সিনেমা প্রস্তুতকারকদের বক্তব্য, লাইসেন্স চুক্তিতে সই রয়েছে কল্যাণী কাজির ও সাক্ষী হিসেবে অনির্বান কাজির সই রয়েছে। চুক্তির শর্তাবলী অনুযায়ী, এই নজরুলগীতির লেখা অপরিবর্তিত রেখে নতুন সুর দেওয়ার অনুমতি রয়েছে বলেই দাবি পিপ্পা চলচ্চিত্র প্রস্তুতকারক টিমের।
কোনও ভুল নেই, বুঝিয়েও নজরুলগীতির সুর বদল বিতর্কে ক্ষমা চাইল টিম পিপ্পা
বিতর্কের আবহে কী বলছে পিপ্পা?
কলকাতা: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত পিপ্পা সিনেমার একটি গান ঘিরে তুমুল বিতর্ক চলছে গত কয়েকদিন ধরে। কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানটির সুর পরিবর্তন করায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে নেট দুনিয়ায়। নজরুলগীতির যে সুরে আম বাঙালি অভ্যস্ত, তা নিয়ে এ আর রহমানের কাটাছেঁড়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন একাংশের মানুষ। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও এক্স হ্যান্ডেলে আপত্তি জানিয়েছেন। লিখেছেন, ‘সুরকার যত প্রতিষ্ঠিতই হন না কেন, গানটির এই বিকৃতি মানা যায় না।’ এই বিতর্কের আবহেই এবার পাল্টা বিবৃতি দিল ‘পিপ্পা’। তাদের বক্তব্য, স্বত্বাধিকার সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়ম-বিধি মেনেই তারা কাজ করেছে।
গানের লিরিক্সের লাইসেন্স চুক্তি মেনেই গানটির রিমেক করা হয়েছে বলে দাবি টিম ‘পিপ্পা’র। সিনেমা প্রস্তুতকারকদের বক্তব্য, লাইসেন্স চুক্তিতে সই রয়েছে কল্যাণী কাজীর ও সাক্ষী হিসেবে অনির্বাণ কাজীর সই রয়েছে। চুক্তির শর্তাবলী অনুযায়ী, এই নজরুলগীতির লেখা অপরিবর্তিত রেখে নতুন সুর দেওয়ার অনুমতি রয়েছে বলেই দাবি পিপ্পা চলচ্চিত্র প্রস্তুতকারক টিমের।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানটির সুর বদল ঘিরে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। শিল্পীমহলেও শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এসবের মধ্যেই এবার বিবৃতি প্রকাশ করল টিম পিপ্পা। নজরুলগীতির আসল সুরের প্রতি শ্রোতাদের যে আত্মিক টান রয়েছে, সেকথাও মেনে নিয়েছে তারা। গানের সুর বদলের জন্য কারও সেন্টিমেন্টে আঘাত লেগে থাকলে, ক্ষমাও চেয়েছে সিনেমা প্রস্তুতকারকরা।
পিপ্পার তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “ভারতীয় উপমহাদেশে সঙ্গীত জগতে, সমাজ ও রাজনীতিতে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান অনস্বীকার্য। কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি ও গানটির আসল সুরের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে স্বাধীনতা, শান্তি ও ন্যায়ের জন্য যাঁরা সংগ্রাম করেছিলেন, তাঁদের কুর্নিশ জানাতেই এই অ্যালবামটি বানানো হয়েছে।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours