প্লাস্টিকের অতি সূক্ষ্ম কণাকে মাইক্রোপ্লাস্টিক বলে। প্রতি সপ্তাহে গড়ে 0.1 থেকে 5 গ্রাম মাইক্রোপ্লাস্টিক বিভিন্ন উপায়ে মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে। একজন ব্যক্তি প্রতি বছর গড়ে 11,845 থেকে 1,93,200 মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা গ্রহণ করেন, যা প্রকৃত অর্থে 7 গ্রাম থেকে 287 গ্রাম পর্যন্ত। এখন বুঝতেই পারছেন, মানুষের জীবন কতটা প্লাস্টিক নির্ভর হয়ে যাচ্ছে।
প্লাস্টিক কন্টেনারে খাবার খাওয়া দুটো পলিথিন ব্যাগ চিবানোর সমান, গবেষণায় ভয়ঙ্কর তথ্য
খাবার নয়, যেটা খাচ্ছেন সেটা আসলে বিষ!
Microplastics: আমাদের জীবনে প্রতিটা পদক্ষেপে প্লাস্টিকের ব্যবহার। সবজি কিনতে যাই, মুদিদ্রব্য কিনতে যাই আর রেস্তোরাঁর কোনও খাবার বাড়িয়ে নিয়ে আসি, যা কিছুই বহন করি না কেন প্লাস্টিক আমাদের দরকারই। দিনের পর দিন যথেচ্ছ ভাবে প্লাস্টিক ব্যবহার করতে-করতে আমরা যেন পরিবেশটাকেই বিষিয়ে তুলছি। এখন অবস্থা এতটাই সঙ্কটজনক যে, গবেষণায় বলা হচ্ছে একটি শিশু তার জন্মের পরের লগ্ন থেকেই পুরুষত্বহীন হওয়ার দিকে ঝুঁকছে। সম্প্রতি ব্রিটেনের পোর্টসমাউথ ইউনিভার্সিটির তরফে করা গবেষণায় খাবারে মাইক্রোপ্লাস্টিক শনাক্ত করার জন্য দুই ধরনের খাবারের আইটেম সংগ্রহ করা হয়। তাদের মধ্যে একটি ছিল প্লাস্টিকে মোড়া এবং অপরটিতে কোনও প্লাস্টিকের আবরণ ছিল না।
এখন যে খাবারটি প্লাস্টিকে প্যাক করা ছিল, তাতে প্রায় 2.30 লাখ মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছে। এদিকে দ্বিতীয় খাবারের আইটেমটি, যাতে প্লাস্টিকের আবরণ ছিল না, সেটায় দেখা গিয়েছে 50,000 মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা ছিল। গবেষকরা দাবি করছেন, এই রকম পরিমাণে যদি মাইক্রোপ্লাস্টিক বের হতে থাকে শুধু প্যাক করা খাবারগুলি থেকেই, তাহলে প্রত্যেক মানুষ প্রতিদিন 10 গ্রাম মাইক্রোপ্লাস্টিক গ্রাস করছেন। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউট্রিশন (NIN) এর গবেষণা অনুসারে, প্লাস্টিকের পাত্রে সঞ্চিত খাবার খাওয়ার পরে গর্ভবতী মহিলারা সবথেকে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। তাদের জন্য প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার খাওয়া এতটাই ভয়ঙ্কর যে, তার বিষ তাঁদের শিশুর শরীরেও পৌঁছে যেতে পারে।
মাইক্রোপ্লাস্টিক কী
Post A Comment:
0 comments so far,add yours