কোনওদিন তাঁকে দিয়ে সাদা কাগজে কোনও সই কি করানো হয়েছিল? সেই নিয়ে প্রশ্ন করতেই বিস্ফোরক দাবি মন্ত্রীর বাড়ির পরিচারকের। বললেন, “হ্যাঁ, সই করেছিলাম। কাগজে সই করেছিলাম, কিন্তু কীসের জন্য তা জানি না। যাঁরা সই করাতে এসেছিলেন, তাঁদের চিনিও না।"
'সাহেবের' নাম করে সাদা কাগজে সই করানো হয়েছিল! বিস্ফোরক দাবি জ্যোতিপ্রিয়র পরিচারকের
রামস্বরূপ শর্মা
কলকাতা: রেশন দুর্নীতি মামলায় তেড়েফুঁড়ে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। সিজিও কমপ্লেক্সে দফায় দফায় ডেকে পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন ব্যক্তিকে। কখনও প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ককে। কখনও মন্ত্রীর বাড়ির পরিচারককে। গতকালের পর আজও দুপুরে ইডির অফিসে হাজির মন্ত্রীর বাড়ির পরিচারক তথা কৃষি দফতরের অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মী রামস্বরূপ শর্মা। ইডির অফিস থেকে বেরিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন তিনি। বললেন, অনেকদিন আগে ‘সাহেব’ অর্থাৎ, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম করে কয়েকজন তাঁকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, এই পরিচারকের বিষয়ে একাধিক তথ্য ইডির তদন্তকারী অফিসারের হাতে উঠে এসেছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, তিনি একটি সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন, তাঁর নামে একটি ফ্ল্যাটও রয়েছে। তিনি কম্পানির ডিরেক্টর হলেন কীভাবে? তিনি কি কোথাও সই করেছিলেন? সেই বিষয়ে প্রশ্ন করতেই রামস্বরূপ শর্মা ওই অজানা কাগজে সইয়ের কথা বলেন। রামস্বরূপ জানালেন, “কোম্পানির ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। তবে আমার একটি ফ্ল্যাট আছে কেষ্টপুরে। আমি সাহেবের থেকে লকডাউনের আগে লোন নিয়ে এই ফ্ল্যাটটি করেছিলাম। তার মধ্যে ৫ লাখ টাকা শোধও করে দিয়েছি।”
সইয়ের বিষয়ে বললেন, “হ্যাঁ, সই করেছিলাম। কাগজে সই করেছিলাম, কিন্তু কীসের জন্য তা জানি না। যাঁরা সই করাতে এসেছিলেন, তাঁদের চিনিও না। সাহেবের নাম করে বলেছিল, আমি সই করে দিয়েছিলাম। এটা অনেক বছর আগের কথা। উল্টোডাঙায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে সই করেছিলাম। বলেছিল, সাহেব পাঠিয়েছে, সই করে দিতে হবে।” সাহেব বলতে কার কথা বোঝাতে চাইছেন রামস্বরূপ? সেই প্রশ্নের উত্তরেও স্পষ্ট জানালেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কথাই বলছেন তিনি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours