সূত্রের খবর, এদিন এজেন্টদের কাছ থেকে সিবিআই জানতে চায়, কী পদ্ধতিতে আমানতকারীরা টাকা জমা দিতেন, কেমন রসিদ দেওয়া হতো, এজেন্টদের ভূমিকাই বা কী ছিল? প্রায় এক ঘণ্টা এদিন জিজ্ঞাসাবাদ চলে বলে খবর। এর আগে একাধিকবার সমবায়ের ম্যানেজার-সহ কর্মচারীদের বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।
আলিপুরদুয়ার: পুজো মিটটেই আবারও সক্রিয় সিবিআই। সূত্রের খবর, আলিপুরদুয়ারের মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির দুর্নীতির তদন্তে মঙ্গলবার ১২ জন মহিলা এজেন্টকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ঠিকানা রেলের গেস্ট হাউসে এদিন হাজিরা দেন তাঁরা। বিকাল ৪টে নাগাদ ১২ জন সেখানে হাজির হন বলে সূত্রের দাবি। এমনও শোনা যাচ্ছে, বুধবার নতুন করে অভিযানে নামবে সিবিআই। তার আগে এদিন তথ্য সংগ্রহ করে তারা।
এদিন এজেন্টদের কাছ থেকে সিবিআই জানতে চায়, কী পদ্ধতিতে আমানতকারীরা টাকা জমা দিতেন, কেমন রসিদ দেওয়া হতো, এজেন্টদের ভূমিকাই বা কী ছিল? প্রায় এক ঘণ্টা এদিন জিজ্ঞাসাবাদ চলে বলে খবর। এর আগে একাধিকবার সমবায়ের ম্যানেজার-সহ কর্মচারীদের বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। নানা নথিও সংগ্রহ করে তারা। এমনকী একাধিক আমানতকারীর বাড়িতেও হাজির হন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে এই প্রথমবার সমবায়ের এজেন্টদের ডেকে পাঠানো হয় বলেই খবর।
শামুকতলার বাসিন্দা দীপালি রায় এখানকার এজেন্ট ছিলেন। তিনি এদিন সিবিআই অফিসে এসেছিলেন। তাঁর কথায়, “আমার প্রায় ৫০০ গ্রাহক ছিলেন। কোনও মাসে ২০০, কোনও মাসে ৩০০ জমা দিতেন। আমরাও চাই আমাদের গ্রাহকরা তাঁদের টাকা ফেরত পান। আমরা এজেন্ট। ওনারা টাকা দিতেন, আমরা অফিসে জমা দিতাম। বদলে রসিদ দিতাম। আমার প্রায় ৭ লক্ষ টাকা পড়ে আছে।”
আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতিতে ২০১৮-১৯ সালে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এর এক বছরের মধ্যে ২০২০ সালে এই সমবায় সমিতির দরজায় তালাও পড়ে যায়। এদিকে আচমকা এই সমবায় সমিতি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ২২ হাজার আমানতকারীর মাথায় বাজ পড়ে। আলিপুরদুয়ার থানায় এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়। কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে। সিআইডি তদন্তভার নিলেও তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে খুশি ছিলেন না আমানতকারীদের একাংশ। এরপর কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় সার্কিট বেঞ্চ। তারই তদন্ত চলছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours