শুধু তাই নয়, দেশের হয়ে ওডিআইতে সবচেয়ে বেশি ফাইফারও (ম্যাচে পাঁচ উইকেট) সামির দখলেই। ছাপিয়ে গেলেন অফস্পিনার হরভজন সিংকে। এরপরই কমেন্ট্রি বক্সের দিকে ভাজ্জিকে ইঙ্গিত করেন সামি। হরভজন সিং ওডিআইতে ৩ বার পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। সামি নিলেন চার বার। এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম চার ম্যাচে সুযোগই পাননি সামি। হার্দিক পান্ডিয়া চোট পাওয়ায় একাদশে বদল করতে বাধ্য হয় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট।

ICC World Cup: বিশ্বকাপে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবার ওপরে সামি...

মুম্বই: তেইশের বিশ্বকাপে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল ভারত। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ফের লঙ্কাকান্ড। এশিয়া কাপে সিরাজের দাপটে শ্রীলঙ্কা মাত্র ৫০ রানেই অলআউট হয়েছিল। ওয়াংখেড়েতে উইকেটের শুরুটা হল বুমরা-সিরাজের হাত ধরে। তাতে চেরি বসালেন সামি। নিলেন পাঁচ উইকেট। ৩০২ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতল ভারত। সামি নিলেন পাঁচ উইকেট। এ বারের বিশ্বকাপে দু-বার, সব মিলিয়ে তিন। বিশ্বকাপে একমাত্র ভারতীয় বোলার হিসেবে একাধিক বার ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির রয়েছে সামির। শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ারও নজির গড়লেন। এক ম্যাচ, সামির নানা নজির। বিস্তারিত জেনে নিন এর এই প্রতিবেদনে।


ভারতীয় বোলারদের মধ্যে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেটের নজির ছিল জাভাগল শ্রীনাথ এবং জাহির খানের। বাঁ হাতি পেসার জাহির খান ২৩ ম্যাচে ৪৪ উইকেট নিয়েছিলেন। দেশের প্রাক্তন পেসার তথা বর্তমান আইসিসি ম্যাচ রেফারি জাভাগল শ্রীনাথ ৩৪ ম্যাচে নিয়েছিলেন ৪৪ উইকেট। মহম্মদ সামি মাত্র ১৪ ম্যাচেই ছাপিয়ে গেলেন এই দু-জনকে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়াংখেড়েতে নামার আগে তাঁর উইকেট সংখ্যা ছিল ৪০। এ দিন ৫ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন সামি। বিশ্বকাপে ১৪ ম্যাচে তাঁর উইকেট সংখ্যা হল ৪৫। লিগ পর্বে এখনও দু-ম্যাচ বাকি ভারতের।

শুধু তাই নয়, দেশের হয়ে ওডিআইতে সবচেয়ে বেশি ফাইফারও (ম্যাচে পাঁচ উইকেট) সামির দখলেই। ছাপিয়ে গেলেন অফস্পিনার হরভজন সিংকে। এরপরই কমেন্ট্রি বক্সের দিকে ভাজ্জিকে ইঙ্গিত করেন সামি। হরভজন সিং ওডিআইতে ৩ বার পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। সামি নিলেন চার বার। এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম চার ম্যাচে সুযোগই পাননি সামি। হার্দিক পান্ডিয়া চোট পাওয়ায় একাদশে বদল করতে বাধ্য হয় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। ধরমশালায় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সুযোগ পেয়েই পাঁচ উইকেট। গত ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নেন চার উইকেট। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ফের পাঁচ উইকেট। তেইশের বিশ্বকাপে তিন ম্যাচেই ১৪ উইকেট সামির দখলে।


মুম্বইতে ম্যাচের সেরার পুরস্কারও সামির দখলেই। সাফল্যের রহস্য প্রসঙ্গে বলছেন, ‘আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। সতীর্থরা ভালো পারফর্ম করছে। সাফল্যের কোনও রহস্য নেই। সঠিক লাইন লেন্থে বল রাখার চেষ্টা করি। নতুন বলে সুইং বেশি হয়। সে কারণে লাইন লেন্থ নিখুঁত রাখা আরও বেশি প্রয়োজন।’ এ বারের বিশ্বকাপে হয় ক্যাচ নয়তো বোল্ড। সামির উইকেট কলামে কোনও লেগ বিফোর নেই। বলছেন, ‘মানসিক ভাবে যতটা ফুরফুরে থাকা যায়, সেটাই আসল। আর সাপোর্টারদেরও কৃতিত্ব দিতে হবে। দেশের মাটিতে যে ভালোবাসা পাই, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, দেশের বাইরেও যত খেলি, প্রচুর সমর্থন থাকে।’
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours