শতবর্ষে প্রয়াত নোবেলজয়ী হেনরি কিসিংগার
হেনরি কিসিংগারই একমাত্র কূটনীতিবিদ যিনি প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের সময়কালে মার্কিন বিদেশনীতি তৈরিতে কাজ করেছিলেন। একইসঙ্গে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি একই সময়কালে হোয়াইট হাউসের স্টেট সেক্রেটারি ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসর ছিলেন।
শতবর্ষে প্রয়াত নোবেলজয়ী হেনরি কিসিংগার
হেনরি কিসিংগার
ওয়াশিংটন: প্রয়াত নোবেলজয়ী হেনরি কিসিংগার (Henry Kissinger)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। কনেটিকেটের বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়। নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। মার্কিন বিদেশ নীতিতেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তিনিই একমাত্র মার্কিন কূটনীতিক, যিনি দুই প্রেসিডেন্টের অধীনে কাজ করেছেন। বুধবার কিসিংগার অ্যাসোসিয়েটের তরফেই নোবেলজয়ীর মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
নোবেলজয়ীর ফার্মের তরফে বুধবার হেনরি কিসিংগারের মৃত্যুর খবর জানানো হলেও, কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে বিশদে কিছু জানানো হয়নি।
হেনরি কিসিংগারই একমাত্র কূটনীতিবিদ যিনি প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের সময়কালে মার্কিন বিদেশনীতি তৈরিতে কাজ করেছিলেন। একইসঙ্গে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি একই সময়কালে হোয়াইট হাউসের স্টেট সেক্রেটারি ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসর ছিলেন। প্যারিস শান্তি চুক্তি, ভিয়েতনাম চুক্তি স্বাক্ষরে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ইজরায়েলের সঙ্গে আরব দেশগুলির সম্পর্ক গঠনে এবং আমেরিকা-সোভিয়েত শস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনাতেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।
জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করলেও, ১৯৩৮ সালে তাঁর পরিবার আমেরিকায় চলে আসে। ১৯৪৩ সালে তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব পান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি ইউরোপীয় সেনার সদস্য হয়ে লড়েছিলেন। এরপর হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে তিনি হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।
বিতর্ক-
শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পেলেও, তাঁকে ঘিরে একাধিক বিতর্ক ছিল। ভিয়েতনামে মার্কিন নীতিতে মানবাধিকারকে গুরুত্ব না দেওয়াকে ঘিরে সমালোচিত হয়েছিলেন কিসিংগার। ১৯৬৯ সালে কম্বোডিয়ায় সিক্রেট বম্বিং ও পরবর্তী বছরে মার্কিন অভ্যুত্থানের পিছনে তিনিই ছিলেন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours