অতীতে বাংলার নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেও বিস্ফোরক সব দাবি করেছিলেন প্রাক্তন এই সিবিআই কর্তা। এবার রেশন দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যেই পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি প্রসঙ্গে টিভি নাইন বাংলায় বিস্ফোরক দাবি উপেন বিশ্বাসের। বললেন, "ওই কেসের সঙ্গে (বিহারের পশু খাদ্য কেলেঙ্কারি) কিছুটা লিঙ্ক ছিল পশ্চিমবঙ্গের।"
Ration Scam: পশুখাদ্যের সঙ্গে বাংলার লিঙ্ক কোথায়? শোনালেন লালুকে জেলে পাঠানো প্রাক্তন CBI কর্তা
উপেন বিশ্বাস
কলকাতা: বিহারের পশু খাদ্য কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তদন্তের সময় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার টিমের প্রধান দায়িত্বে ছিলেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব গ্রেফতার হয়েছিলেন এই মামলায়। অতীতে বাংলার নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেও বিস্ফোরক সব দাবি করেছিলেন প্রাক্তন এই সিবিআই কর্তা। এবার রেশন দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যেই পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি প্রসঙ্গে টিভি নাইন বাংলায় বিস্ফোরক দাবি উপেন বিশ্বাসের। বললেন, “ওই কেসের সঙ্গে (বিহারের পশু খাদ্য কেলেঙ্কারি) কিছুটা লিঙ্ক ছিল পশ্চিমবঙ্গের।”
উল্লেখ্য, বাংলার রেশন দুর্নীতির মামলায় ইডির তদন্ত শুরু হতেই বিভিন্ন সূত্র মারফত উঠে আসতে শুরু করেছে বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির লিঙ্ক। রেশন মামলার তদন্তে অঙ্কিত ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। অতীতে এই সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে থাকা দীপেশ চন্দকের নাম জড়িয়েছিল পশু খাদ্য মামলায়। সিবিআই-এর গ্রেফতারও হয়েছিলেন তিনি।
উপেন বিশ্বাস বললেন, “এইচ চন্দক একজন খুব গুরুত্বপূর্ণ অভিযুক্ত। দীপেশ চন্দকের বাড়ি এখানে, বিহারে নয়। এখানে তাঁর গোডাউন ও অফিসও রয়েছে। ওখানকার (বিহারের) সর্বস্তরের প্রশাসকের সঙ্গে ওর যোগাযোগ ছিল। এখানেও একটা গ্যারেজ ছিল ওর। এখানে বস্তা ভরে ভরে টাকা আসত। চন্দকের ডিউটি ছিল, যখন যে রাজ্যে টাকা পাঠানোর দরকার হত, সেখানে গিয়ে টাকা দিয়ে আসত।”
প্রসঙ্গত, ইডির অফিসাররা বাংলায় রেশন দুর্নীতির তদন্তের নেমে হিতেশ ও অঙ্কিত চন্দকের বাড়ি ও অফিস ঘরে তল্লাশি চালিয়েছিলেন। এই সময় থেকেই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছিল পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির কথা। বিহারে লালু প্রসাদ যাদবের জমানায় পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি শোরগোল ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশে। সেই সময় গ্রেফতার করা হয়েছিল দীপেশকে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours