শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে ক্রেনের ধাক্কায় কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যু হয়েছিল কলকাতা পুলিশের ওই কনস্টেবলের। তাঁর মৃত্যুতে আগেই শোক প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারে মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকা সহায়তাও করা হল।

কালীপুজোর নিরঞ্জনে ভয়ঙ্কর পরিণত পুলিশ কর্মীর, ৫ দিনের মাথায় পাশে দাঁড়াল সরকার
পরিবারের পাশে সরকারি আধিকারিকেরা

পতিরাম: গত ১৪ নভেম্বর কলকাতার (Kolkata) নিমতলায় কালীপুজোর বিসর্জনের সময় কলকাতায় একটি বাচ্চাকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হয় কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যু হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের সেওয়াই এলাকার এক পুলিশ কর্মীর৷ মৃতের নাম সন্দীপ বর্মন(৩৪)। তাঁর বাড়িতে স্ত্রী, মা বাবা ও সন্তান রয়েছে। রবিবার দুপুরে ওই পুলিশ কর্মীর বাড়িতে যান মালদা রেঞ্জের ডিআইজি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা ও পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল। এছাড়াও ছিলেন অন্য পুলিশকর্মীরা। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ড থেকে ২ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয় ওই পুলিশ কর্মীর পরিবারের সদস্যদের হাতে৷ মৃত ওই পুলিশ কর্মী কলকাতার খিদিরপুরের পদ্মপুকুরে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে ক্রেনের ধাক্কায় কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যু হয়েছিল কলকাতা পুলিশের ওই কনস্টেবলের। তাঁর মৃত্যুতে আগেই শোক প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারে মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকা সহায়তাও করা হল। এদিন মৃতের গ্রামের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের পতিরাম থানার গোপালবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সেঁওয়াই গ্রামে গিয়ে ওই চেক তুলে দেওয়া হয় মৃতের পরিবারের হাতে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ভূমিকায় যেমন সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ওই মৃতের আত্মীয়রা। তেমনই তাঁর স্ত্রীকে যাতে সরকারের তরফে একটি চাকরি দেওয়া হয় সেই আর্জিও জানানো হয় পরিবারের সদস্যদের তরফে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours