মাত্র ২৪০! মন্থর উইকেটে এই স্কোর নিয়ে জেতা সম্ভব!শুরুটা যেমন হয়, তেমনই করেছিল ভারত। দুই ওপেনারই বিধ্বংসী শুরু করেন। যদিও সেই ঝড় থামে দ্রুত। মন্থর পিচে শট খেলা সহজ নয়। শুভমন গিল সেটাই করেছিলেন। ক্যাচ আউট হতে ফেরেন। রোহিতের ক্ষেত্রে বোলার ম্যাক্সওয়েলের চেয়েও কৃতিত্ব দিতে হবে ট্রাভিস হেডকে।
কভার থেকে পিছন দিকে ১১ মিটার দৌড়ে অনবদ্য ক্যাচ নেন। বরং বিরাটের আউট খুবই দুর্ভাগ্য়জনক। প্যাট কামিন্সের বল ট্যাপ করেছিলেন বিরাট কোহলি।
অভিষেক সেনগুপ্ত
স্কোরবোর্ডে ২৪০ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের রমরমায়, ওয়ান ডে ফরম্যাটও এখন আকাশছোঁয়া। কতটা স্কোর সুরক্ষিত, কেউ বলতে পারেন না। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হয়েছিল। একই পিচ ব্যবহার হচ্ছে ফাইনালের জন্য। তবে লিগের ম্যাচ এবং ফাইনালের মধ্যে পার্থক্য অনেক। পিচেও পার্থক্য থাকবে এমনটাই প্রত্যাশা করা হয়েছিল। ফাইনালে এত মন্থর উইকেট! অস্বস্তিতে পড়লেন ভারতীয় ব্যাটাররা। একই পরিস্থিতি অজি ব্যাটারদেরও তো হতে পারে! স্কোরটা আপাত দৃষ্টিতে কম মনে হলেও, ভারতের বোলিং এবং পিচ। এখনই হাল ছাড়ার মতো নয়। এই বিশ্বকাপেই তো ভারতীয় দল তিন প্রতিপক্ষকে ৫৫, ৮৩ এবং ১২৯ রানে অলআউট করেছে! এমন কিছুরই প্রত্যাশায় ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা। বিস্তারিত জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।
টস হতেই এর আগের দুটি বিশ্বজয়ের সঙ্গে তুলনা শুরু করেন ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা। ১৯৮৩ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। ফাইনালে টস হেরেছিলেন কপিল দেব। তেমনই ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে টস হেরেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। দু-বারই ফল ভারতের পক্ষেই গিয়েছিল। তেমনই আমেদাবাদে টস জিতে প্যাট কামিন্স ফিল্ডিং নিতেই অনেকেই বলেছিলেন, সৌরভের ভুলটাই যেন করলেন প্যাট কামিন্স। ২০০৩ বিশ্বকাপে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বড় টার্গেট দিয়ে ভারতকে হারিয়েছিল অজিরা। কুড়ি বছর পর ফের বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-অস্ট্রেলিয়া। পরিস্থিতি পুরো উল্টো।
শুরুটা যেমন হয়, তেমনই করেছিল ভারত। দুই ওপেনারই বিধ্বংসী শুরু করেন। যদিও সেই ঝড় থামে দ্রুত। মন্থর পিচে শট খেলা সহজ নয়। শুভমন গিল সেটাই করেছিলেন। ক্যাচ আউট হতে ফেরেন। রোহিতের ক্ষেত্রে বোলার ম্যাক্সওয়েলের চেয়েও কৃতিত্ব দিতে হবে ট্রাভিস হেডকে। কভার থেকে পিছন দিকে ১১ মিটার দৌড়ে অনবদ্য ক্যাচ নেন। বরং বিরাটের আউট খুবই দুর্ভাগ্য়জনক। প্যাট কামিন্সের বল ট্যাপ করেছিলেন বিরাট কোহলি। প্লেড অন হন। অপ্রত্যাশিত বাউন্সে অস্বস্তিতে পড়েন কোহলি। লোকেশ রাহুল-বিরাট কোহলি জুটি ইনিংস মেরামতির চেষ্টা করে। বিরাট ফিরতে সেই দায়িত্ব পড়ে রাহুলের কাঁধে। রিভার্স সুইংয়ে সমস্যয় পড়েন রাহুল, জাডেজারা।
স্লগ ওভারে সূর্যকুমার যাদবের ওপর প্রত্যাশা ছিল। যদিও তাঁকে এত স্লোয়ার দেন অজি বোলাররা! সূর্যর পছন্দ পেস। সেটা না পাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েন। ৪৮তম ওভারে সূর্য আউট হতেই আশঙ্কা। আদৌ ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারবে তো ভারত! শেষ বলে দু-রান নিতে গিয়ে রান আউট।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours