পুজোর আগে এইপিএস কাজে লাগিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জালিয়াতির অভিযোগ উঠছিল। পুজোর মুখে সর্বস্বান্ত হয়েছেন বহু অভাবী মানুষ। আবারও সেই একই জালিয়াতির চক্র সক্রিয় হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে উত্তর দিনাজপুর জেলায়।
Cyber Crime: 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাও উধাও হয়ে যাচ্ছে', নতুন বিপদে বাড়ির মেয়ে-বউরা
টাকা খুইয়েছেন রত্না রায়।
উত্তর দিনাজপুর: আধার এনাবেলড পেমেন্ট সিস্টেম বা এইপিএস (AEPS) ব্যবহার করে আবারও জালিয়াতির অভিযোগ উঠল। রায়গঞ্জ ও ইটাহার ব্লকের একাধিক গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোন দেওয়ার নামে এই প্রতারণাচক্র সক্রিয় বলে অভিযোগে উঠছে। এক্ষেত্রে মহিলাদের বেছে বেছে টার্গেট করারও অভিযোগ এবার।
পুজোর আগে এইপিএস কাজে লাগিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জালিয়াতির অভিযোগ উঠছিল। পুজোর মুখে সর্বস্বান্ত হয়েছেন বহু অভাবী মানুষ। আবারও সেই একই জালিয়াতির চক্র সক্রিয় হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে উত্তর দিনাজপুর জেলায়। অভিযোগ, মহিলাদের গোষ্ঠী গড়ে লোন দেওয়ার নামে নথি ও বায়োমেট্রিক মেশিনে হাতের ছাপ নিয়ে যায় একটি দল। তারপরই গায়েব হয় টাকা। রায়গঞ্জ ব্লকের বুধোর গ্রামে দুর্গাপুজোর আগে এক ব্যক্তি এসেছিলেন। অভিযোগ, তিনি মহিলাদের গোষ্ঠী তৈরি করে লোন পাইয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
সেই ফাঁদে পা দিয়ে অনেকে আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড-সহ ব্যাঙ্কের পাসবইয়ের প্রতিলিপি নেয় বলে অভিযোগ। সঙ্গে হাতের ছাপ। ওই ব্যক্তি দাবি করেছিলেন, নানা ব্যাঙ্কের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। প্রতারিত রত্না রায়ের অভিযোগ, “ওই ব্যক্তি আমাদের চেনা। প্রথম দিন এসে আমাদের নম্বর নিয়ে যায়। বলে লোন দেবে। আমরাও লোন নিতে তৈরি। ফোনও করি। সংস্থার নামও বলেছিল। সেসব তো আর আমাদের অত ভালভাবে মনে নেই। বলেছিল মালদহের সংস্থা।”
রত্না রায়ের অভিযোগ, ৬ জন করে মোট তিনটে দলের সদস্যাদের আঙুলের ছাপ, নথি নিয়ে যায়। আধার কার্ড, প্যান কার্ডের জেরক্সও নেয়। এখন অথচ আর লোন পাননি। উল্টে এখন অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠছে।
রত্না বলেন, “ওনাকে ফোনে বলি সবটা। এখন উনি অ্যাকাউন্ট নম্বর চাইছেন। আমরা সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানিয়েছি। আমার অ্যাকাউন্ট থেকে ১১ তারিখ ১০ হাজার টাকা কাটে। ১৪ তারিখ ২০০ টাকা কেটে নেয়। এ গ্রামে ৪-৫ জনের হয়েছে। আশেপাশেও হয়েছে বলে শুনছি। এমনকী কারও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকেছে তাও উধাও।” রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অনেকেই। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours