সোমবার বিয়ে, আর মঙ্গলবারই দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়া এলাকার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলেন পিয়া। রাত ৮টা নাগাদ তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। ঘণ্টা খানেকের অস্ত্রোপচারে ল্যাপ্রোস্কোপির মাধ্যমে ৪ মিলিমিটারের পাথরটাকে কিডনি থেকে বের করেন চিকিৎসকেরা।
যেহেতু এই ধরনের অস্ত্রোপচারে কাটাকাটি কম, তাই রোগীও তাড়াতাড়িই সুস্থ হয়ে ওঠেন। ফলে বুধবারই পিয়াকে বাড়িতে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর বাড়ি ফিরেই পিয়ার মিষ্টি পোস্ট। যে পোস্টে জায়গা পেয়েছে মার্সি বিউকুপ (পপ স্মোকের গান)।
Hospitalised: হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে পরমের সঙ্গে 'কোয়ালিটি টাইম' কাটানোর ইচ্ছা প্রকাশ পিয়ার...
পরম-পিয়া।
ডিজ়াইন করা স্বচ্ছ কাচের ফুলদানিতে সাদা পাঁপড়িওয়াল একগুচ্ছ ফুল। পাশেই ব্লক প্রিন্ট কাপড়ে মোড়ানো রুচিশীল ল্যাম্পশেড। এই দুই সামগ্রীকে সঙ্গে দিচ্ছে প্রেমের বার্তাবহনকারী একটি কার্ড, যাতে আলিঙ্গনরত নারীপুরুষের ছবি আঁকা। বাড়ির কোনও একটি কোণে রাখা টেবিলে একসঙ্গে থাকে এরা। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেই সেই কোণটির একটি ছবি পোস্ট করেছেন পিয়া চক্রবর্তী। সেই পিয়া চক্রবর্তী, যাঁকে কেন্দ্র করে এখন আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই নেটপাড়ায়। কেন? কেননা, তিনি গায়ক-সঙ্গীত পরিচালক অনুপম রায়ের সঙ্গে দাম্পত্য়ে থাকাকালীন তাঁরই বন্ধু অভিনেতা-পরিচালক-প্রযোজক পরমব্রতর সঙ্গে চুপিসারে পরকীয়া করেছেন এবং গত ২৭ নভেম্বর অনাড়ম্বর বিয়েটাও সেরেছেন।
এ হেন পিয়া বিয়ের পরদিনই হাসপাতালের পথেও ছুটেছেন। সেটাও ছিল একটা চমকে দেওয়ার মতোই খবর। কারণ, বিয়ের পরদিন কনে সাধারণত বউভাত অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি নেন। হাসাপাতালে ছোটেন না। কিন্তু পিয়ার বেলায় তা ঘটেনি। পরমকে বিয়ে করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় পিয়াকে। বিয়ের কয়েকদিন আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন সমাজসেবী-গায়িকা পিয়া। তাঁর কিডনিতে ধরা পড়ে পাথর। নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন, তাই সময় মতো জলটাও খাওয়া হয় না তাঁর। অতএব কিডনিতে জন্ম নেয় পাথর। পরমের সঙ্গে সুখে সংসার করতে যাওয়ার আগে তাই অবাঞ্ছিত পাথরটাকে পথ থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন পিয়া (চিকিৎসকও তাই-ই চেয়েছিলেন)।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours