লিগ পর্বে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা দু-দল দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলবে। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে সেই ম্যাচ। আগ্রাসী ব্র্যান্ডের ক্রিকেট উপহার দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ডও গড়েছে এই টুর্নামেন্টে। শুরুর দিকে নেদারল্যান্ডসের কাছে হারলেও দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। 

প্রোটিয়ারা ব্যাট করতে নামলে বোর্ডে যেন ৩০০ প্লাস নিশ্চিত। কিন্তু ভারতের কাছে ৮৩ রানে অলআউট হওয়া, তাদের কাছে অস্বস্তি হতে পারে।

জাম্পাকে সামলাতে অনুশীলনে বিশেষ নজর বাভুমাদের
ইডেনে শ্যাডো করছেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা।

কলকাতা: ফের একবার ফাইনালে ওঠার সুযোগ দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে। এর আগে চার বার সেমিফাইনালে উঠলেও সেখানেই দৌড় শেষ হয়েছে প্রোটিয়াদের। জুটেছে চোকার্স তকমা। তা মেটাতে প্রথম ধাপ অবশ্যই সেমিফাইনাল গাঁট পেরনো। এরপর ফাইনাল এবং চ্য়াম্পিয়ন হওয়ার ভাবনা আসবে। ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ শুরু আগে বিধ্বংসী ফর্মে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে পিছিয়ে থেকেও জিতেছিল। বিশ্বকাপও শুরু হয়েছিল দাপটেই। লিগ পর্বে দ্বিতীয় হয়েছে প্রোটিয়ারা। তারপরও কি চিন্তার বিষয় রয়েছে? একটা চিন্তা রয়েছে, বলাই যায়। বিস্তারিত জেনে নিন 


লিগ পর্বে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা দু-দল দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলবে। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে সেই ম্যাচ। আগ্রাসী ব্র্যান্ডের ক্রিকেট উপহার দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ডও গড়েছে এই টুর্নামেন্টে। শুরুর দিকে নেদারল্যান্ডসের কাছে হারলেও দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রোটিয়ারা ব্যাট করতে নামলে বোর্ডে যেন ৩০০ প্লাস নিশ্চিত। কিন্তু ভারতের কাছে ৮৩ রানে অলআউট হওয়া, তাদের কাছে অস্বস্তি হতে পারে।

ঐতিহ্যের ইডেনেই ভারতের বিরুদ্ধে খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতীয় স্পিনারদের সামলাতে ম্যাচের আগের দিন দীর্ঘ সময় অনুশীলন করেছিলেন প্রোটিয়া ব্য়াটাররা। ম্যাচে তার বাস্তবায়ন হয়নি। বাঁ হাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাডেজা পাঁচ উইকেট এবং চায়নাম্যান কুলদীপ যাদব ২ উইকেট নিয়েছিলেন। সেমিফাইনালে প্রোটিয়াদের সামনে পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন। রিস্ট স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন। ভুললে চলবে না পার্টটাইম স্পিনার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের কথাও। প্রয়োজনে হাত ঘোরাতে পারেন মার্নাস লাবুশেন, স্টিভ স্মিথও।


ইডেনে সেমিফাইনালের মহড়ায় নেমে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট টিম। ঐচ্ছিক অনুশীলন। আজকের অনুশীলনে দেখা যায়নি পেসার রাবাডা, জানসেনকে। কিপার-ব্যাটার কুইন্টন ডি’ককও আসেননি। তবে বাকি ব্যাটাররা দীর্ঘক্ষণ ঘাম ঝরান নেটে। এই ইডেনের বাইশ গজেই ৮৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল প্রোটিয়া। স্পিন সামলাতে অনুশীলনে বিশেষ নজর বাভুমাদের। অজি লেগ স্পিনার জাম্পাকে সামলানোর প্রস্তুতি সারলেন জোরকদমে। আগ্রাসী মেজাজেই ব্যাটিং করতে দেখা গেল মার্কর‌্যামদের। অর্থাৎ পাল্টা মারের রাস্তায় হাঁটছে দক্ষিণ আফ্রিকা দল।

অজি বোলারদের বিপক্ষে ব্যাটিং বিভাগকে আটোসাটো রাখছে প্রোটিয়া থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। ১৯৯৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এ বার তার বদলা নেওয়ার চ্যালেঞ্জ। সেটা করতে পারলে ইডেনের বাইশ গজেই ইতিহাস হবে দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠবে তারা। রাস্তা কঠিন।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours