শুধু তাই নয় কয়েক মাস আগে, সরকারি খাস জায়গায় বাড়ি করতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে এই তৃণমূল নেতা। যেই ঘটনার পর থেকে অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা

খবর করতেই চোখের জল সার্থক হল শাহজানের স্ত্রীর
পাট্টার জমি দখল করে রাখার অভিযোগ

মেদিনীপুর: খবরের জের। ১২ বছর পর পাট্টা পাওয়ার জমি দখল পেল দরিদ্র পরিবার। চন্দ্রকোণায় এক দরিদ্র পরিবারের পাট্টা পাওয়া রেকর্ড ভুক্ত জমি জোরপূর্বক দখল করে রাখার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। TV9 বাংলায় সেই খবর সম্প্রচারিত হয়। পরিবারেরই দাবি, এই খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পরই নড়ে চড়ে বসে তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসনে আধিকারিকরা।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের শ্রীনগর এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান গায়েন। তিনি লক্ষীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনেই একটি সরকারি ক্যানেল পাড়ের জায়গায় বাস করতেন। কিছুদিন আগেই মৃত্যু হয় শাহজাহানের। বর্তমানে শাজাহানের স্ত্রী বেলা বিবির ও তাঁর দুই সন্তান সেই বাড়িতে থাকেন। তাঁদের দাবি, কয়েক বছর আগে সরকারিভাবে ৫ শতক কৃষিজমি পাট্টা পেয়েছেন, সেই জায়গার রেকর্ড পর্যন্ত করে নিয়েছেন তাঁরা। সেই জমিই জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা আনোয়ার মল্লিক।

শুধু তাই নয় কয়েক মাস আগে, সরকারি খাস জায়গায় বাড়ি করতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে এই তৃণমূল নেতা। যেই ঘটনার পর থেকে অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। শাহজাহানের স্ত্রীর দাবি, এর আগে সুবিচার চেয়ে স্থানীয় শাসক দলের নেতা থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি কোন সুরাহা। সকলেই শুধু দিয়েছেন আশ্বাস। কিন্তু চিড়ে ভেজেনি তাতে।

জমি দখলের কথা পক্ষান্তরে স্বীকারও করেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আনোয়ার মল্লিক। তাঁর দাবি, ” ওরা পাট্টা পেয়েছে সঠিক কথা, কিন্তু দলে আলোচনা করার পরেই ওদের জমি তুলে দেওয়া হবে।” তবে টাকা দেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে যান তিনি। তাঁর যুক্তি, ‘টাকা যে নিয়েছি, তার কোনও প্রমাণ দেখাতে পারবে ওরা।’

এই খবর সম্প্রচারিত করা হয়। আর তা প্রকাশ্যে আসার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বাড়িতে চলে যান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উমা হাজরা। তিনি শাহজাহানের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। গিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে আসেন। আজ, সেই জায়গাতেই শাহজাহানের পাকা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আজ চোখে জল শাহজাহানের স্ত্রীর। তিনি বললেন, “আমার এতদিনের লড়াই স্বার্থক। মাথার গোঁজার একটা ঠিকানা তৈরি হল। অনেক কসরত করতে হয়েছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours