ৫৫৭ কোটি টাকা! আর এর পিছনে রয়েছে মোদী সরকারের মাসব্যাপী স্বচ্ছতা অভিযান। মহাত্মা গান্ধীকে স্বচ্ছাঞ্জলী দিতে যে উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার, তার সাফল্য পরিসংখ্যানেই ধরা পড়েছে। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিফর্মস অ্যান্ড পাবলিক গ্রিভেন্স বিভাগের সচিব, ভি শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, ওই এক মাসে, ভারতে এবং বিদেশের ২,৫৮,৬৭৩টি অফিসে স্বচ্ছতা অভিযান চলেছে। এর ফলে ১৬৪ লক্ষ বর্গফুট অফিস স্পেস খালি হয়েছে।


আবর্জনা বিক্রির ৫৫৭ কোটি টাকার মধ্যে সিংহভাগ এসেছে রেল মন্ত্রক থেকে। তাদের আয় হয়েছে প্রায় ২২৫ কোটি টাকা। এর পর রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, আয় ১৬৮ কোটি টাকা। তৃতীয় স্থানে, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক। আয় ৫৬ কোটি টাকা। আর চতুর্থ স্থানে রয়েছে কয়লা মন্ত্রক, আয় ৩৪ কোটি টাকা। তবে, তারা আবার অফিসের জায়গা খালি করার দিক থেকে সবার আগে আছে। কয়লা মন্ত্রক খালি করেছে ৬৬ লক্ষ বর্গফুট জায়গা। এরপর রয়েছে ভারী শিল্প মন্ত্রক, ২১ লক্ষ বর্গফুট। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক খালি করেছে, ১৯ লক্ষ বর্গফুট অফিস স্পেস।

ভারতের মিশন 'দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজ জয়' এ বারও সফল হল না। কারণ, সেঞ্চুরিয়নে বক্সিং ডে টেস্টে ৩২ রানে ও এক ইনিংসে ভারতকে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫ দিনের টেস্টের ফয়সলা হল মাত্র ৩ দিনেই। তাই ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এখন ১-০ এগিয়ে প্রোটিয়ারা। টিম ইন্ডিয়ার তেইশের শেষটা হল হার দিয়ে। অন্যদিকে প্রোটিয়া শিবিরে খুশির হাওয়া বইছে। তারই মাধে এসেছে এক খারাপ খবরও।

চোটে ছিটকে গেলেন বাভুমা, কেপটাউন টেস্টে প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন ডিন এলগার
চোটে ছিটকে গেলেন বাভুমা, কেপটাউন টেস্টে প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন ডিন এলগার


কেপটাউন: ভারতের মিশন ‘দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজ জয়’ এ বারও সফল হল না। কারণ, সেঞ্চুরিয়নে বক্সিং ডে টেস্টে ৩২ রানে ও এক ইনিংসে ভারতকে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫ দিনের টেস্টের ফয়সলা হল মাত্র ৩ দিনেই। তাই ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এখন ১-০ এগিয়ে প্রোটিয়ারা। টিম ইন্ডিয়ার তেইশের শেষটা হল হার দিয়ে। অন্যদিকে প্রোটিয়া শিবিরে খুশির হাওয়া বইছে। তারই মাধে এসেছে এক খারাপ খবরও। শোনা গিয়েছে, কেপটাউনে হতে চলা দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা (Temba Bavuma)। সেঞ্চুরিয়নে ভারতের প্রথম ইনিংসে ফিল্ডিং করার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন বাভুমা। সেই চোটই চলতি টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে দিল বাভুমাকে। তাঁর অনুপস্থিতিতে প্রোটিয়া দলকে নেতৃত্ব দেবেন কে? শোনা গিয়েছে, দলের সিনিয়র ও অভিজ্ঞ ডিন এলগার (Dean Elgar) সেই দায়িত্ব পেতে চলেছেন।


দেশের জার্সিতে ভারতের বিরুদ্ধেই শেষ টেস্ট সিরিজ খেলছেন ডিন এলগার। ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ শুরু হওয়ার আগেই এলগার জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই সিরিজই তাঁর টেস্ট কেরিয়ারের শেষ সিরিজ হতে চলেছে। এ বার নিজের কেরিয়ারের শেষ টেস্টে তিনিই দলকে নেতৃত্ব দিতে চলেছেন। তেম্বা বাভুমা চোটে কেপটাউন টেস্ট থেকে ছিটকে যাওয়ায় এই সুযোগ পেলেন ডিন। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টেস্টে টিম ইন্ডিয়ার প্রথম ইনিংস চলাকালীন সুপারস্পোর্টস পার্কে ফিল্ডিং করতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান বাভুমা। তাঁর স্ক্যান হওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেন। যার ফলে তিনি আর প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামেননি।


২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ডিন এলগারের। ৩৬ বছর বয়সী প্রোটিয়া তারকা ৮৫টি টেস্টে ৫৩৩১ রান করেছেন। ভারতের বিরুদ্ধে বিদায়ী সিরিজে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন তিনি। রোহিতের ভারতের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে ২৮৭ বলে ১৮৫ রান করেন এলগার। এই ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এ বার দেখার তাঁর কেরিয়ারের শেষ টেস্টে এলগারের নেতৃত্বে প্রোটিয়ারা ভারতকে হারাতে পারে কিনা।

বর্তমানে ওয়েস্টার্ন রেলে চলে আটটি এসি লোকাল আর মধ্য রেলে চলে পাঁচটি। আপাতত সেন্ট্রাল রেল বা মধ্য রেলে এসি লোকাল ট্রেনের বাড়ানোর কোনও খবর নেই। তবে পূর্ব রেলের অধীনে এসি লোকাল চললে উপকৃত হবে বহু মানুষ। এই লাইনে এত বেশি মানুষ যাতায়াত করেন, তাতে লাভের অঙ্কও বাড়বে রেলের।


এবার শিয়ালদহ-হাওড়া স্টেশন থেকে ছুটবে AC লোকাল ট্রেন, স্বপ্নপূরণের বেশি দেরি নেই
লোকাল ট্রেন (ফাইল ছবি)

কলকাতা: প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ লোকাল ট্রেনকেই একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেন এ রাজ্যে। উপচে পড়া ভিড় দেখলেই অনুমান করা যায় লোকাল ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা কত। হাওড়া ও শিয়ালদহ- পূর্ব রেলের এই দুই ডিভিশনেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ রুটে চলে লোকাল ট্রেন। সেই সব যাত্রীদের জন্য এবার সুখবর। লোকাল ট্রেনের এসি কামরায় বসে এবার কর্মক্ষেত্রে যেতে পারবেন আপনিও। জল্পনা ছিল অনেক দিন ধরেই। তবে সম্প্রতি পূর্ব রেলের জন্য এসি ট্রেনও বরাদ্দ করে দেওয়া হয়েছে। আপাতত মহারাষ্ট্রে চলে লোকাল ট্রেন। তবে ক্রমশ দেশের বিভিন্ন রুটে এসি ট্রেন চালু করা হচ্ছে বলে রেল সূত্রে খবর।


সম্প্রতি রেলের তরফে ১২ কোচের এসি রেক তৈরি করার কথা বলা হয়েছে ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিকে। মোট ৮টি এসি ট্রেন তৈরির কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে-কে দেওয়া হবে ৪টি ট্রেন। ২০২৩-২৪-এ দুটি ও ২০২৪-২৫-এ আরও দুটি ট্রেন পাবে। এছাড়া পূর্ব রেল, দক্ষিণ রেলের জন্যও বরাদ্দ হয়েছে ট্রেন। পূর্ব রেল দুটি ট্রেন পাবে বলে সূত্রের খবর। হাওয়া ও শিয়ালদহ- দুই ডিভিশনই পূর্ব রেলের অধীন। ফলে এই দুই লাইনে এসি ট্রেন শীঘ্রই চলবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

মেইনের শীর্ষস্থানীয় নির্বাচনী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি, 'ক্যাপিটল হামলা'র পিছনে ট্রাম্পের ভূমিকার জন্যই তাঁকে ভোটে দাঁড়ানোর জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হল। এর আগে, ১৯ ডিসেম্বর, একই কারণে কলোরাডো প্রদেশের শীর্ষ আদালত ট্রাম্পকে ভোটের লড়ার অযোগ্য বলে, ঘোষণা করেছিল।

Donald Trump: কলোরাডোর পর মেইনও বলল 'অযোগ্য'! কাঁটা বাড়ছে ট্রাম্পের পথে
ডোনাল্ড ট্রাম্প (ফাইল ছবি)


ওয়াশিংটন: ২০২৪ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে সবার আগে আছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার রাস্তাটা, তাঁর জন্য ক্রমশ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর), দ্বিতীয় মার্কিন প্রদেশ হিসেবে, আগামী বছরের মার্কিন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে, ট্রাম্পকে ‘অযোগ্য’ বলে ঘোষণা করল মেইন প্রদেশ। মেইনের শীর্ষস্থানীয় নির্বাচনী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি, ‘ক্যাপিটল হামলা’র পিছনে ট্রাম্পের ভূমিকার জন্যই তাঁকে ভোটে দাঁড়ানোর জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হল। এর আগে, ১৯ ডিসেম্বর, একই কারণে কলোরাডো প্রদেশের শীর্ষ আদালত ট্রাম্পকে ভোটের লড়ার অযোগ্য বলে, ঘোষণা করেছিল।


২০২৪ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকানদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে সবথেকে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। কিন্তু, পিছু ছাড়ছে না ইতিহাস। ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরেই তিনি নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির মিথ্যা দাবি ছড়িয়েছিলেন। এই ভাবে তিনি গণতন্ত্র বিরোধী বিদ্রোহ উসকে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন মেইন প্রদেশের সেক্রেটারি অব স্টেট, শেনা বেলোস। এই ডেমোক্র্যাট রাজনীতিক বলেছেন, “হার নিশ্চিত বুঝে, ভোটের ফল ঘোষণা করা থেকে সাংসদদের আটকাতে, ট্রাম্প তাঁর সমর্থকদের ক্যাপিটলে মিছিল করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।” তবে, রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত এই বিষয়ে রায় না দেওয়া পর্যন্ত বেলোস তার সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন।

মার্কিন সংবিধানে একটি বিধান রয়েছে, আগে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন, এমন কোনও ব্যক্তি যদি সরকার বিরোধী অভ্যুত্থান বা বিদ্রোহে জড়িত থাকেন, তবে তাঁকে ফের প্রেসিডেন্ট পদে বসার অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হবে। মেইন প্রদেশের কয়েকজন প্রাক্তন সাংসদ এই বিধানের উল্লেখ করে, ট্রাম্পকে নির্বাচনে লড়ার অযোগ্য বলে ঘোষণা করার আবেদন করেছিলেন। তারই ভিত্তিতে এই রায় এসেছে। তবে, এই রায়টি শুধুমাত্র মার্চের প্রাথমিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। নভেম্বরের হবে সাধারণ নির্বাচন। তাতে লড়তে সমস্যা হবে না ট্রাম্পের। তবে, এই রায়ের ফলে, সেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হবে তাঁকে। প্রাথমিক নির্বাচনে না প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে, দেশব্যাপী তাঁর যোগ্যতা সম্পর্কে প্রশ্নগুলি সমাধান করার জন্য চাপ বাড়বে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের উপর।

সারে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ জানিয়েছে, কমপক্ষে ১৪ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়, এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সতীশ কুমারের বড় ছেলের বাড়ি লক্ষ্য করে। গুলিতে কেউ আহত হয়নি ঠিকই। তবে, কী হতে পারত, তার ছাপ রয়ে গিয়েছে বাড়ির দেওয়ালে।


দেওয়ালে ১৪টি গুলির ছিদ্র! কানাডায় ফের আক্রান্ত হিন্দু সম্প্রদায়
প্রতীকী ছবি

খালিস্তানি জঙ্গিদের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মধ্যে ক্রমে হামলা বাড়ছে সেখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর। এতদিন, নিশানায় ছিল হিন্দু মন্দিরগুলি। এবার, ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার প্রদেশের সারেতে, গুলি চলল এক বিশিষ্ট হিন্দু ব্যবসায়ীর বাড়িতে। তদন্ত শুরু করেছে কানাডার পুলিশ। তারা জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে ২৭ ডিসেম্বর সকাল আটটা নাগাদ। সারে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ জানিয়েছে, কমপক্ষে ১৪ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়, এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সতীশ কুমারের বড় ছেলের বাড়ি লক্ষ্য করে। গুলিতে কেউ আহত হয়নি ঠিকই। তবে, কী হতে পারত, তার ছাপ রয়ে গিয়েছে বাড়ির দেওয়ালে। দেওয়াল জুড়ে তৈরি হয়েছে বুলেটের ছিদ্র। প্রসঙ্গত, ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি সতীশ কুমার সারে লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরের সভাপতিও।

সারে আরসিএমপি জেনারেল ইনভেস্টিগেশন ইউনিট এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে। ঘটনার পর, কয়েক ঘন্টা ধরে ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন প্রমাণ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজগুলি সংগ্রহ করেছে। তবে, এই হামলা কারা চালাল, এর পিছনে তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল – এই সব প্রশ্নের উত্তর তারা এখনও পায়নি। এর আগে, সারের লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে ভারত-বিরোধী গ্রাফিতি স্প্রে করা হয়েছিল। এছাড়া, ব্রাম্পটন এবং গ্রেটার টরন্টো এলাকাতেও হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়েছিল।

সম্প্রতি, কানাডায় এক খালিস্তানি জঙ্গি নেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়েছে। ওই জঙ্গির হত্যার পিছনে ভারতের হাত আছে বলে অভিযোগ করেছেন সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এরপরই, কানাডায় বসবাসকারী আরেক খালিস্তানি জঙ্গি নেতা, গুরপতবন্ত সিং পান্নুন, সেই দেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে সরাসরি হুমকি দিয়েছিল। তাদের সেই দেশ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিস। পান্নুনের সেই হুমকির পর থেকেই, কানাডা জুড়ে একের পর এক হিন্দু মন্দিরে হামলা হয়েছে।


কানাডার হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা, এই ঘটনাগুলিকে ‘হেট ক্রাইম’, অর্থাৎ, ঘৃণামূলক অপরাধ হিসাবে তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করেছেন। মন্দিরগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চি করারও অনুরোধ করা হয়েছে। তবে, কানাডা সরকার শুধুমাত্র হামলাগুলির নিন্দা করা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার মধ্যে আটকে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনাগুলিতে জড়িতদের একজনকেও আটক করা হয়নি। তাই, হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্কও রয়ে গিয়েছে।