১৭ দিন অপেক্ষা করছিল গোটা দেশ। খননকাজে যখন বারবার বাধা আসতে থাকে, তখন প্রার্থনা করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না শ্রমিকদের পরিবারের কাছে। অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।
চোখে-মুখে আতঙ্ক, দেখুন মুক্তির মুহূর্তের সেই
উত্তরকাশী: উৎকন্ঠা শেষ হয়েও শেষ হচ্ছিল না। সকাল থেকে প্রহর গুনতে গুনতে নামে সন্ধ্যা। তারপরও নেই কোনও আশার খবর। আরও একটা উদ্বেগের রাত কাটানোর জন্য তৈরি হচ্ছিলেন শ্রমিকদের পরিবার। অবশেষে ঠিক সন্ধ্যায় ৭ টা ৫ মিনিটে এল সেই খবর। আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন এনডিআরএফ জওয়ান। তার ঠিক ১৫-২০ মিনিটের মধ্যেই বের করে আনা হল প্রথম শ্রমিককে। সেই ছবি সামনে আসার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল গোটা দেশ।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই ৪১ জন শ্রমিকের মুক্তির সম্ভাবনার কথা শোনা গিয়েছিল। সকাল থেকেই প্রহর গুনছিলেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। টানেলের কাছেই দিনভর ছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। কিন্তু সন্ধ্যা নামার পর ফের তৈরি হয় দোলাচল। আবারও ধস নামে আর এক অংশে। আশার আলো ক্ষীণ হতে শুরু করে। কিন্তু সন্ধ্যার পর শেষ পর্যন্ত পাইপের শেষ প্রান্তে পৌঁছে যান এনডিআরএফ-এর সদস্য।
এরপর আর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। প্রস্তুত ছিল অ্যাম্বুল্যান্স। একে একে সব শ্রমিকদের বের করে আনা হয় সেই অন্ধকূপ থেকে। প্রথম শ্রমিক বেরতেই এগিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। স্বাগত জানান তাঁকে। কথাও বলেন ওই শ্রমিকের সঙ্গে। উপস্থিত ছিলেন ভি কে সিং। এরপর প্রত্যেক শ্রমিককে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী। নিরাপদে তাঁদের বের করে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হয়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours