বিশ্বকাপে শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের। প্রথম ম্যাচেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারায় তারা। টানা চার ম্যাচ জিতে দারুণ জায়গায় ছিল। যদিও ভারতের কাছে হারেই ছন্দপতন। ভারতের পর গত ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য রান তাড়ায় অল্পের জন্য হার নিউজিল্যান্ডের। নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের চোট টুর্নামেন্টে সমস্যায় ফেলেছে কিউয়িদের। শুধু তাই নয়, দলে আরও বেশ কিছু চোট আঘাত।

NZ vs SA Match Report: নিউজিল্যান্ডকে হেলায় হারিয়ে কার্যত শেষ চারে দক্ষিণ আফ্রিকা

পুনে: আরও একটা বিধ্বংসী পারফরম্যান্স এবং জয়। এ বারের বিশ্বকাপে যেন সমস্ত অতীত মুছে দিতে মরিয়া দক্ষিণ আফ্রিকা। পরিসংখ্যান ছিল, বিশ্বকাপের মঞ্চে গত পাঁচ সাক্ষাতেই নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তার পুনরাবৃত্তি হল না। পুনেতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশাল জয়ে কার্যত সেমিফাইনালও নিশ্চিত করল দক্ষিণ আফ্রিকা। এ বছর প্রথমে ব্যাট করে দারুণ সফল প্রোটিয়ারা। প্রথমে ব্যাট করে মাত্র একটি ম্যাচ হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, পরে ব্যাট করে চারটির মধ্যে চারটিই হার। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ায়, সেখানেই যেন এগিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বিস্তারিত জেনে নিন এর এই প্রতিবেদনে।

বিশ্বকাপে শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের। প্রথম ম্যাচেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারায় তারা। টানা চার ম্যাচ জিতে দারুণ জায়গায় ছিল। যদিও ভারতের কাছে হারেই ছন্দপতন। ভারতের পর গত ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য রান তাড়ায় অল্পের জন্য হার নিউজিল্যান্ডের। নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের চোট টুর্নামেন্টে সমস্যায় ফেলেছে কিউয়িদের। শুধু তাই নয়, দলে আরও বেশ কিছু চোট আঘাত।

টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিং দিয়েই যেন বড় ভুল করেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টম ল্যাথাম। শুরু থেকেই ঝড় তোলেন কুইন্টন ডি’কক। কেরিয়ারের শেষ ওয়ান ডে টুর্নামেন্ট তাঁর। শেষ বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখছেন ডি’কক। কিউয়িদের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি। এ বারের বিশ্বকাপে চতুর্থ সেঞ্চুরি করলেন কুইন্টন। রাসি ভ্যান ডুসেন ১১৮ বলে ১৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। শেষ দিকে মিলারেরও হাফসেঞ্চুরি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৫৭ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা।


রান তাড়ায় শুরু থেকেই বেকায়দায় নিউজিল্যান্ড। বাঁ হাতি পেসার মার্কো জানসেন ফেরান ডেভন কনওয়ে এবং রাচিন রবীন্দ্রকে। উইল ইয়ং শুরুটা ভালো করেন। তবে জেরাল্ড কোৎজে আক্রমণে এসেই ইয়ংকে ফেরান। অধিনায়ক টম ল্যাথামকে ফিরিয়ে কিউয়ি শিবিরে বড় ধাক্কা কাগিসো রাবাডার। পেসারদের পাশাপাশি দাপট বাঁ হাতি স্পিনার কেশব মহারাজের। প্রোটিয়া একাদশে একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে খেলানো হয় তাঁকে। চার উইকেট নিয়ে ভরসা দিলেন মহারাজ। শেষ দিকে নিউজিল্যান্ডের হয়ে কিছুটা লড়াই গ্লেন ফিলিপ্সের। তাতে হারের ব্যবধান কমে মাত্র। শেষ অবধি ১৬৭ রানেই অলআউট নিউজিল্যান্ড। ১৯০ রানের বিশাল জয়ে শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা। দীর্ঘ ২৪ বছর পর বিশ্বকাপের মঞ্চে নিউজিল্যান্ডকে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours