নীতীশ কুমার যখন বিতর্কিত মন্তব্য করছিলেন, তখন তেজস্বী যাদব সহ একাধিক নেতাকেই হাসতে দেখা যায়। কিন্তু প্রতিবাদে সরব হন বিজেপির মহিলা সাংসদরা। বিজেপির তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, "ভারতীয় রাজনীতিতে নীতীশ কুমারের থেকে বেশি অসভ্য নেতা আর কেউ নেই।"
পটনা: রাজ্যে নিম্নমুখী জন্মহার। বিধানসভায় সেই তথ্য তুলে ধরতে গিয়েই বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপির তরফে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে ‘অশালীন’ বলেই অ্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে নীতীশের হয়ে সাফাই গেয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী যৌন শিক্ষার কথা বলেছেন। কোনও অশালীন ইঙ্গিত দেননি বা মহিলাদের অসম্মানজনক কোনও কথা বলেননি।
মঙ্গলবার বিহার বিধানসভায় আলোচনা শুরু হয় জাতিভিত্তিক জনসুমারির ফল ও তার প্রেক্ষিতে জনজাতি, উপজাতি ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ বৃদ্ধি করা নিয়ে। আজ, ৯ নভেম্বর এই নিয়ে বিলও পেশ করা হবে। সংরক্ষণ বৃদ্ধির আলোচনার পরই আসে জনসংখ্যার কথা। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী জানান যে রাজ্যে আগে জনননের হার ছিল ৪.৩ শতাংশ। সেটাই বর্তমানে কমে দাঁড়িয়েছে ২.৯ শতাংশে। গত বছরের একটি রিপোর্ট উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই তিনি বেফাঁস মন্তব্য করেন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য কন্যাসন্তানদের শিক্ষার প্রয়োজন।
নীতীশ কুমার যখন বিতর্কিত মন্তব্য করছিলেন, তখন তেজস্বী যাদব সহ একাধিক নেতাকেই হাসতে দেখা যায়। কিন্তু প্রতিবাদে সরব হন বিজেপির মহিলা সাংসদরা। বিজেপির তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, “ভারতীয় রাজনীতিতে নীতীশ কুমারের থেকে বেশি অসভ্য নেতা আর কেউ নেই। মনে হচ্ছে, নীতীশ বাবুকে প্রাপ্তবয়স্ক, বি-গ্রেড ফিল্মের পোকা কামড়েছে। ওনার এই ধরনের ‘ডবল মিনিং’ মন্তব্যের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত। যাদের সঙ্গে থাকেন, তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন নীতীশ কুমার।”
বিজেপি সাংসদ গায়ত্রী দেবীও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বয়স ৭০-র উপরে আর উনি এই ধরনের মন্তব্য করছেন। উনি এমন একটি শব্দ ব্যবহার করেছেন, যা আমরা মুখেও আনতে পারব না। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব।”
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক শুরু হতেই সাফাই দিতে আসরে নামেন তেজস্বী যাদব। তিনি বলেন, “আমি একটা জিনিস স্পষ্ট করে দিই। মুখ্যমন্ত্রী সেক্স এডুকেশন নিয়ে কথা বলেছেন। এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে চান না অনেকে, কিন্তু স্কুলে এটা পড়ানো হয় জৈব বিজ্ঞানে। বাচ্চারা শেখে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়েই উনি (নীতীশ কুমার) বলেছেন। এটাকে অন্য কোনও ভাবে নয়, বরং যৌনশিক্ষা হিসাবেই গ্রহণ করা উচিত।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours