এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় সবুজ মঞ্চ নামে একটি সংস্থা। শুনানিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানায় যে, যে সময় সবুজ বাজি বা পরিবেশ বান্ধব ছিল না, তখন শব্দসীমা ৯০ ডেসিবেল ছিল। তবে ২০১৮ সাল থেকে বাজারে সবুজ বাজি এসেছে।

'সবুজ বাজি হলে কি শব্দ কম বা বেশি হয়?' দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে প্রশ্ন হাইকোর্টের
বাজির শব্দমাত্রা নিয়ে মামলা হাইকোর্টে।

কলকাতা: বাজির শব্দের ঊর্ধ্বমাত্রা ৯০ থেকে ১২৫ ডেসিবেল করার বিরুদ্ধে এবার দায়ের হল মামলা। যদিও এ মামলায় এই মুহূর্তে কোনও হস্তক্ষেপ করল না বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য এবং রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের হলফনামা তলব করা হয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তারা জানায়, বাজির শব্দসীমা ৯০ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ ডেসিবেল করা হল।


এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় সবুজ মঞ্চ নামে একটি সংস্থা। শুনানিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানায় যে, যে সময় সবুজ বাজি বা পরিবেশ বান্ধব ছিল না, তখন শব্দসীমা ৯০ ডেসিবেল ছিল। তবে ২০১৮ সাল থেকে বাজারে সবুজ বাজি এসেছে। এরপর সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মেনেই শব্দসীমা ১২৫ ডেসিবেল করা হয়েছে।

সবুজ বাজি কী? মূলত কম দূষণকারী কাঁচামাল ব্যবহার করে তৈরি করা হয় এই সবুজ বাজি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাধারণ শব্দবাজির থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ কম দূষণ হয় এই সবুজ বাজি বা গ্রিন ক্র্যাকার্সে। তবে সবুজ বাজিতে দূষণ কম হলেও শব্দ নিয়ে কী ব্যবস্থা?


এদিন শুনানিপর্বে বিচারপতিও সেই প্রশ্নই করেন। জানতে চান, সবুজ বাজিতে রূপান্তরিত হলে কি শব্দ কম বা বেশি হয়? উত্তরে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানায়, যেখানে বাজি ফাটানো হতো সেই জায়গা থেকে ৫ মিটারের দূরত্ব ধরে শব্দসীমা ৯০ ডেসিবেল করা হয়েছিল। কিন্তু এখন বাজি ফাটানোর জায়গা থেকে ৪ মিটারের দূরত্ব ধরে সেটি ১২৫ ডেসিবেল করা হয়েছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে এ নিয়ে হলফনামা দেবে রাজ্য এবং রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours