সৌভিকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাল রেজাল্ট নিয়ে পলিটেকনিক পাশ করেছিলেন সৌভিক। কিন্তু তার পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চাকরির চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও কাজ খুঁজতে তিনি ব্যর্থ হন বলে অভিযোগ পরিবারের। তার পর উত্তরাখণ্ডে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেখানেই বিপর্যয়ের শিকার সৌভিক। 

নিখোঁজ ছেলের চিন্তায় হুগলির গ্রামে বসে ঘুম উড়েছে সৌভিকের বাবা অসিত পাখিরা এবং মা লক্ষ্মী পাখিরার।

রাজ্যে কাজ না পেয়ে বাইরে গিয়েছে’, বলছেন উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা সৌভিকের বাবা-মা
সৌভিকের আশায় বসে হতাশ বাবা-মা

পুরশুড়া: উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গ নিমার্ণের কাজ চলাকালীন ঘটে বিপর্যয়। সেই বিপর্যয়ের ১০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও আটকে থাকা কর্মীদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে বুধবার উদ্ধারকাজে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটেছে। উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন এই রাজ্যের তিন জন। তার মধ্যে রয়েছে হুগলি জেলার পুরশুড়া এলাকার দুই যুবক। উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে থাকা বাংলার কর্মীদের মধ্যে এক জন হলেন পুরশুড়ার হরিণাখালি এলাকার বাসিন্দা সৌভিক পাখিরা। তাঁর বাড়িতে বুধবার পৌঁছে গিয়েছিল টিভি৯ বাংলার প্রতিনিধি। সৌভিকের বাবা-মা রাজ্যের চাকরির অবস্থা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন।


সৌভিকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাল রেজাল্ট নিয়ে পলিটেকনিক পাশ করেছিলেন সৌভিক। কিন্তু তার পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চাকরির চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও কাজ খুঁজতে তিনি ব্যর্থ হন বলে অভিযোগ পরিবারের। তার পর উত্তরাখণ্ডে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেখানেই বিপর্যয়ের শিকার সৌভিক। নিখোঁজ ছেলের চিন্তায় হুগলির গ্রামে বসে ঘুম উড়েছে সৌভিকের বাবা অসিত পাখিরা এবং মা লক্ষ্মী পাখিরার।

সৌভিকের বাবা-মা দু’জনেই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, শিক্ষিত হওয়ার পরেও দুই ছেলে রাজ্যে চাকরি পাননি। শিক্ষিত হয়ে গত দুবছর ধরে ঘরে বসে ছিল। তাই বিপর্যয়কে মাথায় নিয়েই ভিন রাজ্যে কাজে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁরা। সৌভিকের ভাইও ঝাড়খণ্ডে কাজ করেন বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা-মা। অসিত ও লক্ষ্মীর অভিযোগ, এ রাজ্যে চাকরি নেই। নেই শিক্ষিতদের যোগ্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা।


এ বিষয়ে সৌভিকের বাবা অসিত পাখিরা বলেছেন, “আমাদের রাজ্যে কাজ নেই বলেই তো ২ বছর ধরে বসেছিল। তার পর বাইরে গিয়েছে।” এ বিষয়ে সৌভিকের মা বলেছেন, “এখানে তো কোনও কাজ নেই। ভাল কলেজে পড়েছে। ভাল রেজাল্ট করেছে। কিন্তু কাজ না পেলে কী করবে। বাইরে যেতেই হয়েছে। বসে থাকলে আমাদের সংসার চলবে কী করে। আমরা তো চাই ছেলে বাড়িতে থাকুক। কিন্তু উপায় তো নেই।”

বুধবারই শেষ হয়েছে রাজ্যের শিল্প সম্মেলন। সেই সম্মেলনের শেষে কোটি কোটি টাকা লগ্নির কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজের বাবা-মায়ের কথা নিশ্চিতভাবে তুলে ধরছে রাজ্যে কর্মসংস্থানের অন্ধকার দিক।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours