কারণেই খানিকটা কষ্টে বহরমপুরের ক্রিকেটপ্রেমীরা। শহরের বুকে একের পর এক দোকান ঘুরেও জার্সি মেলেনি ক্রিকেটপ্রেমীদের। এক দোকানদার জানাচ্ছেন, শনিবারই শেষ হয়ে গিয়েছে সব। আর নেই জার্সি।

 ‘আর নেই দাদা, সব শেষ’, দোকানে গিয়ে ভারতের জার্সি না পেয়ে ফিরতে হচ্ছে খালি হাতেই
প্রতীকী ছবি

বহরমপুর: ২০ বছর পর ফের বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-অস্ট্রেলিয়া (India-Australia Match)। সেইবার জয় আসেনি ভারতের ঘরে। এবার আর সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না বিরাট-রোহিতরা। হাতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপরেই শুরু হয়ে যাবে মহাযুদ্ধ। নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের ভিতরে-বাইরে থিকথিক করছে ভিড়। উত্তেজনাও ফুটছে বাংলা। রবি ছুটির দিনে যেন লিখিত ‘লকডাউনের’ মেজাজে গোটা রাজ্য। জায়েন্ট স্ক্রিনে চলছে ম্যাচ দেখার প্রস্তুতি। রাস্তাতেও যাঁরা বেরিয়েছেন তাঁদেরও অনেকের গায়ে দেখা যাচ্ছে ভারতের জার্সি। এদিকে ভারত সেমিফাইনালে ওঠার পর থেকে ক্রমেই চড়েছে উন্মদনা। বিক্রি বেড়েছে ভারতের জার্সি, পতাকার। কিন্তু, এদিন সকালে বাজারে গেলে অনেকেই পেলেন না জার্সি। কাতর আর্জি জানালেও দোকানদারেরা সাফ বলছেন, আর তো নেই দাদা। ফলে দোকানে গেলেও খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। 

সে কারণেই খানিকটা কষ্টে বহরমপুরের ক্রিকেটপ্রেমীরা। শহরের বুকে একের পর এক দোকান ঘুরেও জার্সি মেলেনি ক্রিকেটপ্রেমীদের। এক দোকানদার জানাচ্ছেন, শনিবারই শেষ হয়ে গিয়েছে সব। আর নেই জার্সি। তিনি বলছেন, গতকাল কলকাতায় অর্ডার দিয়েছিলাম কিন্তু তারা আজ পাঠাইনি। ওখানেও টান বলছে। সকাল থেকে প্রায় ১০০ জনের বেশি লোক এসে জার্সি না পেয়ে ফিরে গিয়েছেন আমার দোকান থেকে। 

অন্যদিকে খানিকটা হলেও অন্য ছবি দেখা গেল হুগলির চুঁচুড়ার সুকান্তনগরের একটি খেলার সামগ্রী বিক্রির দোকানে। দেখা গেল উপচে পড়া ভিড়। দেদার বিকোচ্ছে ভারতের পতাকা-জার্সি। দোকানে দেখা মিলল ভারতের প্রাক্তন ফুটবল অধিনায়ক স্বরূপ দাসের। তিনিও ক্রিকেট উন্মাদনায় সামিল।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours