পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে 'গেরিয়া কায়দায়' বাধা পেরিয়ে এগিয়ে গেলেন বর্ষীয়ান বাম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। দলুয়াখাকি গ্রামের সামনে পর্যন্ত পৌঁছে যান তিনি। এরপর সেখানে আবার ব্যারিকেড করে আটকায় পুলিশ।
'গেরিলা' কায়দায় পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে দলুয়াখাকির দুয়ারে বর্ষীয়ান কান্তি
কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়
জয়নগর: সিপিএমের প্রতিনিধিদলকে জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। সুজন চক্রবর্তীরা পুলিশি বাধার মুখে ধস্তাধস্তি ও বচসার মধ্যে জড়িয়ে পড়েন। এসবের মধ্যেই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সেই বাধা পেরিয়ে এগিয়ে গেলেন বর্ষীয়ান বাম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। গ্রামের সামনে পর্যন্ত পৌঁছে যান তিনি। এরপর সেখানে আবার ব্যারিকেড করে আটকায় পুলিশ। বামেদের বাকি নেতাদের পুলিশ বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঢোকার মুখে গুদামের হাট সংলগ্ন রাস্তার মোড়ে আটকাতে পারলেও ব্যতিক্রম কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়।
সবার নজর এড়িয়ে গ্রামের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। পুলিশ যখন বাম প্রতিনিধিদলকে আটকাতে ব্যস্ত, তখন উর্দিধারীদের চোখে ধুলো দিয়ে অটোয় চেপে গ্রামের মুখে পৌঁছে যান তিনি। গ্রামের মুখে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়ে ধস্তাধস্তির মধ্যে আহতও হন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। পায়ের আঙুলে চোট লাগে তাঁর। কান্তি গাঙ্গুলির এভাবে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে এগিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, “কান্তিদা গেরিলা কায়দায় অটোয় চেপে স্যাট করে বেরিয়ে গিয়েছেন। এটাই কান্তি গাঙ্গুলি।”
পরে সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বর্ষীয়ান বাম নেতা বলেন, “এটা কোনও গেরিলা কায়দা নয়। যেভাবে পারি ওই গ্রামে পৌঁছাতে চেয়েছিলাম। গ্রামের দরজা পর্যন্ত পৌঁছেছি। ওখানে আবার ব্য়ারিকেড করে আটকে দিয়েছে। ধাক্কাধাক্কি করেছে। আমার পায়ে চোট লেগেছে। আঙুল ফুলে গিয়েছে।” ওই এলাকায় কোনও ১৪৪ ধারা নেই। তিনি একা একা যাচ্ছিলেন। তারপরও কেন তাঁকে আটকানো হল, সেই প্রশ্ন তুলে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বেজায় ক্ষুব্ধ কান্তি গাঙ্গুলি।
কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, তাঁকে দেখেই গ্রামবাসীরা অনেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। গ্রামবাসীরা সকলে গুম মেরে রয়েছেন। যদিও পুলিশের বক্তব্য, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় গ্রামে ঢুকতে পারেননি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours